ইনজুরি থেকে ফিরলেও টটেনহ্যামের সেরা খেলোয়াড় হ্যারি কেইনকে একাদশে রেখে ঝুঁকি নেননি কোচ পচেত্তিনো। তবে তাকে ছাড়াই বর্তমান প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন চেলসিকে ২৮ বছর হারিয়ে দিয়েছে হ্যারি কেইনের দল।
১৯৯০ সালে চেলসিকে তাদের মাঠেই ২-১ গোলে হারিয়েছিল স্পার্স। এবার ৩-১ গোলের জয়ে অসাধারণ ভূমিকা রাখেন দুই গোল করা দেলে আলি এবং ক্রিস্টিয়ান এরিকসন।
হাজার্ড-উইলিয়ান-মোরাতাকে নিয়ে ঘরের মাঠে শক্তিশালী একাদশই নামান চেলসি কোচ অ্যান্তনিও কন্তে। ১৯ মিনিটে হাজার্ডের বাড়ানো বলে উইলিয়ান শট নিলে সেটি গোল লাইন থেকে ফিরিয়ে দেন স্পার্স গোলকিপার লরিস। খেলার ৩০ মিনিটে চেলসিকে আনন্দের উপলক্ষ এনে দেন এ মৌসুমে রিয়াল থেকে খেলতে আসা আলভারো মোরাতা। মসেসের উড়ন্ত বলে হেড থেকে গোল করে দলকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন তিনি।
তবে প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে সমতায় ফেরে টটেনহ্যাম। প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে ক্রিস্টিয়ান এরিকসনের বুলেট গতির শট জালের নিশানা পেলে প্রাণ ফিরে পায় টটেনহ্যাম। ২০১৩ সালের পর ডি বক্সের বাইরে থেকে ১৬টি গোল করলেন তিনি, যা প্রিমিয়ার লিগে গেল পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
দ্বিতীয়ার্ধে গোল পেতে একের পর এক আক্রমণ করে চেলসি। ৫৩ মিনিটে স্পার্সদের একটি পেনাল্টি আবেদন নাকচ করে দেন রেফারি। তবে ৬২ মিনিটে ঠিকই টটেনহ্যামকে অনাকাঙ্ক্ষিত লিড এনে দেন ইংলিশ ফুটবলার দেলে আলি। এ গোলের রেশ কাটতে না কাটতে ৬৬ মিনিটে আবারও দেলে আলির গোল। নিজের শততম প্রিমিয়ার লিগ ম্যাচটি জোড়া গোল করে স্মরণীয় করে রাখলেন এ ফুটবলার।
৭৫ মিনিটে সনের পরিবর্তে দীর্ঘদিন পর মাঠে নামেন হ্যারি কেইন। যদিও তিনি গোল করতে পারেননি। ৩-১ গোলের তৃপ্তির জয়ে ৬৪ পয়েন্ট নিয়ে টটেনহ্যামের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলা অনেকটাই নিশ্চিত।