সফরকারী বাসেলের কাছে হেরেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটে জায়গা করে নিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি।
ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামে বুধবার অনুষ্ঠিত ম্যাচে দলে ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামার পরও ফেভারিটের তকমা লাগানো ছিল পেপ গার্দিওলার শিষ্যদের গায়ে। বড় জয়ের লক্ষ্য পূরণ করে কোয়ার্টারের টিকিট লাভ করতে না পারলেও তাদের ১-২ গোলে হারের লজ্জায় ডুবিয়েছে সুইজারল্যান্ডের ক্লাবটি। দুই ম্যাচের ফলাফলে ৫-২ গোলে পিছিয়ে পড়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে বাসেল।
এ নিয়ে গোটা মৌসুমে চারটি পরাজয় দেখল দুর্দান্ত ফর্মে থাকা প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষ পয়েন্টধারীরা। চেলসির বিপক্ষে জয় পাওয়া সর্বশেষ একাদশে ছয়টি পরিবর্তন নিয়ে বুধবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দল গঠন করেন পেপ গার্দিওলা।
কারণ, প্রথম লেগে বাসেল সফরে গিয়ে তাদের ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করে এসেছিল সিটিজেনরা। গতকাল ম্যাচের শুরুতে গ্যাব্রিয়েল জেসুসের গোলে আরো বড় ব্যবধানে পৌঁছে যায় ম্যানচেস্টার সিটি।
তবে মোহামেদ এলাওনৌসির গোলে সমতা ফিরে পাওয়া বাসেলকে ম্যাচের শেষ দিকে গোলের মাধ্যমে সান্তনার জয়ে ভাসান মিখায়েল ল্যাঞ্জ।
এই মুহূর্তে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা অনেকটাই নিশ্চিত করে ফেরেছে ম্যানচেস্টার সিটি। যে কারণে তাদের পরবর্তী লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জয় করা। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই বুধবারের ম্যাচে বিশ্রাম দিয়েছিল সার্জিও এগুইয়েরো, কেভিন ডি ব্রুইয়ান ও ডেভিড সিলভার মতো দুর্দান্ত তারকাদের।
যাতে পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জয়ের মাধ্যমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জয় করতে পারে। ক্লাবের আবুধাবীর মালিকের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন চ্যাম্পিয়ন্স লীগের শিরোপা জয় করা।
অনুষ্ঠিত ম্যাচে গার্দিওলা যে কয়জন নিয়মিত দলের খেলোয়াড়কে একাদশভুক্ত করেছিলেন তাদের মধ্যে ছিলেন লেরয় সেন। তিনি ম্যাচের প্রথম গোলে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি অসাধারণ পারফর্মেন্স প্রদর্শন করেছেন।
নতুন বছরের প্রক্কালে হাঁটুর লিগামেন্টের সমস্যার কারণে সাইডলাইনে চলে যাওয়ার পর জেসুস এদিন প্রথম সূচনা একাদশের হয়ে মাঠে নামেন। বানিয়ে দেয়া বলকে প্রতিপক্ষের জালে পাঠানোর সহজ কাজটি তিনিই সেরেছেন।
ম্যাচের অষ্টম মিনিটে লেরয় সেনের বাড়ানো বল ধরে ডান দিক থেকে নিচু ক্রস করেন বার্নার্ডো সিলভা। এ সময় দ্বিতীয় বার-এর কাছে ফাঁকায় থাকা ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড জেসুস নিখুঁত টোকায় লক্ষ্যভেদ করেন (১-০)।
পরের আক্রমন থেকে সেনের কাট ব্যাকের বলটি বাসেলের গোলরক্ষক বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে আটকে না দিলে আরো একটি গোল পেতো সিটিজেনরা। সফরকারী দলের গোলরক্ষক টমাস ভাচলিক প্রতিহত করেছেন ইলকি গুন্ডগানের আরো একটি প্রচেষ্টা।
এরপরই গোল করে লড়াইয়ে ফিরে বাসেল। ম্যাচের ১৭তম মিনিটে ডি বক্সের ভেতর সিটি ডিফেন্ডার জন স্টোনের পায়ে লেগে বল পেয়ে যান এলাওনৌসি। ডান পায়ের জোরালো ভলিতে সিটি গোল রক্ষক ক্লাওদিও ব্রাভোকে পরাস্ত করেন মরক্কোর বংশোদ্ভূত নরওয়ের এই ফরোয়ার্ড (১-১)।
দ্বিতীয়ার্ধেও মাঠে একচেটিয়া প্রাধান্য ছিলো সিটিজেনদের। তারপরও গোল হজম করে হার মানতে হয়েছে সফরকারীদের কাছে। ৭১তম মিনিটে এলাওনৌসির বাড়ানো বল ডান পায়ের জোরালো শটে ঠিকানায় পৌঁছে দেন মিখাইল ল্যাঞ্জ (১-২)।