শেষ মুহূর্তের উত্তেজনা, আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ, কার্ড সব মিলিয়ে একটি ফুটবল ম্যাচ যেমন হওয়া ছিল ঠিক তেমনটাই হলো বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানের মধ্যকার ম্যাচটা। ফিফা র্যাংকিংয়ে দুই দলের বেশ ভালো ব্যবধান থাকলেও মাঠে ছেড়ে কথা বলেনি কেউই। দ্বিতীয়ার্ধে শুরুতেই এগিয়ে যায় আফগানিস্তান, বাংলাদেশও ম্যাচে ফিরে তপু বর্মণের গোলে তবে অনেকটা উত্তেজনা সৃষ্টি করে। কাতারের জাসিম বিন হামাদ স্টেডিয়ামে শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলে ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে দুই দল।
ফিফা র্যাংকিং, কাতারের দ্রুত গতির মাঠ, আফগানদের শারীরিক গঠন সবদিক থেকে আফগানিস্তানই এগিয়ে ছিল। তবে, ফুটবল হচ্ছে বুদ্ধির খেলা, কৌশলের খেলা। সেই কৌশলে শক্তিশালী আফগানদের আটকাতে সক্ষম হয় তপু-জিকো-জামালরা।
ভারতের বিপক্ষে কলকাতার সল্ট লেক স্টেডিয়ামে অতিরিক্ত ডিফেন্সিভ খেলতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত ড্র করে বাংলাদেশ। শঙ্কা ছিল আফগানদের বিপক্ষেও কি অতিরিক্ত ডিফেন্সিভই খেলাবে কোচ জেমি ডে?
ম্যাচের শুরুটা হয় বাংলাদেশ দলের অগোছালো ফুটবল খেলা দিয়েই। নিজেদের দখলে বার বার বল রাখতে ব্যর্থ হচ্ছিল বাংলাদেশ। সেই সুযোগে বাংলাদেশকে চেপে ধরে আফগানরা একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে যায়। তবে ডিফেন্ডাররা যথেষ্ট দক্ষতার সাথে সকল আক্রমণ নষ্ট করে দিতে সক্ষম হয়।
আফগানদের আক্রমণের মাঝেও ভালো একটা সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। ম্যাচের ১৫ মিনিটে মাসুক মিয়া জনি দারুণ এক ক্রস ফেলেছিল ডি বক্সে। কিন্তু জায়গামতো বাংলাদেশের কোন খেলোয়াড় না থাকায় সেই ক্রস থেকে গোল বের করতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ।
প্রথমার্ধে বাকি সময় আধিপত্য বিস্তার করে খেলে আফগানরাই। কখনো বা তপু, কখনো রহমত মিয়া আবার কখনো তারিক কাজি একের পর এক আফগানদের আক্রমণ নস্যাৎ করে দিলে প্রথমার্ধে গোল শুন্য ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়ে দুই দল।
বিরতি থেকে ফিরেই ম্যাচে এগিয়ে যায় আফগানিস্তান। বাংলাদেশি ডিফেন্ডারদের বড় ভুলে ম্যাচের ৪৮ মিনিটে দলকে এগিয়ে নেন আনোয়ার শারিফি। গোল হজম করে আক্রমণের ধার বাড়ায় বাংলাদেশও। ম্যাচের ৫৮ মিনিটে সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। রহমত মিয়ার বাড়ানো ক্রস থেকে মতিন মিয়া হেড করলেও তা ছিল লক্ষ্যভ্রষ্ট।
ম্যাচের ৭৩ মিনিটে আবারও সুযোগ পায় বাংলাদেশ। ম্যাচে দারুণ খেলা রাকিব দূর থেকে জোরালো শট নেন, তবে তা টার্গেটে রাখতে ব্যর্থ হন তিনি। এর ৭ মিনিট পরেই ব্দলি হিসেবে নামা আব্দুল্লাহর শট অল্প একটুর জন্য জালের ঠিকানা খোঁজে পায়নি।
একের পর এক আক্রমণের ফল পেতে দেরি হয়নি বাংলাদেশের। ম্যাচের ৮৪ মিনিটে কাঙ্ক্ষিত সেই গোলের দেখা পায় বাংলাদেশ। জামাল ভূঁইয়ার ফ্রি কিক গোলকিপার প্রতিহত করে দিলেও সেখান থেকে ক্রস করেন বাংলাদেশি খেলোয়াড়। সেই ক্রস থেকে জটলায় থাকা তপু বর্মণ বল পান। ঠান্ডা মাথায় নিখুঁত ফিনিশিং করে দলকে ম্যাচে ফেরান তিনি।
মাচের ৮৫ মিনিটে আবারও এগিয়ে যাওয়ার দারুণ একটা সুযোগ পেয়েছিল আফগানিস্তান। বাংলাদেশের গোলকিপার জিকো বেরিয়ে এসে বলের ফ্লাইট মিস করলে খালি গোলবার পান আফগান ফরোয়ার্ড। তবে সেই শট টার্গেটে রাখতে না পারায় রক্ষা পায় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ভারতের পর আফগানদের বিপক্ষেও পয়েন্ট পেল বাংলাদেশ।
[sportsmail24.com এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার ভিডিও-ছবি এবং সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ব্রাউজ করুন যেকোন ঠিকানায়। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ইনস্ট্রল করে নিতে আমাদের অ্যাপস ]