পোর্তোর মাঠে প্রথম লেগে ৫-০ গোলে জয় তুলে নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়া প্রায় নিশ্চিত ছিল লিভারপুলের। এবার সেটি আবও নিশ্চিত করলো। এনফিল্ডে অনেকটা নিয়মরক্ষার ম্যাচে একাদশের তিনজনকে বাইরে রেখেই দল সাজান ইয়োর্গেন ক্লপ। ফর্মের তুঙ্গে থাকা মোহাম্মদ সালাহকেও একাদশে রাখেননি এ জার্মান কোচ।
তবে পোর্তোর সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-০ গোলে জিতে ২০০৯ সালের পর প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের পা রাখলো লিভারপুল।
প্রথমার্ধের নিষ্প্রভ ফুটবলের পসরা সাজিয়ে বসে দুদল। প্রথমার্ধে ৩টি শট নিয়েও একটি শটও গোলমুখে নিতে পারেনি সাদিও মানে-ফিরমিনোরা। অন্যদিকে পোর্তোর একটি শট রুখে দেন লিভারপুলের গোলকিপার কারিউস। দুই দলই বল দখলের লড়াইয়ে বেশি ব্যস্ত ছিল তাই প্রথমার্ধে বলার মতো কোনো দলই তেমন ভালো খেলতে পারেনি।
রক্ষণাত্মক কৌশলের খোলস ছেড়ে দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে শুরু করে দুদলই। ৫২ মিনিটে পোর্তোর ওয়ারিসের শট রুখে দেন লিভারপুল গোলকিপার। লিভারপুলের ভাগ্য বদলের জন্য ৭৪ মিনিটে মানের পরিবর্তে মাঠে নামেন মোহাম্মদ সালাহ। তাতেও গোলের দেখা পেল না ক্লপের দল।
৮৩ মিনিটে সালাহর অসাধারণ একটি শট গোলবারের বাইরে দিয়ে চলে যায়। যেখানে প্রথমার্ধে একটি শটও গোলমুখে নিতে পারেনি লিভারপুল সেখানে দ্বিতীয়ার্ধে ৫টি শট নিয়েও পোর্তোর গোলকিপার কাসিয়াসকে পরাস্ত করতে পারেনি ফিরমিনো-সালাহরা। এর ফলে গোলশূন্য ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।