বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ফুটবলে এক দশকের বেশি সময় ধরে খেলছেন জাতীয় দল ও বসুন্ধরা কিংসের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডের কিংস শেখ আলমগীর কবির রানা। সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার এ কৃতি সন্তানের ইচ্ছা বসুন্ধরা কিংসের হয়ে এএফসি কাপ নিজেদের করে নেওয়া।
স্বাধীনতা কাপের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীকে ৬-০ গোলে পরাজিত করেকে রানার ক্লাব বসুন্ধরা কিংস। ভবিষ্যতে ভালো মানের কোচ হয়ে সাতক্ষীরা তথা দেশের ফুটবলের উন্নয়নে রাখতে চান অবদান। পাশাপাশি ক্রীড়া সংগঠক হয়েও জেলার ক্রীড়া উন্নয়নে কাজ করার ইচ্ছা রয়েছে ফুটবলার রানার।
উপজেলার হায়বাতপুর গ্রামের পিতা (মৃত্যু) শেখ লুৎফার রহমান ও মাতা করিমন নেছা দম্পতির সন্তান শেখ আলমগীর কবীর রানা। এক বোন ও তিন ভাইয়ের মধ্যে রানা দ্বিতীয়। বড় বোনের বিয়ে হলেও বাকিদের খরচ হলে রানার উপার্জনে
মাঠে যতটা সফল রানা, মাঠের বাইরেও তার চেয়ে কম নন। ২০০৯-১০ মৌসুমে মোহামেডানের জার্সিতে প্রিমিয়ার লিগে যাত্রা শুরু করেন বিকেএসপির সাবেক ছাত্র ফুটবলার রানা। এরপর একে একে দেশের আরও তিনটি শীর্ষস্থানীয় ক্লাব- শেখ জামাল, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এবং শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রে কাটিয়েছেন কয়েক মৌসুম।
ক্লাবগুলোর জার্সিতে খেললেও তার মনজুড়ে এখন বসুন্ধরা কিংস। দেশের শীর্ষস্থানীয় ক্লাব বসুন্ধরা কিংসের হয়ে এখন পর্যন্ত ৩৪টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হয়েও ক্লাবটির হয়ে রানার দুটি গোল রয়েছে।
এদিকে, বসুন্ধরা কিংসেপ্রথমবারের মতো এএফসি কাপ খেললেও দলের অন্যতম এ খেলোয়াড় আগেও এএফসি কাপে খেলেছেন। শেখ জামালের হয়ে ২০১৫-১৬ মৌসুমে এএফসি কাপে খেলেছেন রানা।
একজন ফুটবলার হিসেবে রানা সবার মন জয় করে নিয়েছেন অনেক আগেই। সাতক্ষীরায় নিজের টাকায় করেছেন ফুটবল একাডেমি। যেখান থেকে প্রতিবছর অনেক ফুটবলার ঢাকার বিভিন্ন ক্লাবে খেলছেন। ভর্তি হয়েছেন দেশের সেরা ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান বিকেএসপিতে। খেলাধুলার পাশাপাশি রানা অসহায় গরীব মানুষের পাশেও থাকেন।
করোনার কারণে কিছুদিন ঘরবন্দি থাকলেও এখন অনুশীলনে ফিরেছেন রানা। ফিটনেসের উপর জোর দিয়ে কিংসের কোচ অস্কার ব্রুজোনের নির্দেশনা মতো চলছে অনুশীলন প্রক্রিয়া।
এস এম হাবিবুল হাসান/সাতক্ষীরা/আরএস
[আমরা এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ইনস্টল করুন আমাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপস ]