চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নিজেদের যোগ্যতা আবারও প্রমাণ করলো রিয়াল মাদ্রিদ। ঘরের মাঠে প্রথম লেগে পিএসজিকে ৩-১ গোলে হারানোর পর দ্বিতীয় লেগেও পিএসজিকে হারারো তারা।
নেইমারবিহীন পিএসজিকে তাদের মাটিতে ২-১ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার নিশ্চিত করলো জিদানের দল। টানা ৮ বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টারে উঠলো রিয়াল। রিয়ালের হয়ে দুটি গোল করেন রোনালদো এবং কাসেমিরো। পিএসজির হয়ে সান্ত্বনাসূচক গোলটি করেন কাভানি।
ম্যাচে নেইমারবিহীন পিএসজি প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে। ডি মারিয়ার একের পর এক ক্রস রিয়াল ডিফেন্ডারদের গায়ে লেগে প্রতিহত হয়। ম্যাচের প্রথম সুযোগটা অবশ্য পায় রিয়াল মাদ্রিদ। ডান পাশ থেকে আসেনসিওর ক্রসে সার্জিও রামোস শট করলে দুর্দান্ত ভঙিমায় রুখে দেন পিএসজির গোলকিপার আরিওলা।
প্রথমার্ধের রিয়াল সবথেকে সহজ সুযোগটি পায় ৩৯ মিনিটে। মার্সেলোর ক্রস থেকে গোলকিপারকে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন ফ্রেঞ্চ স্ট্রাইকার করিম বেনজেমা। অথচ আজকেই কিনা তার সুযোগ ছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজের শততম ম্যাচটিকে আরও স্মরণীয় করে রাখার। পুরো প্রথমার্ধে ৫৭ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রেখেও মাত্র ৩টি শট গোলমুখে করতে পেরেছে পিএসজি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোলের ক্ষুধায় মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে পিএসজি। ম্যাচের ৪৮ মিনিটে কাভানির ক্রস থেকে থিয়াগো মোত্তার শট গোলবারের উপর দিয়ে চলে গেলে গোলবঞ্চিত হয় পিএসজি। কিন্তু স্রোতের বিপরীতে ৫২ মিনিটেই পিএসজির ডিফেন্স ভাঙেন ক্রিস্টিয়ান রোনালদো। আসেন্সিওর ক্রস থেকে অসাধারণ হেডে গোল করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান এই পর্তুগিজ ফুটবলার।
গোল খেয়ে মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে পিএসজি। কারণ, তখন তাদের কোয়ার্টারে যেতে দরকার ৫ গোল। অন্তত যদি ৩টি গোলও তারা দিতে পারে তাহলে ম্যাচ চলে যাবে অতিরিক্ত সময়ে। এতসব সমীকরণের মারপ্যাচে ৬৭ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ডের ফলে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন পিএসজির ভেরাত্তি। দশ জনের দলে পরিণত হয়ে আরও দুর্বল হয়ে যায় উনাই এমেরির শীষ্যরা। ৭১ মিনিটে ডিবক্সের ভেতর জটলা থেকে পিএসজির হয়ে একমাত্র গোলটি করেন কাভানি।
ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দিলেও শেষ রক্ষা হয়নি তাদের। উলটো ম্যাচের ৮১ মিনিটে গোল করে রিয়াল মাদ্রিদের কোয়ার্টারে যাওয়া নিশ্চিত করেন ব্রাজিলিয়ান কাসেমিরো। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-২ গোলে পিএসজিকে হারিয়ে হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের দিকে ভালোভাবেই এগিয়ে গেলেন জিনেদিন জিদান।