সাড়ে তিন বছরের চুক্তিতে আর্সেনাল থেকে তুরষ্কের ক্লাব ফেনারবাচে যোগ দিলেন অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার জার্মানির মেসুত ওজিল। গত বছর মার্চে ওজিল সর্বশেষ গানার্সদের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন। ৩২ বছর বয়সী এই জার্মান তারকা এবারের মৌসুমে আর্সেনালের প্রিমিয়ার লিগ ও ইউরোপা লিগের দল থেকে বাদ পড়েছিলেন। চলতি মৌসুম পর্যন্ত তার সাথে গানার্সদের বর্তমান চুক্তি ছিল।
বিবৃতিতে ওজিল বলেছেন, ‘গত প্রায় সাড়ে সাত বছর যাবত আর্সেনালের সাথে দারুণ এক যাত্রায় আমি এই মুহূর্তে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমরা একসাথে শিরোপা জিতেছি ও এমন কিছু দারুণ মুহূর্ত কাটিয়েছি যা সারাজীবন আমার স্মৃতিতে থাকবে।’
তুরস্কের ক্লাবটির সাথে তার বার্ষিক বেতন নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩ মিলিয়ন ইউরো। যদিও আর্সেনালে তার বেতন ছিল বার্ষিক ২০ মিলিয়ন ইউরো। আর্সেনালের জার্সিতে ৮ বছরে ৩টি এফএ কাপের শিরোপা জেতার পাশাপাশি সবধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২৫৪ ম্যাচ খেলে ৪৪টি গোল করেছেন ওজিল। তবে গত মার্চ থেকেই গানার্সদের বর্তমান কোচ মিকেল আর্তেতার দলে উপেক্ষিত ছিলেন তিনি।
২০১৩ সালে রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে সে সময়ের ক্লাব রেকর্ড ৪২.৫ মিলিয়ন পাউন্ড ট্রান্সফার ফিতে আর্সেনালে যোগ দিয়েছিলেন ওজিল। প্রথম মৌসুমেই এফএ কাপের শিরোপার স্বাদ পান বিশ্বকাপ জয়ী এ মিডফিল্ডার। মৌসুমে তিন মাস ইনজুরির কারণে মাঠের বাইরে থাকার পরও ৩২ ম্যাচে মাঠে নামেন ওজিল।
সে বছর টানা দ্বিতীয়বারের মতো এফএ কাপের শিরোপা জেতে আর্সেনাল। পরের মৌসুমে ১৯টি অ্যাসিস্ট করেন তিনি। থিয়েরি অঁরি ও কেভিন ডি ব্রুইনার পর যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। কিন্তু ২০১৭ সাল থেকে ওজিলের পারফরম্যান্স নিয়ে ক্লাবের অভ্যন্তরে অসন্তোষ দেখা দেয়।
২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ক্লাবের ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি বেতনের খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। তার সাপ্তাহিক বেতন দাঁড়ায় সাড়ে ৩ লাখ পাউন্ড। কিন্তু গত গ্রীষ্মে করোনা মহামারির মধ্যে তিনি বেতন কমাতে রাজি হননি। এ নিয়ে ক্লাবের সঙ্গে তার দূরত্ব বাড়তে থাকে। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপজয়ী ওজিল জার্মানি জাতীয় দল থেকে অবসর নেন ২০১৮ সালের জুলাইয়ে।
বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর তখনকার আর্সেনাল কোচ উনাই এমেরির দলে খুব একটা সুযোগ হয়নি। তবে আর্তেতা দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম ১০ ম্যাচেই মাঠে নামেন ওজিল। করোনার কারণে তিন মাস খেলাধুলা বন্ধ থাকার পর খেলা শুরু হলেও আর মূল দলে ফেরা হয়নি তার। এমনকি অক্টোবরে তাকে ইউরোপা কাপ ও প্রিমিয়ার লিগের ২৫ সদস্যের দল থেকে ছাঁটাই করা হয়।
ওজিলের জন্ম জার্মানিতে হলেও তার পূর্বপুরুষরা ছিলেন তুরস্কের। তিনি বিয়েও করেছেন এক তুর্কি নারীকে। তুরস্কের বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোগানের সঙ্গেও তার সম্পর্ক বেশ ভালো। ওজিলের বিয়েতেও উপস্থিত ছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট।
এ নিয়ে অবশ্য তীব্র সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে ওজিলকে। কিন্তু সমালোচনায় পিছপা হননি তিনি। তুরস্কের রাস্তাঘাটে ওজিল ও এরদোগানের হাস্যোজ্জ্বল ছবি সম্বলিত পোস্টার ও বিলবোর্ডও সাটানো হয়েছে।
[sportsmail24.com এর ওয়েবসাইট এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও ব্রাউজ করে পড়তে পারবেন। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস থেকেও খেলাধুলার সকল নিউজ পড়তে পারবেন। ইনস্ট্রল করুন স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস ]