রোমাঞ্চকর এক লড়াই বেলজিয়াম এবং ফ্রান্স। উয়েফা নেশনস লিগে দারুণ প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখলো ফ্রান্স। প্রথমার্ধে বেলজিয়ামের বিপক্ষে দুই গোলে পিছিয়ে থেকেও ম্যাচ নিজেদের করে নিয়েছে ফরাসিরা।
বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) ইতালির অ্যালিয়াঞ্জ স্টেডিয়ামে উয়েফা নেশনস লিগের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ফ্রান্স এবং বেলজিয়াম। বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে এগিয়ে থেকেও ম্যাচ নিজেদের করে নিতে পারেনি বেলজিয়াম। সেই আফসোস হয়তো তাদেরকে পোড়াবে, তবে বিশ্ববাসীকে স্মরনীয় এক লড়াই উপহার দিয়েছে দুইদল।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে প্রতি মুহূর্তে উত্তেজনার পারদ ছড়িয়েছে। র্যাঙ্কিংয়ের এক এবং চার নম্বরে দুই দলের লড়াইটা এরকম হবে তা প্রত্যাশিতই ছিল।
ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই সুযোগ তৈরি করে বেলজিয়াম। সিটিজেন মিডফিল্ডার কেভিন ডি ব্রুইনির শট দারুণভাবে আটকে দেন ফ্রান্সের গোলরক্ষক হুগো লরিস। এর তিন মিনিট পড়েই বেলজিয়ামের ডি-বক্সে ভীতি ছড়ান ফরাসি স্ট্রাইকার কিলিয়না এমবাপে। অবশ্য তাকে আটকে দিয়ে ফ্রান্সকে এগিয়ে যাওয়া থেকে বিরত করেন ডিফেন্ডার জেসন দিনায়ার।
এরপর দুই দলই একের পর এক আক্রমণ শানিয়েছে। তবে কেউই সাফল্যের দেখা পাচ্ছিলো না। অবশেষে ম্যাচের ৩৭তম মিনিটে গোল করে বেলজিয়ামকে এগিয়ে নেন কারাসোকা।
প্রথম গোল হজম করে কিছুটা এলোমেলো হয়ে পড়ে ফরাসিরা। ফ্রেঞ্চদের ভুলের সুযোগ নিয়ে আবারও জালে বল জড়ায় বেলজিয়াম। এর স্কোর শিটে নাম তোলেন চেলসি স্ট্রাইকার রোমেলু লুকাকু।
বিরতি থেকে ফিরে ফ্রান্স যেন হয়ে ওঠে অপ্রতিরোধ্য। যদিও প্রথম সুযোগ মিস করেন ফরোয়ার্ড অ্যান্টেনিও গ্রিজম্যান। ম্যাচের ৫৮তম মিনিটে গোলবারের নিজের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন তিনি। তাই তো যা হবার তাই হলো, বল পাঠালেন গোলবারের বাইরে।
এর চার মিনিট পরেই ফরাসিদের আনন্দের উপলক্ষ্য এনে দেন এমবাপে এবং বেনজেমা। এমবাপের পাসে দারুণ এক ফিনিংশে গোল করে ব্যবধান কমান রিয়াল মাদ্রিদ স্ট্রাইকার করিম বেনজেমা।
এর সাত মিনিট পরেই নিজেদের ভুলে গোল হজম করে ফ্রান্স। ডি-বক্সে ফরাসি ফরোয়ার্ড অ্যান্টেনিও গ্রিজম্যানকে ফেলে দেন টিয়েলসম্যান। যদিও রেফারির চোখে এটা ফাউল হিসেবে গণ্যই হয়নি। তবে ভিএআরের সিদ্ধান্তে পেনাল্টি আদায় করে নেয় ফ্রান্স। পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে গিয়ে নিতে ভুল করেননি কিলিয়ান এমবাপে। যদিও এই এমবাপের পেনাল্টি মিসের কারণে সুইসদের কাছে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে বিদায় নিয়েছিল ফ্রান্স।
তবে এবার সে ভুল করেনি তিনি। দলকে ফাইনালে তোলার পথে পেনাল্টিটা গোলপোস্টেই রেখেছিলেন।
যখন সবার ধারণা হচ্ছিল অতিরিক্ত সময়ের রোমাঞ্চ কিংবা পেনাল্টি সময়ে নির্ধারিত হবে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হবে। ঠিক সে সময়ই ফরাসিদের ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হন থিও হার্নান্দেজ। একদম ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন।
আরেকটি সেমিফাইনালে হেরে বেলজিয়ামের শিরোপা স্বপ্ন ধূলিসাৎ হলো। সোনালী প্রজন্মের বেলজিয়ামের আবারো বাড়লো শিরোপা অপেক্ষা। রোববার (১০ অক্টোবর) তৃতীয় হওয়ার মিশনে বেলজিয়ামের প্রতিপক্ষ ইতালি।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর
[sportsmail24.com এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার ভিডিও-ছবি এবং সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ব্রাউজ করুন যেকোন ঠিকানায়। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ইনস্ট্রল করে নিতে আমাদের অ্যাপস ]