বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার সাবেক সভাপতি সেপ ব্লাটার বলেছেন, তার নিজের এবং মিশেল প্লাতিনির বিপক্ষে আনীত দুর্নীতির তদন্তে তারা মহা বিরক্ত। দুর্নীতির ওই অভিযোগেই পদচ্যুত হয়েছিলেন ব্লাটার।
বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ২০১৫ সালের জুনের আগে কিছুই ঘটেনি। ওই সময় প্লাতিনিকে ২ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঙ্ক প্রদানের বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছিল। তখন ইউরোপেীয় ফুটবলের পরিচালনা সংস্থা উয়েফা প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন সাবেক ফরাসি কিংবদন্তী প্লাতিনি। তবে ওই তদন্তের গতি স্লথ হওয়ায় উস্মা প্রকাশ করে ব্লাটার বলেছেন ‘সময় কিছুটা বেশীই’ নিচ্ছে।
গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে ৮২ বছর বয়সি ব্লাটার ২০২৬ বিশ্বকাপের আয়োজক স্বত্ব যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা ও মেক্সিকোর যৌথ ব্যবস্থাপনায় না দিয়ে মরোক্কোকে দেয়ার পক্ষে মত দেন। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত ফিফার সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন ব্লাটার। দুর্নীতির বদনামের ধাক্কায় পঞ্চমবারের মত ফিফা প্রধান নির্বাচিত হবার পর ক্ষমতাচ্যুত হন ব্লাটার। পরে তিনি ফুটবলের সব ধরনের কর্মকান্ড থেকে বহিষ্কৃত হন আট বছরের জন্য। যেটি কমিয়ে শেষ পর্যন্ত ছয় বছর করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘দুই দফা বিতাড়িত করে প্লাতিনিকে ‘বলির পাঠা’ বানানো হয়েছে।’
ব্লাটার বলেন,‘ কোন কোন মহল চায় না প্লাতিনি ফিফার সভাপতি হোক। কারণ তার কারণেই যুক্তরাষ্ট্র ২০২২ সালের বিশ্বকাপের আয়োজন স্বত্ব লাভ করতে পারেনি। সেটি পেয়েছে কাতার।’ মরোক্কে ২০২৬ বিশ্বকাপের আয়োজক দেখতে চান তিনি। তার দাবি যৌথ আয়োজন হচ্ছে ঝামেলার বিষয়। সাবেক ফিফা প্রধান বলেন,‘আমার সমর্থন আফ্রিকান দেশটির প্রতি।’
ব্লাটার বলেন, ‘২০০২ সালে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ উদ্যোগে বিশ্বকাপ আয়োজন করার পর আমরা বুঝতে পেরেছিলাম যৌথ আয়োজন সঠিক নয়। তখনই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম বিশ্বকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের জন্য যতটুকু সম্ভব একক দেশের আয়োজনকে প্রাধান্য দেয়ার। যেটিকে লিখিত আইনে পরিণত করা হয়েছে। মরোক্কো যদি ৪৮ দেশের অংশগ্রহণে বিশ্বকাপ আয়োজনে সক্ষম হয় তাহলে তাদেরকেই অগ্রাধিকার দেয়া উচিৎ।’