অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে জিততে পারলো না রিয়াল মাদ্রিদ। প্রতিপক্ষের মাঠে গোলশূন্য ড্রয়ের পর এবার সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়েও ড্র করলো জিনেদিন জিদানের দল। যদিও হারতে বসা ম্যাচে শেষ সময়ে গোল করে লম্বা সময় পিছিয়ে থাকা দলকে ১ পয়েন্ট এনে দিয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ফলে ১-১ গোলের এক অস্বস্তিকর এক ড্রয়ে ভ্যালেন্সিয়ার সাথে পয়েন্ট ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগও হাতছাড়া করলো জিনেদিন জিদানের দল।
চ্যাম্পিয়নস লিগের দুর্দান্ত রিয়াল মাদ্রিদের লা লিগায় আসলে যেন কী হয়ে যায়। অন্তত এবারের মৌসুমে দুইরকম রিয়াল মাদ্রিদকে দেখেছে ফুটবল বিশ্ব। চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে ওঠা দলটি লিগের মধ্যম সারির দল অ্যাথলেটিক বিলবাওর বিপক্ষে জিততেই পারলো না। তবে হারেওনি জিদানের দল। ১-১ গোলের এক অস্বস্তিকর এক ড্রয়ে ভ্যালেন্সিয়ার সাথে পয়েন্ট ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগও হাতছাড়া করলো রিয়াল। অথচ এই বিলবাও দলটাই বার্নাব্যুতে শেষ ১২ ম্যাচের প্রতিটিতেই হেরেছে যেখানে গোল খেয়েছে ৪৪টি।
বিলবাওর বিপক্ষে মাঠে নামার আগে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে মৌসুমের ১১টি ম্যাচে কোনো জয় পায়নি রিয়াল। ১৮ বছরের ভেতর এটিই ঘরের মাঠে রিয়ালের সবথেকে বাজে ফর্ম। লা লিগাতেও রিয়ালে অবস্থা নড়বড়ে। এক ম্যাচ বিশ্রাম নিয়েই এদিন রিয়াল একাদশে ফিরেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণের পসরা সাজিয়ে বসে জিনেদিন জিদানের দল। ৭ মিনিটে বিলবাওর ইতুরাপাসের শট রুখে দেন রিয়াল গোলকিপার নাভাস। ৯ মিনিটে কার্ভাহালের শটে রোনালদো হেড করলে গোলকিপার পরাস্ত হলেও গোলবারকে পরাস্ত করতে পারেননি বিলবাওর বিপক্ষে ১৭ ম্যাচে ১৬ গোল করা রোনালদো। ১১ মিনিটে আবারো গোলের সুযোগ পায় রিয়াল। এবার আসেনসিওর শট রুখে দেন বিলবাওর গোলকিপার কেপা।
বিরতি থেকে ফিরেও চলে রিয়াল খেলোয়াড়দের আধিপত্য। বল নিজেদের দখলে নিয়ে খেলতে থাকলেও পরিকল্পিত কোনো আক্রমণই করতে পারছিল না জিদানের দল। ম্যাচের ৬৪ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সবথেকে সহজ সুযোগটি হাতছাড়া করেন বিলবাওর গোলকিপার। তিন দফায় সুযোগ পেয়েও বল জালে পাঠাতে পারেননি বিলবাওর খেলোয়াড়রা। দে মার্কসের বারানো বলে পা ছোঁয়াতে পারেননি কেউ। সেই বলে কর্ডোবা শট নিলেও ব্লক করেন কার্ভাহাল, ফিরতি বলে গার্সিয়ার শট গোলবারে লেগে ফিরে আসলে গোলবঞ্চিত হয় বিলবাও।
এই ড্রয়ে ৩৩ ম্যাচে ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরেই আছে রিয়াল। দিনের অন্য ম্যাচে গেটাফের কাছে ২-১ গোলে হেরে যাওয়া ভালেন্সিয়া ৬৫ পয়েন্ট নিয়ে আছে চার নম্বরে। ৮৩ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে বার্সেলোনা।