রেলিগেশন জোনে থাকা ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে হারতে হারতেই শেষ পর্যন্ত জয় পেয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
সোমবার প্যালেস সফরে গিয়ে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়েছিল হোসে মরিনহোর দল। তবে ইনজুরি টাইমে নেমেনজা ম্যাটিচের দুর্দান্ত এক শটের গোলে শেষ পর্যন্ত ২-৩ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রেড ডেভিলরা।তবে শেষ পর্যন্ত এই জয়ে ভাগ্যদেবী নিজ দলের পক্ষে ছিল বলে মন্তব্য করেছেন ইউনাইটেড কোচ মরিনহো।
শেলহার্শট পার্কে ম্যাচের শুরুতে অ্যান্ড্রোস টাউনসেন্ড ও পাট্রিক ফন আনহল্টের গোলে পিছিয়ে পড়ে মরিনহোর শিষ্যরা। তবে ক্রিস স্মলিং প্রথম গোল পরিশোধের পর রোমেলু লুকাকু ইউনাইটেডকে সমতায় ফিরিয়ে আনলে অতিরিক্ত সময়ে সার্বিয়ান মিডফিল্ডার ম্যাটিচের দুর্দান্ত গোলে নাটকীয় জয় পায় ইংলিশ জায়ান্টরা।
রেলিগেশন জোন থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠা প্যালেস যখন ২-০ গোলে লিড জয়ে লিভারপুলকে পিছিয়ে দিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে আসে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
২৯ ম্যাচে তাদের এখন সংগ্রহ ৬২ পয়েন্ট। ৬০ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে নেমে গেছে যাওয়া লিভারপুল আগামী শনিবার খেলতে যাবে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে। লিগে ৭৮ পয়েন্ট নিয়ে সবার ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেছে পেপ গুয়ার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটি। ৫৮ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে টটেনহ্যাম। টেবিলের শীর্ষ চারটি দল সুযোগ পাবে পরবর্তী চ্যাম্পিয়ন্স লেিগর চূড়ান্ত পর্বে সরাসরি অংশগ্রহণের।
খেলা শেষে মরিনহো বলেন, ‘শেষ ভাগে যতসামান্য সময়ের মধ্যে জয় নিশ্চিত করতে হলে আপনাকে অবশ্যই সামান্যতম হলেও ভাগ্যের সহায়তার পেতে হবে। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা খুবই মানসম্পন্ন ফুটবল খেলেছি। এর আগে রক্ষণভাগে আমরা অনেক ভুল করেছি। দ্বিতীয় গোল হজমের পর অনেক কিছুই পাল্টে গিয়েছিল। হাতাশা নেমে এসেছিল দলের মধ্যে। এমন পরিস্থিতিতেও খেলোয়াড়রা তাদের দারুন আচরণের মাধ্যমে মনোবল ধরে রেখেছিল। ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর স্বাগতিক দলের বিপক্ষে ম্যাচে ফিরে পূর্ণ পয়েন্ট অর্জন করাটা যেনতেন ব্যাপার নয়। এটি আমাদের দারুন অনুভুতি এনে দিয়েছে।’
তলানীর তৃতীয় দলটি এদিন সোমবার দারুন খেলা উপহার দিয়েছে। হৃদয় বিদারক হারটি এড়াতে পারলে এক পয়েন্ট বেশি নিয়ে রেলিগেশন জোন থেকে উঠে আসতে পারত প্যালেস।
সোমবার রাতে নিজেদের মাঠে ম্যাচের একাদশ মিনিটে অ্যান্ড্রোস টাউনসেন্ডের গোলে এগিয়ে যায় ক্রিস্টাল প্যালেস। ইউনাইটেডের বক্সে জটলা থেকে বল পেয়ে প্রায় ১৮ গজ দূর থেকে ইংলিশ এই উইঙ্গারের বাঁ পায়ের জোরালো শট ডিফেন্ডার লিন্ডেলফের গায়ে লেগে ডেভিড ডি গিয়াকে ফাঁকি দিয়ে জালে জড়িয়ে যায় বল (১-০)।
দ্বিতীয়ার্ধের তৃতীয় মিনিটে আনহল্টের গোলে দ্বিগুণ ব্যবধানে পৌঁছে যায় প্যালেস (২-০)। তবে সাত মিনিট পর অ্যান্টনিও ভালেন্সিয়ার ক্রসে ক্রিস স্মলিংয়ের হেডে ব্যবধান কমে (২-১)।
আর ৭৬তম মিনিটে সমতায়ও পৌঁছে যায় ইউনাইটেড। আলেক্সিস সানচেজের শট প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে দিক পাল্টে ক্রসবারে লেগে ফিরলে ডি-বক্সে জটলায় বল পেয়ে যান রোমেলু লুকাকু। দুই ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে বেশ ধীরস্থিরভাবেই বল জালে পাঠান বেলজিয়ামের এই ফরোয়ার্ড। যোগ করা সময়ে ২৫ গজ দূর থেকে জোরালো ভলিতে গোল করে ইউনাইডেটকে নাটকীয় এক জয় এনে দেন ম্যাটিচ (২-৩)।