‘ব্যাটেল অব ব্রিটেন’ নাম দেয়া হয়েছিল লিভারপুল বনাম ম্যান সিটির লড়াইকে। মাঠে প্রবেশের আগে সিটি টিম বাসে লিভারপুল সমর্থকদের বোতল ছুঁড়ে মারাই ইঙ্গিত দিচ্ছিল লিভারপুলের মাঠ এনফিল্ড থেকে স্বস্তিতে ফিরতে পারবে না গার্দিওলার দল। মাঠের খেলাতেও হলো তাই। কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ম্যান সিটিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমির পথে এক পা দিয়ে রাখলো ইয়োর্গেন ক্লপের দল।
লিভারপুল-সিটির দ্বৈরথের পাশাপাশি ক্লপ বনাম গার্দিওলারও অদৃশ্য লড়াই দেখার জন্য মুখিয়ে ছিল ফুটবল বিশ্ব। ম্যাচের শুরু থেকে বল নিজেদের দখলে নিয়ে খেলতে থাকে ম্যান সিটি। কিন্তু ১২ মিনিটের মাথায় দুর্দান্ত এক কাউন্টার এটাক থেকে চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজের সপ্তম গোলটি করেন লিভারপুলের সেরা খেলোয়াড় মোহাম্মদ সালাহ। ফিরমিনোর থেকে ডিবক্সের ভেতরে বল পেয়েই সেটিকে জালে জড়ান এই মিশরীয় তারকা।
মৌসুমে এটি তার ৩৮তম গোল। ১৪ মিনিটে সিটিও গোলের সুযোগ পেয়েছিল কিন্তু কাউন্টার অ্যাটাক থেকে সানের করা দূরপাল্লার শট গোলবারের বাইরে দিয়ে চলে যায়। ২০ মিনিটে সিটিকে চমকে দিয়ে ২০ গজ দূর থেকে চেম্বারলিনের দুর্দান্ত গোল লিভারপুলকে ২-০ গোলে এগিয়ে দেয়।
দুই গোলে খেয়ে সিটির খেলোয়াড়রা যেন খেই হারিয়ে বসে। এই সুযোগে ৩০ মিনিটে মোহাম্মেদ সালাহর ক্রস থেকে হেডে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজের সপ্তম গোলটি করেন সেনেগালের তারকা সাদিও মানে। ৪১ মিনিটে ফিরমিনোর দূরপাল্লার শট গোলবারের বাইরে দিয়ে চলে না গেলে আবারও গোলের আনন্দে মাততে পারতো লিভারপুল।
৩-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতি থেকে ফিরেও আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে লিভারপুল। ৫২ মিনিটে সানের ভলি গোলবারের সামান্য উপর দিয়ে চলে যায়। ৫৪ মিনিটে মোহাম্মেদ সালাহ ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়লে তার পরিবর্তে মাঠে নামে ওনাইলদাম। ৬৮ মিনিটে সিলভার কর্নার থেকে ওটামেন্ডির হেড একটু জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
ম্যাচের বাকিটা সময় গোলের সুযোগ তৈরি করলেও স্ট্রাইকারদের ব্যর্থতায় ম্যান সিটি গোলমুখে পুরো ম্যাচে একটি শটও নিতে পারেনি। ফলে ৩-০ গোলের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় গার্দিওলার দলকে। লিভারপুলের পাশাপাশি ক্লপও গার্দিওলার সাথে লড়াইয়ে কিছুটা এগিয়ে রইলেন। এই জয়ে গার্দিওলার বিপক্ষে ৭-৫ এ এগিয়ে রইলেন ক্লপ।