ম্যাচের শুরুতেই পিছিয়ে পড়েছিল স্বাগতিক চেলসি। এরপর দারুণভাবে ঘুরিয়ে দাঁড়িয়ে লিভারপুলের জালে দুইবার বল পাঠিয়েছিল চেলসি। আর এতেই ড্র হয়েছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে চেলসি-লিভাপুলের হাই ভোল্টেজ ম্যাচটি।
রোববার (২ জানুয়ারি) চেলসির ঘরের মাঠ স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে আতিথ্য নেয় লিভারপুল। প্রতিপক্ষের মাঠে খেলতে নেমেই শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করতে থাকে অল রেডরা।
করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় এদিন নিয়মিত একাদশের দিন ফুটবলারকে ছাড়াই মাঠে নামে লিভারপুল। শুধু তাই নয়, এদিন লিভারপুলের ডাগ আউটে থাকতে পারেননি কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ। করোনা আক্রান্ত হয়ে তিনিও রয়েছেন তিনি।
অপরদিকে চেলসি শিবিরে চলছে বেশ ভাঙাগড়ার খেলা। চেলসির বেলজিয়ান তারকা রোমেলু লুকাকুর বিতর্কিত মন্তব্যের পর তাকে ছাড়াই মাঠে নামে ব্লুজরা। তবুও নিজেদের প্রমাণ করতে কষ্ট হয়নি তাদের।
প্রথমদিকে কিছুটা ছন্নছাড়া ফুটবল খেলতে শুরু করে চেলসি। এর সুযোগ নিয়ে ম্যাচের নবম মিনিটেই এগিয়ে যায় অলরেডরা। ডি-বক্সের ভিতর শট নিয়ে দলকে এগিয়ে নেন লিভারপুল তারকা সাদিও মানে।
এরপর ম্যাচের ২২তম মিনিটে সুযোগ পেয়েছিলেন লিভারপুলের মিশরীয় তারকা মোহাম্মদ সালাহ। তবে এবার সহকারী রেফারি অফসাইডের পতাকা তুললে বাতিল হয় সেই গোল।
অবশ্য এর মিনিট চারেক পরেই সেই গোল্র আফসোস ভোলেন সালাহ। গোল করে দলকে ২-০ গোলের লিড এনে দেন।
এরপর দুই দলে একের পর আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ শানিয়ে উঠছিল। ম্যাচের ৪২তম মিনিটে সাফল্যের মুখ দেখে চেলসি। ডি-বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক ভলিতে দলের ব্যবধান কমান চেলসি মিডফিল্ডার কোভাচিচ।
ধারণা করা হচ্ছিলো প্রথমার্ধে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যাবে চেলসি। তবে বিরতিতে যাওয়া ঠিক আগ মুহূর্তে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান ক্রিস্টিয়ান পুলিসিস।
বিরতি থেকে ফিরে দুই দলই একের পর এক আক্রমণ শানিয়েছিল। তবে দুই দলের ডিফেন্ডারদের দৃঢ় রক্ষণে ফাটল ধরাতে পারেনি কেউই। তাই তো আর কোনো গোলের দেখা পায়নি দুই দল। শেষ পর্যন্ত ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় দুই দলকে।
২০ ম্যাচে ১২ জয় ও ৬ ড্রয়ে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে লিভারপুল। এক ম্যাচ বেশি খেলে ১২ জয় ও ৭ ড্রয়ে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে চেলসি আছে দুই নম্বরে।চেলসির সমান ম্যাচে ৫৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে শিরোপাধারী ম্যানচেস্টার সিটি।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর
[আমরা এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ইনস্টল করুন আমাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপস ]