ডোপিংয়ের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ম্যানচেস্টার সিটি ও ফ্রান্সের সাবেক মিডফিল্ডার সামির নাসরিকে ছয় মাসের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ইউরোপীয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ইউয়েফা।
৩০ বছর বয়সী নাসরি ২০১৬ সালে লস এ্যাঞ্জেলসের একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক ধরনের ওষুধ গ্রহণ করেছিলেন যা গত বছর মার্চে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও এখনও নাসরির সামনে নিষেধাজ্ঞার বিপক্ষে আপীলের সুযোগ আছে বলে ইউয়েফা জানিয়েছে। ওয়ার্ল্ড এন্টি ডোপিং এজেন্সির নিষিদ্ধ ওষুধের তালিকায় নাসরির এই মেথড সম্পর্কে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আর তা প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ চার বছরের নিষেধাজ্ঞার কথাও বলা আছে। গত মাসে তুরষ্কের ক্লাব এন্টালিয়াসপোর ছাড়ার পরে এখন পর্যন্ত নাসরি ক্লাব বিহীন রয়েছেন। ছুটিতে থাকাকালীন নাসরি লস এ্যাঞ্জেলসে বেড়াতে গেলে সেখানকার একটি ক্লিনিকে তাকে ইন্ট্রাভেনাস ভিটামিন বুস্টার চিকিৎসা দেয়া হয়। ঐ ক্লিনিকের সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক টুইটারে এই তথ্য জানালে ডোপিং নিয়ে নাসরির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। ঐ সময় নাসরি সিটি থেকে ধারে সেভিয়াতে খেলছিলেন। গণমাধ্যমে সংবাদটি আসার পর নাসরি বিষয়টি নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন। স্প্যানিশ এন্টি ডোপিং কর্তৃপক্ষ দ্রুত বিষয়টি আমলে নিয়ে ২০১৬ সালের শেষ নাগাদ তদন্ত শুরু করে।
নিজ শহর মার্সেইর হয়ে তরুণ বয়সে নিজেকে প্রমাণ করা নাসরি পরবর্তীতে আর্সেন ওয়েঙ্গারের কারণে ২০০৮ সালে আর্সেনালে খেরার সুযোগ পেয়েছিলেন। তিন বছর পরে ২৫ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে সিটিতে চুক্তিভুক্ত হন। সিটিতে খেলেছেন ২০১১-১৭ পর্যন্ত। সিটির হয়ে তিনি দুটি প্রিমিয়ার লীগ শিরোপা জিতেছেন। কিন্তু তারপর ধারে সেভিয়াতে যাবার পরে গত মৌসুমের শেষে তুরষ্কের ক্লাবের সাথে চুক্তি করেন।