পুরো খেলায় বল দখলে এগিয়ে ছিল বার্সেলোনা। এগিয়ে ছিল প্রতিপক্ষ জুভেন্টাসের জালের উদ্দেশ্যে শটের সংখ্যাও। তবে হয়নি কাঙ্ক্ষিত সেই গোলের দেখা। উল্টো নিজেদের ভুলে দুটি পেনাল্টি এবং আরও এক দুর্দান্ত গোলে ৩-০ ব্যাবধানে বার্সাকে হারিয়ে দিয়েছে জুভেন্টাস। পেনাল্টি থেকে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো দুটি এবং বাকি গোলটি করেছেন ম্যাককেনি।
মেসি-রোনালদোর দেখায় পুরো ম্যাচে বল দখলে এগিয়ে ছিলেন বার্সা তারকা। ভালো খেলে গোলের সুযোগও পেয়েছিলেন, তবে কাঙ্ক্ষিত গোল -সেটি পাননি তিনি। বিপরীতে জুভেন্টাস ম্যাচের ১৩তম মিনিটে এগিয়ে যায়। সফল স্পট কিকে থেকে গোলে আদায় করে নেন রোনালদো।
ডি-বক্সে রোনালদোকে ফাউল করে বসেন ডিফেন্ডার রোনালদো আরাহো। সঙ্গে সঙ্গে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। স্পট কিক থেকে সোজাসুজি শটে গোল আদায় করেন নেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড। এর ফলে চলতি আসরে টানা তিন ম্যাচে গোলের দেখা পান রোনালদো।
প্রথম গোলে ১-০ ব্যবধান দ্বিগুণ হতে বেশি সময় লাগেনি জুভেন্টাসের। প্রথম গোলের মাত্র ৭ মিনিট পর স্কোর লাইন ২-০ হয়। খেলার ২০তম মিনিটে দারুণ নৈপুণ্য দেখান ম্যাককেনি। ডি-বক্সের বাইরে থেকে শরীর পুরো শূন্যে ভাসিয়ে ডান পায়ের ভলিতে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি। ফলে প্রথমার্ধের ২০ মিনিটেই ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে বার্সেলোনা।
পিছিয়ে পড়ে প্রথমার্ধের শেষ পাঁচ মিনিট জুভেন্টাস শিবিরে আক্রমণ বাড়িয়েছিল বার্সেলোনা। সুযোগও পেয়েছিলেন মেসি. তবে গোলরক্ষকে পরাস্ত করতে পারেননি। ব্যবধান কমানো সম্ভাবনা জাগলেও সেটি আর হয়নি। ফলে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় তারা।
দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমে আবারও হতাশ হয় বার্সেলোনা। ডি-বক্সের ভেতর ডিফেন্ডার ক্লেমোঁ লংলের হাতে বল লাগলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টির বাঁশি বাজার রেফারি। ৫২তম মিনিটে সফল স্পট কিক থেকে নিজের দ্বিতীয় গোল আদায় করে নেন রোনালদো। এর ফলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রেকর্ড গোলদাতার প্রতিযোগিতায় মোট গোলের দাঁড়ায় ১৩৪।
৩-০ গোলের এগিয়ে গিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় জুভেন্টাস। এরপরও বার্সেলোনা বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েছিল ম্যাচে ফেরার। তবে তার আর হয়নি। ম্যাচের ৭০তম মিনিটে পেনাল্টি পেয়েছিল বার্সেলোনা, তবে আগ মুহূর্তে গ্রিজমান অফসাইডে থাকায় সেটি বাতিল হয়ে যায়। এরপর ৭৬তম মিনিটে খুব কাছ থেকে বোনুচ্চি গোল করলেও অফসাইডের কারণে তা বাতিল হয়ে যায়।
নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে আবারও হতাশ হয় বার্সেলোনা। ডি-বক্সের মুখ থেকে বুফ্ফনের বাঁ পায়ের শট ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন বিশ্বকাপজয়ী এ গোলরক্ষক। ফলে শেষ পর্যন্ত একবারের জন্য হলেও আর জুভেন্টাসের জালের দেখা পায়নি বার্সেলোনা।
এ ম্যাচ জয়ে বার্সেলোনাকে পিছনে ফেলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলো জুভেন্টাস। যদিও ৬ ম্যাচে সমান ৫ জয়ে দুই দলেরই ১৫ পয়েন্ট করে রয়েছে।
[sportsmail24.com এর ওয়েবসাইট এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও ব্রাউজ করে পড়তে পারবেন। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস থেকেও খেলাধুলার সকল নিউজ পড়তে পারবেন। ইনস্ট্রল করুন স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস ]