বার্সেলোনার সাথে এর আগের চারবার দেখার মাত্র একটিতেই জিততে পেরেছিল রোমা। চারবারের মোকাবেলায় বার্সেলোনারও জয় একটিতে। এমন পরিসংখ্যানকে সঙ্গী করে বার্সেলোনার ঘরের মাঠে ক্যাম্প ন্যুতে খেলতে নামে ইতালিয়ান ক্লাব রোমা। কিন্তু কোনোভাবেই পেরে উঠতে পারেনি বার্সেলোনার সাথে। রোমাকে ৪-১ গোলে হারালো স্প্যানিশ দলটি। বার্সার দুইটি গোলই আসে রোমার ফুটবলারদের কাছ থেকে। অন্য দুটি গোল করেন পিকে এবং সুয়ারেজ রোমার হয়ে একমাত্র গোলটি করেন এডিন জেকো।
এক ম্যাচ পরেই দলের প্রথম একাদশে ইনজুরি থেকে ফিরেন বার্সেলোনার প্রাণভোমরা লিওনেল মেসি। ম্যাচ শুরুর আগে চ্যাম্পিয়নস লিগে ১০০ গোল করার জন্য তাকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন সাবে বার্সেলোনা ফুটবলার কার্লোস পুয়োল। ম্যাচের ৮ মিনিটের মাথায় লুইস সুয়ারেজের গোল অফসাইডের কারণে বাতিল না হলে শুরুতেই এগিয়ে যেতে পারতো বার্সা। ১৮ মিনিতে রাকিতিচের রংধনু শট গোলবারে লেগে প্রতিহত হলে আর এগিয়ে যাওয়া হয়নি বার্সার। অবশেষে প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার ৫ মিনিট আগে গোলের খাতা খোলে বার্সা। রোমার ফুটবলার ড্যানিয়েল ডি রসি দুর্দান্ত এক শটে নিজেদের জালেই বল জড়ালে ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে রোমা।
বিরতি থেকে ফিরে আরও আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে বার্সেলোনা। গোলও আদায় করে নেয় দ্রুত। ৫৫ মিনিটে উমতিতির শট রোমার ডিফেন্ডার মানোলাসের পায়ে লেগে জালে জড়ালে আরও একবার আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় বার্সা। চ্যাম্পিয়নস লিগে এটি বার্সার বিপক্ষে পঞ্চম আত্মঘাতী গোল। বার্সার হয়ে শুধু মেসিই সর্বোচ্চ ৬টি চ্যাম্পিয়নস লিগ করতে পেরেছে বর্তমান মৌসুমে।
এর ঠিক চার মিনিট পর আবারও আনন্দে মাতে কাতালুনিয়ার দলটি। তবে এবার অবশ্য আত্মঘাতী গোলের হ্যাটট্রিক হতে দেননি পিকে। সুয়ারেজের শট রোমার গোলকিপার প্রতিহত করলেও ফিরতি বল জালে জড়ান বার্সা ডিফেন্ডার পিকে। তিন গোল খেয়েও একটি অ্যাওয়ে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে রোমা। ৮০ মিনিটে পেরোত্তির ক্রস থেকে জেকো গোল করলে মূল্যবান একটি অ্যাওয়ে গোল পায় রোমা। খেলা শেষ হওয়ার তিন মিনিট আগে সুয়ারেজ গোল করলে ৪-১ গোলের বড় জয় পায় বার্সা। শেষ ১১ ম্যাচে ক্লাব এবং জাতীয় দলের হয়ে সুয়ারেজের এটি অষ্টম গোল। ম্যাচের বাকিটা সময় আর কোনো গোল না হলে ৪-১ গোলের বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা।