ক্লাব পর্যায় থেকে শুরু করে জাতীয় দল পর্যন্ত সবখানে নিজের দ্যুতি ছড়াচ্ছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। দিন তিনেক আগেও মিশরের বিপক্ষে অতিরিক্ত সময়ে ২ গোল করে অবাক করা এক জয় ছিনিয়ে আনেন রিয়াল মাদ্রিদের এই তারকা। ডাচদের বিপক্ষেও হয়তো পর্তুগিজ সমর্থকরা ভেবেছিলেন রোনালদো আরও একটিবার হাসি ফোটাবেন তাদের মুখে। কিন্তু এ যাত্রায় পারলেন না সিআরসেভেন। বিশ্বকাপ খেলতে ব্যর্থ হওয়া নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ০-৩ গোলে হেরেছে ইউরো চ্যাম্পিয়নরা।
মিশরের বিপক্ষে ২-১ গোলে জয়ের ম্যাচের একাদশ থেকে ৯ জনকে পরিবর্তন করে এদিন একাদশ সাজান পর্তুগিজ কোচ সান্তোস। খেলা শুরু হওয়ার ১১ মিনিটের মাথাতেই গোল করে পর্তুগালকে অবাক করে দেন মার্শেইতে খেলা মেম্ফিস ডেফায়। ভ্যান দে বিকের ক্রসে ডি বক্সের ভেতর অসাধারণ এক গোল করেন এই ডাচ ফুটবলার।
খেলার ৩০ মিনিট ডিবক্সের ভেতর বলে শট নিলেও সেটি মাটিতে লেগে পড়ে যান রোনালদো। তার পেনাল্টির আবেদন নাকচও করে দেন রেফারি। ফলে আর ম্যাচে ফেরা হয়নি পর্তুগালের। উল্টো এর ঠিক ২ মিনিট পর রায়ান বাবেল গোল করে ডাচদের ২-০ গোলে এগিয়ে দেন।
২০০১ সালের পর এই প্রথম পর্তুগালের বিপক্ষে ২ গোল করতে সক্ষম হলো নেদারল্যান্ডস। ৪৩ মিনিটে ডেফায়র অসাধারণ শট রুখে দেন পর্তুগিজ গোলকিপার লোপেজ। কিন্তু প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে ভ্যান ডাইকের শট আর রুখে দিতে পারেননি তিনি। ৩-০ গোলে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় পর্তুগাল।
বিরতি থেকে ফিরে আক্রমণের ধার বাড়ায় ইউরো চ্যাম্পিয়নরা। বদলি হিসেবে রিকার্ডো কোয়ারেজমাকে মাঠে নামান কোচ সান্তোস। কিন্তু রোনাল্ড কোয়েম্যানের কাছে তার সকল প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়ে যায়। মরার ওপর খারার ঘা হিসেবে জোটে ৬১ মিনিটে জাও ক্যান্সেলিনোর লাল কার্ড। ১০ জনের দলে পরিণত হয় পর্তুগাল। খেলার ৬৯ মিনিটে রোনালদোকেও তুলে নেন কোচ সান্তোস।
২০১৬ সালের ইউরো ফাইনালের পর এই প্রথম কোনো ম্যাচে একটি শটও গোল মুখে নিতে পারেননি এই মাদ্রিদ খেলোয়াড়। ম্যাচের বাকিটা সময় গোলের চেষ্টা করলেও সঠিক পরিকল্পনার অভাবে আর গোল দিতে পারেনি পর্তুগাল। ফলে ০-৩ গোলের লজ্জার হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে পর্তুগালকে। আর ডাচদের কোচ হয়ে দ্বিতীয় ম্যাচেই জয় পেলেন রোনাল্ড কোয়েম্যান।