করোনার কারণে লিওনেল মেসিকে ছাড়াই বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দল ঘোষণা করেছিলেন কোচ লিওনেল স্ক্যালোনি। তবে তাকে ছাড়াই দারুণ এক জয় তুলে নিয়েছে আর্জেন্টিনা। বাছাইপর্বে চিলির বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে জয় পেয়েছে তারা। প্রথমার্ধের এই তিন গোলে ঘটেছে নানা নাটকীয় ঘটনা।
শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে (বাংলাদেশ সময়) চিলির কালামা শহরে এ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। ম্যাচের শুরুতে আর্জেন্টিনা এগিয়ে গেলেও সমতায় ফিরে চিলি। এরপর আবারও গোলের দেখা পায় আর্জেন্টিনা। যে গোলটিই শেষ পর্যন্ত জয়সূচক গোলে পরিণত হয়।
ম্যাচের নবমতম মিনিটে ম্যাচের প্রথম গোলটি করেন আনহেল ডি মারিয়া। এরপর মাত্র ১১ মিনিট পর ২০তম মিনিটে সমতায় ফেরে চিলি।বেন ব্রেরেতন গোল করে দণকে সমতায় ফেরান। তবে সমতায় ফেরার ১৪ মিনিট পর আবারও এগিয়ে যায় আর্জেন্টি না। প্রথমার্ধেই ম্যাচের ৩৪তম মিনিটের দলের পক্ষে জয়সূচক গোলটি করেন লাউতারো মার্তিনেস।
প্রথমার্ধের ৩৪ মিনিটেই দুই দলের তিন গোল হওয়ার পর ম্যাচের বাকি সময়ে আর কোন দল গোলের দেখা পায়নি। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে খেলা চললেও গোল বঞ্চিত থাকতে হয়েছে। ফলে নির্দিষ্ট সময় শেষে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা। অন্যদিকে নিজেদের মাঠে হারের স্বাদ নেয় চিলি।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে বেশিরভাগ সময় বল দখলে রেখে আক্রমণ করেছে স্বাগতিক চিলি। তবে প্রথমার্ধের তুলনায় দ্বিতীয়ার্ধে আর্জেন্টিনার গতি কমিয়ে এনেছিল। ফলে দুই দলই উল্লেখযোগ্য কোন সুযোগ তৈরি করতে পারেনি।
গোল ব্যবধানে আর্জেন্টিনা জয় পেলেও ম্যাচে বল দখলে এগিয়ে ছিল চিলি। নিজেদের মাঠে পুরো ম্যাচে তারা ৬০ শতাংশ সময় বল নিজেদের দখলে রেখেছিল। এই সময়ে মাঝে ১৩টি শট নিয়েছিল, যার মধ্যে ৪টি টার্গেট শট ছিল। অন্যদিকে, ৪০ শতাংশ সময় বল দখলে রাখতে পারা আর্জেন্টিনার নেওয়া ৭টি শটের মাঝে ৫টি টার্গেটের ছিল।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে আর্জেন্টানার এটি নবম জয়। নিজেদের ১৪ ম্যাচে ৩২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মেসিদের দল। অন্যদিকে, ১৫ ম্যাচ খেলে মাত্র ৪ জয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ৭ নম্বরে রয়েছে চিলি। আর আর্জেন্টিনার সমান ১৪ ম্যাচ খেলে ১১ জয়ে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে রয়েছে ব্রাজিল।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস
[আমরা এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ইনস্টল করুন আমাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপস]