বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) ব্যবস্থাপনায় এবং ওয়ালটন গ্রপের পৃষ্ঠপোষকতায় আবারও মাঠে গড়াচ্ছে অনূর্ধ্ব-১৮ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ। আগামী ২৬ এপ্রিল থেকে শুরু হবে ‘ওয়ালটন অনূর্ধ্ব-১৮ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ’।
মূলত ভবিষ্যত ফুটবলার গড়ার লক্ষ্যেই প্রিমিয়ার লিগ খেলা ১২ দলের বয়সভিত্তিক এ টুর্নামেন্ট। চার গ্রুপে তিনটি করে দল বিভক্ত হয়ে দু’টি করে ম্যাচ খেলবে। প্রত্যেক গ্রুপের শীর্ষ দু’টি দল কোয়ার্টার ফাইনাল খেলবে। সেরা চারটি দল সেমিফাইনাল খেলবে।
এ-গ্রুপে সাইফ স্পোর্টিং, ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও শেখ রাসেল, বি-গ্রুপে শেখ জামাল, রহমতগঞ্জ ও বিজেএমসি, সি-গ্রুপে চট্টগ্রাম আবাহনী, মোহামেডান স্পোর্টিং ও আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ এবং ডি-গ্রুপে রয়েছে ঢাকা আবাহনী, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও ফরাশগঞ্জ।
মঙ্গলবার বিকেলে বাফুফে ভবনে প্রধান পৃষ্ঠপোষক ওয়ালটনের সঙ্গে চুক্তি সই এবং ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী, পৃষ্ঠপোষক ওয়ালটনের অপারেটিভ ডিরক্টের এফএম ইকবাল বিন আনোয়ার ডন, বাফুফের সদস্য আবদুর রহিম, সত্যজিৎ দাস রুপু ও জাকির হোসেন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
সালাম মুর্শেদী বলেন, বাফুফের বর্ষপঞ্জির শেষ টুর্নামেন্ট অনূর্ধ্ব-১৮ চ্যাম্পিয়নশিপ। যা ২০১৭-১৮ মৌসুমের জন্য ঘোষণা করা হয়েছে। অনূর্ধ্ব-১৮ বছরের ফুটবলারদের জন্যই এই টুর্নামেন্ট। তাই ক্লাবগুলোর কাছে আবেদন থাকবে বেশি বয়সের খেলোয়াড়দের না নিতে। এতে করে তারাও উপকৃত হবেন।
তিনি বলেন, টুর্নামেন্টের মাধ্যমে তারা পঞ্চাশ লাখ থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত সাশ্রয় করতে পারবে’, সবগুলো খেলাই বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। তবে বৃষ্টির কারণে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের মাঠ খেলার অনুপযুক্ত হলে খেলা অন্য মাঠে নিয়ে যাওয়া হতে পারে।
সালাম মুর্শেদী আরও বলেন, প্রত্যেকটি দল চারজন করে খেলোয়াড় পরিবর্তন করতে পারবে। অধিকাংশ ফুটবলারদের খেলার সুযোগ করে দিতেই এ নিয়ম করা হয়েছে। আগামীবছর থেকে মৌসুমের শুরুতেই এ আসর আয়োজন করা হবে, যাতে সেখান থেকে ক্লাবগুলো এক-একাধিক খেলোয়াড় নিতে পাারে। এর আগের দুই টুর্নামেন্টে শেখ রাসেল অংশ না নিলেও, এবার তারা অংশ নিচ্ছে।
দলগুলো দুই লাখ করে অংশগ্রহণ ফি পাবে। চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স-আপ দল ট্রফির পাশপাশি যথাক্রমে পাঁচ ও তিন লাখ টাকার প্রাইজমানি পাবে।