নিষিদ্ধ নেইমারের অনুপস্থিতিতে ফ্রেঞ্চ লিগ ওয়ানের শুক্রবারের ম্যাচে নিসকে সহজেই হারাতে কোন বেগ পেতে হয়নি পিএসজিকে। এডিনসন কাভানির দুই গোলে উনাই এমেরির দল ঘরের মাঠ পার্ক ডি প্রিন্সেসে ৩-০ গোলে জয়ী হয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা মোনাকোর থেকে সাত পয়েন্ট এগিয়ে গেছে।
প্রথমার্ধেই কাভানি দুই গোল করেন, দুটি গোলেই সহযোগিতা করেছেন আর্জেন্টাইন তারকা এ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। এর মাধ্যমে মৌসুমে অপরাজিত পিএসজি লিগে নবম জয় তুলে নিল। ১০ ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মোনাকোকে সুস্পষ্ট ব্যবধানে পিছনে ফেলেছে প্যারিসের জায়ান্টরা। একইসাথে গত সপ্তাহে মার্সেইর সাথে ২-২ গোলে ড্রয়ের হতাশাজনক স্মৃতির থেকে কিছুটা হলেও বেরিয়ে আসতে পেরেছে পিএসজি।
একইসাথে চ্যাম্পিয়নস লিগে মঙ্গলবার অ্যান্ডারলেখের বিপক্ষে ম্যাচের আগে দারুণ একটি অনুশীলনও সেরে ফেলেছে এমেরির শিষ্যরা। এই ম্যাচে জয়ী হতে পারলেই পিএসজির শেষ ১৬ নিশ্চিত হবে।
মার্সেইর বিপক্ষে ম্যাচে লাল কার্ড পাবার কারণে লিগে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হন নেইমার। সে কারণেই গতকালের ম্যাচটি স্ট্যান্ডে বসে দর্শক হিসেবে দেখতে বাধ্য হয়েছেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার। এই নিয়ে পিএসজিতে যোগ দেবার পরে দ্বিতীয় ম্যাচে অনুপস্থিত থাকলেন নেইমার।
ম্যাচ শেষে কাভানি বলেছেন, ‘প্রতিটি ম্যাচই ভিন্ন। মার্সেইর বিপক্ষে ম্যাচটা আরও বেশি কঠিন ছিল। কারণ ওখানকার মাঠ ভিন্ন, একইসাথে স্বাগতিক হিসেবে তারা দারুণ খেলেছে। আজ আমরা ম্যাচের শুরুতে দ্রুত গোলের লক্ষ্যে মাঠে নেমেছিলাম। লক্ষ্য পূরণ হওয়ায় বাকি সময়টা ভালো কেটেছে।’
আগস্টের পরে এই নিয়ে মাত্র দ্বিতীয় ম্যাচে ডি মারিয়া নেইমারের স্থানে মূল একাদশে সুযোগ পেয়েছিলেন। এমেরির বিবেচনায় মারকুইহোসের স্থানে সেন্টার ব্যাক হিসেবে প্রিসনেল কিমপেমবে ও লেভিন কুরজাওয়ার স্থানে স্প্যানিশ লেফট-ব্যাক ইউরি বারচিচ মাঠে নেমেছিলেন। রাইটব্যাক ডানি আলভেস দলে ফিরলেও অভিজ্ঞ থিয়াগো মোত্তা হাঁটুর সমস্যার কারণে মাঠের বাইরে ছিলের।
অন্যদিকে সফরকারীদের হয়ে মারিও বালোতেল্লি মূল একাদশে ফিরেছেন। গত সপ্তাহে স্টাসবোর্গের বিপক্ষে ২-১ গোলের হতাশাজনক পরাজয়ের ম্যাচটিতে তিনি ইনজুরির কারণে অনুপস্থিত ছিলেন। অনুশীলনে ইনজুরিতে পড়ায় শেষ মুহূর্তে গোলরক্ষক ইয়োয়ান কারডিনালের স্থানে ওয়াল্টার বেনিটেজকে মাঠে নামাতে বাধ্য হন নিস কোচ লুসিয়েন ফাভরে।
ম্যাচের তিন মিনিটের মধ্যেই ডি মারিয়ার ফ্রি-কিক থেকে আর্জেন্টাইন গোলরক্ষকের পরীক্ষা শুরু হয়। যদিও গোলপোস্টের খুব কাছ থেকে কাভানির নিচু হেড আটকানোর সামর্থ্য ছিল না বেনিটেজের। ৩১ মিনিটে ডি মারিয়ার ফ্লিক থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। এটি ছিল উরুগুয়ের তারকার ৯৯ তম লিগ ওয়ান গোল। ৫২ মিনিটে আলভেসের প্রচেষ্টার নিস অধিনায়ক দাতের কল্যাণে জালে জড়ালে আত্মঘাতি গোল হজম করে নিস।