পিএসজিতে আসার পর সময়টা মোটেও ভালো যাচ্ছিলো না আর্জেন্টাইন ক্ষুদে জাদুকর লিওনেল মেসির। চোট আর করোনাভাইরাসের সঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছিলেন অঘোষিত যুদ্ধ। ফিরলেন নতুন বছরের শুরুতে। তবে চিরচেনা মেসিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। এবার সব কড়ায় গন্ডায় সব পুষিয়ে দিলেন লিগ ওয়ানের ম্যাচে লিলের বিপক্ষে। মেসি ঝলকে লিলের মাঠ থেকে ৫-১ গোলের বড় জয় নিয়ে ফিরেছে পিএসজি।
রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) লিলের ঘরের মাঠে ম্যাচের শুরুতেই গোল পেয়ে যায় পিএসজি। এই গোলে অবশ্য বড় অবদান লিলের গোলরক্ষক ইভো গরবিচের। ম্যাচের ১০ মিনিটের সময় বাড়ানো ক্রস গ্লাভসবন্দি করতে পারেননি গরবিচ। বল পড়ে যায় তার হাত গলে। এই সুযোগে পিএসজিকে এগিয়ে নেন দানিলো পেরেইরা।
গোল খাওয়ার ১৮ মিনিট পরই অবশ্য সমতায় টানে লিলে। হাতেম বেন আরফা বল বাড়িয়ে দিয়েছিলেন সভেন বটমানের দিকে। দারুণ এক শটে দোন্নারুমাকে পরাস্ত করে স্কোর ১-১ এ সমতায় আনেন বটমান।
এরপরের গল্পটা কেবল পিএসজির গোল উৎসবের। গোল খেয়ে পাগলা ঘোড়ার মতো খ্যাঁপাটে হয়ে ওঠে মারিসিও পচেত্তিনোর দল।। তাতে ১০ মিনিটের এক ঝড় বয়ে যায় লিলের উপর দিয়ে। ৩২ মিনিটে ঝড়ের শুরুটা করেন কিমপেম্বে। মেসির কর্নার থেকে বল পেয়ে সহজেই ব্যবধান ২-১ করেন ফরাসি সেন্টারব্যাক।
কিমপেম্বের গোলের মিনিট ছয়েক পর নতুন বছরে নিজের প্রথম গোল করেন মেসি। লিলের ডিফেন্ডারদের ভুলে ডি-বক্সে বল পেয়ে যান আর্জেন্টাইন তারকা। আর যায় কোথায়! গরবিচের মাথার ওপর দিয়ে অভ্যাসমতো বল জালে জড়িয়ে ব্যবধান ৩-১ করেন মেসি। ফরাসি লিগে ১৩ ম্যাচে এটি তার দ্বিতীয় গোল।
বিরতির আগে আর গোল না আসলেও বিরতির পর লিলের জালে আরও দুইবার বল জড়ায় ফরাসি জায়ান্টরা। ৫১ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন দানিলো। লিলের কফিনে শেষ পেরেকটা ঠুকে দেন কিলিয়ান এমবাপে। ৬৭ মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে বাঁকানো শটে স্কোর ৫-১ করেন ফরাসি তারকা।
এই জয়ে লিগ ওয়ানে টানা ১৪ ম্যাচ অপরাজিত রইলো পিএসজি। ২৩ ম্যাচে ১৭ জয় ৫ ড্রতে ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে আছে মেসিরা। সমান ম্যাচে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে মার্শেই আছে দুইয়ে।
স্পোর্টসমেইল২৪/এএইচবি
[আমরা এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ইনস্টল করুন আমাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপস ]