নতুন বছরের শুরুটা দারুণ করেছিল ফরাসি জায়ান্ট প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। নিজেদের স্বাভাবিক ধারায় ছিলো তারা। কিন্তু হোঁচট খেয়েছে ফ্রেঞ্চ কাপে এসেই। ফ্রেঞ্চ কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে নির্ধারিত সময়ে গোলশূন্য ড্রয়ের পর টাইব্রেকারে নিসের কাছে ৬-৫ গোলে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে মারিসিও পচেত্তিনোর দলকে।
করোনা ভাইরাস কাটিয়ে এই প্রথম পিএসজির শুরুর একাদশে ছিলেন আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি। গায়ে জড়িয়ে নেমেছিলেন বিখ্যাত ১০ নাম্বার জার্সিও। কিন্তু ফেরাটা সুখকর হলো না ক্ষদে জাদুকরের জন্য। মেসি আলো ছড়ালেও দলের বাকিরা ছিলেন বিবর্ণ।
ঘরের মাঠ পার্ক দেস প্রিন্সেসে ম্যাচের শুরু থেকেই বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল পিএসজি। পুরো মাঠ জুড়ে বল নিয়ে খেলে গেলেও আক্রমণ করতে গিয়েই বারবার খেই হারিয়েছে প্যারিসিয়ানরা। নেইমার এমবাপেকে ছাড়া প্যারিসের আক্রমণভাগ ছিলো একদম নিষ্ক্রিয়।
ম্যাচে গোলের সুযোগ আসে প্রথমার্ধের ২২ মিনিটের মাথায়। ডি-বক্সে বল পেয়ে মেসি বাড়িয়ে দেন আন্দের এররেরাকে। এই মিডফিল্ডারের বাড়ানো বল বাইরে মেরে দেন মার্কো ভেরাত্তি। এরপর প্রথমার্ধের বাঁশি বাজার ঠিক আগমুহূর্তে মেসির বা’পায়ের বুলেট শট আটকে দেন নিসের গোলরক্ষক।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণে ধার বাড়াতে মাউরো ইকার্দিকে তুলে কিলিয়ান এমবাপেকে নামান পচেত্তিনো। কিন্তু যেই লাউ সেই কদু! মাঠের ফুটবলে পিএসজিকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। নির্ধারিত সময় শেষ হয় গোলশূন্য ড্র’তে।
ম্যাচের ফলাফল নির্ধারন করতে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। টাইব্রেকারে এসে কপাল পুড়ে পিএসজির। নিজেদের নেয়া প্রথম তিন শট ঠিকঠাক লক্ষ্যভেদ করে নিস। তবে পিএসজির হয়ে নেয়া পারেদেসের তৃতীয় শটটা ঠেকিয়ে দেন নিসের গোলরক্ষক মার্চিন বুকা।
নিসের পরের শট ঠেকিয়ে স্কোর সমান করে আশা জাগিয়েছিলেন পিএসজি গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোনারুমা। এরপর দুই দলের চার শটের শেষটা মিস করে বসেন পিএসজির জাভি সিমোন্স। আর তাতেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায় ফরাসি জায়ান্টদের।
স্পোর্টসমেইল২৪/এএইচবি
[আমরা এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ইনস্টল করুন আমাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপস ]