উত্তর আয়ারল্যান্ড, ১৯৮৬ সালের পর প্রথমবারের মত বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলার স্বপ্ন দেখছিল। প্রথমে লেগে ১-০ গোলে হারলেও সুযোগ ছিল। তবে আইরিশদের সেই স্বপ্ন ভেঙে দিল সুইজারল্যান্ড। প্রথম লেগে জয়ের পর ঘরের মাঠ বাসেলে গোলশূন্য ড্র করে টানা চতুর্থবারের মত বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে সুইসরা।
আগের ম্যাচের জয়টা অবশ্য বিতর্কিত ছিল। বেলফাস্টে রিকার্ডো রদ্রিগেজের বিতর্কিত পেনাল্টিটিই শেষপর্যন্ত বিশ্বকাপের ভাগ্য লিখে দিল দুই দলের। মাইকেল ও'নিলের দল উত্তর আয়ারল্যান্ডের আফসোস হয়ে থাকবে আগের লেগের ওই বিতর্কিত পেনাল্টিটাই।
সেন্ট জ্যাকব পার্কে রোববার দুই দলই সমান তালে লড়েছে। ভুরি ভুরি সুযোগ নষ্ট করেছে দুই দলই। সুইস স্ট্রাইকার হ্যারিস সেফেরোভিচ তো একেবারে সহজতম সুযোগটি নষ্ট করেছেন ম্যাচের মাত্র পঞ্চম মিনিটে। ডান পাশ থেকে গোলরক্ষকের সামনে বল পেয়ে গেলেও হেড করে তা জালে জড়াতে পারেননি তিনি।
তবে ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো উত্তর আয়ারল্যান্ডও। ডি বক্সের অনেক বাইরে থেকে নেয়া ব্রান্টের জোড়ালো শট দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন সুইজারল্যান্ড গোলরক্ষক সোমার।
এরপর অনেকগুলো সহজ সুযোগ নষ্ট করেছে সুইজারল্যান্ড। সুযোগ পেয়েছিল উত্তর আয়ারল্যান্ডও। তবে কোনো দলই আর জাল কাঁপাতে পারেনি। ফলে নির্ধারিত সময়ে গোলশুন্য থেকেই শেষ হয় ম্যাচটি।
এই নিয়ে মোট একাদশবারের মতো বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলতে যাচ্ছে সুইজারল্যান্ড। ফুটবলের শীর্ষ প্রতিযোগিতায় তাদের সর্বোচ্চ সাফল্য কোয়ার্টার-ফাইনালে খেলা। ১৯৩৪, ১৯৩৮ ও ১৯৫৪ সালের আসরে কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠেছিল তারা।