ডান পায়ের ফিফথ মেটাটারসালে অস্ত্রোপচারের পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই নেইমারকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেয়া হলো। ব্রাজিল ফুটবল দলের সার্জন রদ্রিগো লাসমালের অধীনে এই অস্ত্রোপচার করা হয়। যদিও ডাক্তার জানিয়েছেন, নেইমারের সুস্থ হতে অন্তত তিন মাস সময় লাগবে। সফল অস্ত্রোপচারের পর এখন শুরু হবে নেইমার কত দ্রুত সুস্থ হতে পারেন, সেই অভিযান। যে প্রক্রিয়াকে বলা হয়, রিহ্যাবিলিটেশন। বাংলায় পূনর্বাসন।
হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার পরই প্রকাশ্যে দেখা যায় নেইমারকে। বেলো হরাইজন্তের মাতেরডেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে রিলিজ দেয়ার পর সেখান থেকে একটি হেলিকপ্টারে করে বিমান বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয় নেইমারকে। এরপর ব্যক্তিগত বিমানে করে তিনি চলে যান মানগারাতিবা রিসোর্টে চলে যান তিনি। রিও ডি জেনিরো থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দুরে এই বিলাসবহুল রিসোর্ট।
ব্রাজিলের মিডিয়া জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই নেইমারের রিহ্যাবের ব্যাপারে সমস্ত প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। তার বিশেষ রিহ্যাবের জন্যই এই বিলাসবহুল রিসোর্টটিকে বেছে নেয়া। রিসোর্টে একটি জিম ছাড়াও এমন একটি যন্ত্র আছে যা দিনে ৩০০ কেজি বরফ তৈরি করতে পারে। আধুনিক সব বড় ফুটবল ক্লাবেই এখন এ রকম যন্ত্র থাকে।
নেইমারের রিহ্যাবের দায়িত্বে রয়েছেন ব্রাজিল এবং পিএসজির ফিজিওথেরাপিস্ট রাফায়েল মার্টিনি। ব্রাজিলের তারকা ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই তিনি তার সঙ্গে কাজ করছেন।
যতই যত কিছু করা হকো, সবার একটাই প্রশ্ন, কবে মাঠে ফিরতে পারবেন নেইমার? তবে, এখনও তার মাঠে ফেরার ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি কোনো পক্ষ থেকে। যদিও ডাক্তার জানিয়েছেন ৩ মাস লাগতে পারে। তবে, ছয় সপ্তাহ পর নেইমারের চোট পরীক্ষা করা হবে। অস্ত্রোপচারের সময় পিএসজির হয়ে চিকিৎসক জেরার সাইল্যান্ট উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলছেন, ‘নেইমার কবে মাঠে ফিরতে পারবে সে ব্যাপারে ছয় সপ্তাহের আগে কিছুই বলা যাবে না।’
নেইমারের রিহ্যাবের দায়িত্ব কার হাতে থাকবে তা নিয়েও ব্রাজিল আর পিএসজির মধ্যে একটা চাপা উত্তেজনা ছিল বলে শোনা যাচ্ছে। যদিও পিএসজি ক্লাবের ওয়েবসাইটে জানিয়ে দিয়েছে, ‘অস্ত্রোপচারের পরই নেইমারের রিহ্যাব শুরু হয়ে যাবে। তার রিহ্যাবের ব্যাপারটা দেখবেন ক্লাবের ফিজিওথেরাপিস্ট।’