চলতি বছরের ৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারশনের (বাফুফে) নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে চতুর্থ মেয়াদে সভাপতি পদে নির্বাচন করা কাজী সালাউদ্দিনকে নিয়ে। তিনি জনপ্রিয় বলেই কি-না তাকে নিয়ে এতো বেশি আলোচনা হচ্ছে। বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বাফুফে ভবনে এমন মন্তব্য করেছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমি জনপ্রিয় বলেই আমাকে নিয়ে আলোচনা হয়।
তিন ধাপে বাফুফের সভাপতি হিসেবে থেকেও বাংলাদেশ ফুটবলের আহামরী কোন উন্নতি করতে পারেননি সালাউদ্দিন। তার সময়ে বাংলাদেশ যতটা না সফল তার চেয়ে বেশি ব্যর্থ। আর ওই ব্যর্থতার কারণেই র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ দল ক্রমান্বয়ে পিছিয়েছে। আর তাই তো চতুর্থ মেয়াদে তাকে সভাপতি হিসেবে দেখতে চায় না ফুটবল সমর্থকদের একটি অংশ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘সেইভ ফুটবল’ ও ‘সালাউদ্দিন আউট’ হ্যাশট্যাগে সয়লাব ফুটবল সমর্থকদের একটি অংশ। শুধু তাই নয় বাফুফের সভাপতি পদে সালাউদ্দিনকে আর দেখতে চান না বলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে বেশ কিছু ফুটবল সমর্থক। শুধু ঢাকাতেই নয় মানববন্ধন করা হয়েছে ঢাকার বাইরেও।
তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করার পর বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বাফুফে ভবনে কথা বলেছেন কাজী সালাউদ্দিন। তাকে নিয়ে এতো বেশি আলোচনা-সমালোচনার কারণে নিজেকে জনপ্রিয় দাবি করছেন তিনি। যেখানে তিনি বলেন, ‘আমাকে নিয়ে যখন আলাপ হয় এর অর্থ দাঁড়ায় আমি জনপ্রিয়। আসলে আমার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নাই। আমি জানি না, আমাকে অফিস বলে।’
তার বিরুদ্ধে যারা সমালোচনা করছেন তাদের এক নিয়েছেন সালাউদ্দিন। সমালোচনাকারীদের ভুলও ধরেছেন তিনি। তিনি মনে করেন যারা তাকে নিয়ে সমালোচনা করছেন তারা তার নামটাও সঠিকভাবে জানে না। সেই সাথে তাদের এই সমালোচনা তেমন গুরুত্ব দিচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন,‘একটি ইন্টারেস্টিং জিনিস দেখছি। ধরেন এক হাজার ডিসলাইক আসলো সেখানে(ফেসবুকে)। নাম আসছে কাজী সালাউদ্দিন আহমেদ। আপনারা সবাই আমার নাম জানেন। এখন এক হাজার লোক তো ভুল করতে পারে না। তার মানে আমি বুঝছি একটা প্ল্যাটফর্ম এই প্রচারণা করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। আপনারা জানেন ফেসবুকে প্ল্যাটফর্ম করা কোনও ব্যাপারই না। এক হাজার লোক তো আমার নাম ভুল করতে পারে না। দুই-চার জন করতে পারে। এ কারণে আমি এটাকে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছি না।( আমি বুঝতেছি দিস ইজ প্রফেশনালি ডান।)’
তার দাবি ফুটবলের উন্নয়ন করতেই বাফুফে’তে এসেছেন তিনি। তাই সেদিকেই মনোযোগ দিতে চান তিনি। তার বিরুদ্ধে যারা ‘অপপ্রচার’ চালাচ্ছে ওই সব ‘অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে’ কোনো ব্যবস্থা তিনি নিতে চান না। তিনি বলেন ,‘আমি তো এতো বছর অ্যাকশন নিইনি। আমি এখানে আসছি ফুটবলের উন্নয়ন করতে। তারা (প্রতিপক্ষ) বলছে আমাকে পদত্যাগ করতে। পদত্যাগ করার তো সুযোগ নেই। নির্বাচন ১৫ দিন পরে। আপনি নির্বাচনে জিতে আসেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনি আজ যদি দেশের প্রেসিডেন্টকে পদত্যাগে করতে বলেন ..ইজ দেয়ার এনি লজিক? হ্যাঁ, আপনি কখন আমাকে পদত্যাগ করতে বলবেন যখন আমি নির্বাচনটা দিচ্ছি না। আমি নির্বাচন না দিয়ে বসে আছি। নির্বাচনের সময় পার হয়ে গেছে। আমি নির্বাচন দেওয়ার জন্য পাগল হয়ে গেছি। আমার প্রতিপক্ষ বলে তা পিছিয়ে দিতে।’
৩ অক্টোবরের নির্বাচনের ব্যালটে সভাপতি পদে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নাম থাকছে সাবেক ফুটবলার শফিকুল ইসলাম মানিক ও বাদল রায়ের। যদিও বাদল রায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা বলছেন। কিন্তু সে ঘোষণা সময়মতো না আসায় কাগজে-কলমে থাকছেন তিনি।
এ ব্যাপারে সালাউদ্দিন বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন তো স্বাধীন। ও (বাদল) লেটে দিয়েছে তাই নাম রয়ে গেছে। সব নির্বাচনই কঠিন। আমি তো নির্বাচন করে আসছি। আপনারা দেখেছেন। খেলোয়াড়ি জীবনে ছোট বা বড় দল বাছ-বিচার করতাম না। সব ম্যাচেই জিততে হবে। নির্বাচনও তাই।’
[sportsmail24.com এর ওয়েবসাইট এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও ব্রাউজ করে পড়তে পারবেন। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস থেকেও খেলাধুলার সকল নিউজ পড়তে পারবেন। ইনস্ট্রল করুন স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস ]