বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারির কারণে বিভিন্ন ধরনের বিধিনিষেধ থাকায় চলতি মাসে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ বাতিল করলো দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল কনফেডারেশন (কনমেবল)। ২৫, ২৬ ও ৩০ মার্চ দক্ষিণ আমেরিকান অঞ্চলের ১০টি দেশেরই এ বাছাইপর্বে ম্যাচে অংশ নেওয়ার কথা ছিল।
লকডাউনের কড়াকড়ি ও কোয়ারেন্টাইন আইনের কারণে বেশ কয়েকজন ইউরোপ ভিত্তিক খেলোয়াড় ক্লাব ছাড়ার অনুমতি পাচ্ছেন না। বাতিল হওয়া ম্যাচগুলোর মধ্যে ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল বনাম কলম্বিয়া ও আর্জেন্টিনা বনাম উরুগুয়ের ম্যাচগুলোও রয়েছে।
প্যারাগুয়ে কনফেডারেশন এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এ সিদ্ধান্ত নেওয়া সত্যিই বেশ কঠিন ছিল। বিশেষ করে দক্ষিণ আমেরিকান খেলোয়াড়দের নিয়ে ইউরোপ ভিত্তিক ক্লাবগুলো বেশ বিপাকে পড়েছিল। কনমেবল ও সদস্য দেশগুলোর সাথে সমন্বয় করে ফিফা ম্যাচগুলোর তারিখ পুনর্নির্ধারণ করবে।’
১০টি দেশের প্রত্যেকেই ১৮টি বাছাইপর্বের মধ্যে মাত্র চারটি করে ম্যাচ খেলেছে। কাতার বিশ্বকাপের জন্য ১০ দলের মধ্য শীর্ষ চারটি দল সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। পঞ্চম স্থানে থাকা দলটি প্রাদেশিক প্লে-অফে বিজয়ী হয়ে মূল পর্বেও যোগ্যতা অর্জন করবে।
ইউরোপীয়ান ক্লাবগুলোর আপত্তির মুখে বাছাইপর্বে পঞ্চম ও ষষ্ঠ ম্যাচটি নিয়ে গত সপ্তাহ জুড়েই শঙ্কা দেখা দিয়েছিল। বিশেষ করে ইংলিশ ক্লাবগুলোতে দক্ষিণ আমেরিকার বেশ কিছু খেলোয়াড় থাকায় কোয়ারেন্টাইন আইনের কারণে ইংল্যান্ডে ফিরে আসার পর খেলোয়াড়দের দলে যোগদানের বিষয়টি নিয়ে সমস্যার বিষয়টি সামনে চলে আসে।
ইতোমধ্যেই বৃটিশ সরকার ১০টি দক্ষিণ আমেরিকা দেশ থেকেই যাত্রী ভ্রমণ নিষিদ্ধ করেছে। এদের মধ্যে অবশ্য ক্রীড়াবিদরা নেই। তবে এসব দেশ থেকে আসা খেলোয়াড়দের জন্য ১০ দিনের হোটেল কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
এর আগে সম্প্রতি কলম্বিয়া ঘোষণা দিয়েছে যে, তারা ব্রাজিলিয়ান কোন চার্টার বিমানকে তাদের দেশে অবতরণের অনুমতি দিবে না। ২৬ মার্চ ব্রাজিলিয়ান খেলোয়াড়দের চার্টার বিমানে করে কলম্বিয়ায় খেলতে যাওয়ার কথা ছিল।