পুত্র সন্তানের জন্মের কারণে দলে ছিলেন না লিওনেল মেসি। কিন্তু দলের এই সুপারস্টারের অনুপস্থিতিতে লা লিগায় মালাগার বিপক্ষে জয়ী হতে কোন কষ্ট করতে হয়নি টেবিলের শীর্ষে থাকা বার্সেলোনাকে। শনিবার এ্যাওয়ে ম্যাচটিতে কাতালান জায়ান্টরা জয়ী হয়েছে ২-০ গোলে।
হাসপাতালের স্ত্রীর পাশে অবশ্য টেলিভিশনে মেসি ম্যাচটি উপভোগ করার সুযোগ হাতছাড়া করেননি। লা রোসালেডা স্টেডিয়ামে প্রথামার্ধের ৩০ মিনিটের মধ্যেই লুইস সুয়ারেজ ও ফিলিপ কুতিনহোর দুই গোলে বার্সার জয় নিশ্চিত হয়। কিছুক্ষণ পরেই জোর্দি আলবাকে বিপদজনকভাবে ট্যাকেল করার জন্য স্যামুয়েল গার্সিয়া লাল কার্ড পেলে বাকি সময়টা মালাগাকে ১০ জনকে নিয়েই খেলতে হয়েছে।
একজন কম খেলোয়াড় ও শেষ ১২ ম্যাচে জয়বিহীন মালাগার বিপক্ষে বার্সার জয়টা হয়ত আরও বড় হতে পারতো। আর তা হলে বুধবার চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ১৬’তে চেলসির বিপক্ষে আত্মবিশ্বাসের পাল্লাটাও আরও একটু ভারিই হতো। ক্যাম্প ন্যূতে ম্যাচটিতে মেসির ফেরার অপেক্ষায় রয়েছে বার্সা।
প্রথম লেগে ১-১ গোলে ড্রয়ের ম্যাচটিতে গোল করেছিলেন মেসি। কিন্তু সব কিছুর পরেও স্ট্রাইকারদের সাফল্য কোচ আর্নেস্টো ভালভার্দেকে অত্যন্ত সন্তুষ্ট করেছে। মেসির অনুপস্থিতিতে সুয়ারেজ, কুতিনহো, ওসমানে ডেম্বেলে প্রত্যেকেই নিজেদেরকে প্রমাণ করেছেন। বিশেষ করে দুর্দান্ত পাস ও ট্যাকটিসের ক্ষেত্রে সবাইকে ছাড়িয়ে গিয়েছিরেন ডেম্বেলে। তার সহযোগিতায় কুতিনহো দারুন এক ফিনিশিংয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন।
এই জয়ে বার্সেলোনা দ্বিতীয় স্থানে থাকা অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদের থেকে ১১ পয়েন্ট এগিয়ে গেল। অন্যদিকে মালাগা টেবিলের তলানিতেই পড়ে থাকলো।
এর আগে দিনের শুরুতে ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোর দুই গোলে এইবারের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় তুলে নিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এইবারের ইনপুরা মিউনিসিপ্যাল স্টেডিয়ামে ৮৪ মিনিটে রোনাল্ডোর গোলে রিয়ালের জয় নিশ্চিত হয়।
এর আগে ৩৪ মিনিটে লুকা মোদ্রিচেও গোলে এগিয়ে গিয়েছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু ৫০ মিনিটে ইভান রামিসের গোলে সমতা ফেরায় এইবার। এই নিয়ে টানা সাতটি ম্যাচে গোল করলেন রোনাল্ডো। সব মিলিয়ে তার গোলসংখ্যা ১৩। ৩৩ বছর বয়সী এই পর্তুগীজ তারকা ক্লাব ও দেশের হয়ে চলতি মৌসুমে ৩৭টি ম্যাচে করেছেন ৩৫ গোল।
রিয়াল কোচ জিনেদিন জিদান বলেছেন, ‘রোনাল্ডো অন্য গ্রহের মানুষ। সে জানে কিভাবে গোল করতে হয়। সত্যিকার অর্থেই সে একজন ভিন্ন মানের বিশেষ খেলোয়াড়, পরিসংখ্যানই এর প্রমাণ।’
দ্বিতীয় স্থানে থাকা অ্যাথলেটিকোর থেকে রিয়ালের পয়েন্টের ব্যবধান চারই থাকলো। এইবারও ২৮ ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম স্থানে ধরে রেখেছে। ইতোমধ্যেই দুই লেগ মিলিয়ে ৫-২ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে প্যারিস সেইন্ট-জার্মেইকে পিছনে ফেলে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে গ্যালাকটিকোরা।