দুই গোলে পিছিয়ে এক সময় হারের শঙ্কায় ছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়িয়ে উল্টো তিন গোল দিয়ে শেষ পর্যন্ত ক্রিস্টিল প্যালেসের বিপক্ষে ৩-২ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে মরিনহোর দল।
নিজেদের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকেই ম্যানচেস্টারের শিবিরে আক্রমণ করে খেলতে থাকে স্বাগতিক ক্রিস্টাল প্যালেস। ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে গোলের সুযোগ পেয়েছিল দলটি। তবে কর্নার থেকে পাওয়া বলে জেমস টমকিন্সের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পরের মিনিটে গোলের সুযোগ পেয়েছিল সফরকারী দলের তারকা সানচেজও। ডি বক্সের নেয়া তার হেড ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক।
ম্যাচের ১১ মিনিটে স্বাগতিকদের লিড এনে দেন আন্দ্রোস টাউনসেন্ড। বেনটেকের বাড়ানো বলে ডি বক্সের বাইরে থেকে বাঁ-পায়ের শট নেন এই তারকা। লিনডেলপের গাঁয়ে লেগে বল গিয়ে জালে জড়ায়। দাঁড়িয়ে থেকে দেখা ছাড়া কোন উপায় ছিল ডি গিয়ার।
পিছিয়ে পরে সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে সফরকারী দলটি। ম্যাচের ৪০ মিনিটে লিনগার্ডের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ফলে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
বিরতি থেকে ফিরেই স্বাগতিকদের আবারও এগিয়ে দেন প্যাট্রিক ভ্যান অ্যানহোল্ড। দ্রুত ফ্রিক কিক থেকে পাওয়া বল জোড়াল শটে জালে জড়ান এই তারকা।
দুই গোলে পিছিয়ে হারের শঙ্কায় পড়ে দলটি। আক্রমণে ধার বাড়িয়ে দেয় লুকাকু-সানচেজরা। ম্যাচের ৫৫ মিনিটে গোল করে ব্যবধান কমান স্মলিং। ভালেন্সিয়ার বাড়ানো বল হেডে জালে জড়ান এই ডিফেন্ডার। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে মাতিচের শট গোললাইন থেকে ফেরান স্বাগতিক দলের ডিফেন্ডার।
অবশেষে ম্যাচের ৭৬ মিনিটে ম্যানচেস্টারকে সমতায় ফেরান লুকাকু। বাঁ-পায়ের জোড়াল শটে লিগে নিজের ১৪তম গোল করেন বেলজিয়ামের এই তারকা। আর যোগ করা সময়ে মাতিচ গোল করলে শেষ পর্যন্ত জয়ের স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়ে মরিনহোর দল।