ফুটবল খেলাটাই রোমাঞ্চকর এক লড়াইয়ের মঞ্চ। এখানে কোনো হিসাব-নিকাশ খাটে না। পায়ের ঝলকের পরতে পরতে লুকায়িত থাকে অনিশ্চিত ফলাফল। তাতে জনপ্রিয়তার তকমাও ধোপে টিকে না। এই যেমন টুর্নামেন্টে ফেভারিট হয়ে কিংবা তারকাখ্যাতি নিয়েও আফ্রিকা কাপ অব নেশনসে দুঃস্বপ্ন দেখলো মিশর। টাইব্রেকারে তাদেরকে ৪-২ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপার স্বাদ পেলো সেনেগাল।
এই ম্যাচে সবার চোখ ছিলো দুই তারকা মোহামেদ সালাহ এবং সাদিও মানের উপর। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে লিভারপুলের হয়ে খেলা দুই সতীর্থ আজ প্রতিপক্ষ। লড়াইটা জমজমাট হবে বলেই আশা করছিল সবাই। তবে হলো না। ফাইনালে নিজেদের আলোর বৃত্তেই বন্দি হয়ে রইলেন সালাহ এবং মানে।
ম্যাচের শুরু থেকেই দুই দল নিজেদের উজাড় করে খেলতে থাকে। তবে দাপটটা বেশি দেখিয়েছে সেনেগাল। প্রথম গোলের সুযোগটাও পায় সেনেগাল। ম্যাচের ৬ মিনিটের মাথায় ডি-বক্সের ভিতর মানেকে ফাউল করে বসেন মিশরের আব্দুল মোমেন। তাতেই পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়ে দেন রেফারি। পেনাল্টি পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন মানে। তার শট ঠেকিয়ে দেন মিশরকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক আবু গাবাল।
ম্যাচের ২৮তম মিনিটে সুযোগ পেয়েছিল মিশর। তবে সেনেগালের কয়েকজনকে কাটিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন সালাহ। কিন্তু তার দুর্বল শট সহজেই রুখে দেন সেনেগালের গোলরক্ষক এডওয়ার্ড মেন্ডি। বিরতির আগে ৪২ মিনিটে আবারো সালাহর শট এবং মেন্ডির সেভ! এরপর আর সুযোগ পায়নি কেউই।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের পর আক্রমণ করে গেছে সেনেগাল। কিন্তু প্রতিবারই মিশরকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন আবু গাবাল। সেনেগালের নেয়া পাঁচটি লক্ষ্যভেদ ঠেকিয়েছেন মিশরের অতন্দ্র প্রহরী। এভাবে নির্ধারিত সময় পার হয়ে অতিরিক্ত সময়ের ৩০ মিনিট খেলার পরও ফলাফল না আসায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।
টাইব্রেকারে নেয়া প্রথম চার শটের দুটি মিস করে মিশর। তিন শটের একটি মিস করে সেনেগাল। তাতে সেনেগালের চতুর্থ শট নিতে আসা মানের জন্য তৈরি হয়ে যায় নায়ক বনে যাওয়ার সুযোগ। পেনাল্টি মিস করার মতো এবার আর ভুল করলেন না মানে। প্রথমবারের মতো সেনেগালকে এনে দিলেন শিরোপা।
স্পোর্টসমেইল২৪/এএইচবি
[আমরা এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ইনস্টল করুন আমাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপস ]