ক্রিকেটের তৃপ্ততা, রোমাঞ্চ কিংবা ক্রিকেটে শৈল্পিকতা সবটাই নিহিত টেস্ট ক্রিকেটে। টেস্ট ক্রিকেটেই খুঁজে পাওয়া যায় ব্যাট বলের লড়াইয়ের আসল সৌন্দর্য্যটা। যেখানে পরতে পরতে রয়েছে রহস্য আর রোমাঞ্চ। ক্রিকেট যদি একটা নাটক হয় তাহলে টেস্ট ক্রিকেট সেই নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র। যার বিরচণে প্রতিটি গল্প কথায় আর প্রতিটি দৃশ্যকল্পে।
টেস্ট ক্রিকেটের শুরু আজ থেকে ১৪৩ বছর আগে। এই ১৪৩ বছরে ২৩৮৭ টি টেস্ট ম্যাচ খেলা হয়েছে। টেস্ট ক্রিকেটের এত বছরের ইতিহাসের পাতায় লেখা হয়ে গেছে অসংখ্য রেকর্ড, উৎপত্তি হয়েছে কত না প্রত্যাশিত, অপ্রত্যাশিত ঘটনার। কত না আশ্চর্য ঘটনার গল্প লিখেছে এই টেস্ট ক্রিকেট। টেস্ট ক্রিকেটে ১৬১৯ জয়, ৭৬৬ ড্র আর ২টি ম্যাচ টাই হয়েছে। কি কপালে চোখ আটকে গেল? আবার বলছি টেস্ট ক্রিকেটে ২ টি ম্যাচ টাই হয়েছে।
টেস্ট ক্রিকেটে জয়, পরাজয় নয়তো ড্র এই ঘটনা গুলোর পুনরাবৃত্তি বেশি দেখা যায়। টেস্ট ক্রিকেটে যদিও টাই খুব একটা দেখা যায় না। দেখা যায় বলতে ইতিহাসেই অনেকটা বিরল বলতে পারেন ডাইনোসর এখনো পৃথিবীতে আছে এমন টাইপ কিছু। টেস্ট ক্রিকেটে দুইবার টাই হয়েছিল যেখানে ১৯৬০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ম্যাচ ও ১৯৮৬ সালে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ম্যাচ। তবে আরও দুটি ম্যাচ আছে যে ম্যাচ গুলোতে রান সংখ্যা সমান হওয়ায় ড্র ঘোষণা করা হয়।
রান সংখ্যা সমান হওয়ার পর খেলা শেষ হলে তাকে টাই বলা হয় যদিও এই ম্যাচ দুটিকে ড্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ড্র আর টাইয়ের মাঝে পার্থক্য রয়েছে। ১৯৯৬ সালে জিম্বাবুয়ে ও ইংল্যান্ড আর ২০১১ সালে ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার ম্যাচ দুইটি রান সংখ্যা সমান হওয়ায় ড্র ঘোষণা করা হয়।
দুইটি টাই টেস্টের পাশাপাশি আরও দুইটি টেস্টের ফলাফলে রান সংখ্যা সমান ছিল। কিন্তু, চতুর্থ ইনিংসে সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ায় ড্র হয়ে যায়। তবে, ব্যাটিংকারী দলের তখনও উইকেট হাতে ছিল। এ খেলাগুলো টাই নয়, ড্র হিসেবে পরিচিতি পায়।
মজার তথ্য হলো উভয় টাই টেস্টেই অস্ট্রেলিয়া দলের অংশগ্রহণ ছিল। উভয় খেলাই খেলার শেষদিনের শেষ ওভার পর্যন্ত খেলা হয়। আর একমাত্র ব্যক্তি হিসেবে বব সিম্পসন উভয় টেস্টের সাথেই সম্পৃক্ত ছিলেন। প্রথমটিতে খেলোয়াড় হিসেবে ও পরেরটিতে অস্ট্রেলিয়া দলের কোচ হিসেবে অংশগ্রহণ ছিল তার।
প্রথম টাই টেস্ট, ১৯৬০
১৯৬০ সালে ৯ ডিসেম্বর ব্রিসবেনে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয় সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক ফ্রাঙ্ক ওরেল। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় সফরকারীরা। শুরুর ৬৫ রানেই টপঅর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বসে ক্যারিবিয়রা। তবে সেখান থেকে চতুর্থ উইকেট জুটিতে আলোর পথ দেখান অধিনায়ক ফ্রাঙ্ক ওরেল ও গ্যারি সোবার্স। ওরেল ৬৫ রান করে আউট হয়ে ফিরলে জো সোলোমনের সাথে জুটি গড়েন গ্যারি সোবার্স। শেষ পর্যন্ত গ্যারি সোবার্সের অনবদ্য ১৩২, ওরেল ৬৫, সোলোমনের ৬৫ আর আলেক্সান্ডারের ৬০ রানে ৪৫৩ রানে অলআউট হয় ক্যারিবিয়রা। অজিদের হয়ে ১৩৫ রানে ৫ উইকেট নেন অ্যালান ডেভিডসন।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে সফরকারীদের বেশ ভালোভাবেই জবাব দিতে থাকে নর্ম ও' নীল ও সিমসনরা। নর্ম ও'নীলের ১৮২ ও সিমসনের ৯২ রানের সুবাদে ৫০৫ রানে অলআউট হয় স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। ক্যারিবিয়দের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন ওয়েস হল। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে আরও সুবিধা করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেয়া ডেভিডসনের আগুনঝরা বোলিং মাত্র ২৮৪ তে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলের সর্বোচ্চ সর্বোচ্চ ৬৫ রান আসে অধিনায়ক ফ্রাঙ্ক ওরেলের ব্যাট থেকে আর ৮৭ রানে ৬ উইকেট নেন অ্যানাল ডেভিডসন।
জয়ের জন্য ২২৮ রানের লক্ষে খেলতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে স্বাগতিকরা৷ তবে অ্যালান ডেভিডসন ও অস্ট্রেলীয় দলনেতা রিচি বেনো ৭ম উইকেট জুটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৩৪ রানের নতুন রেকর্ড গড়লে জয়ের আশা জাগে তাদের। ঘড়িতে তখন বেলা ৫:৫৬। ওয়েস হল বোলিং করছেন। অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ তখন ২২৭/৭। শেষ ১ ওভারে (তখন ৮ বলে ওভার) অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন মাত্র ছয় রান ও হাতে রয়েছে তিন উইকেট।
সেই অসাধারণ শেষ ওভাররের দৃশ্যগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো :
১ম বল-ব্যাটসম্যান ওয়েলেই গ্রাউট লেগ বাই ১ রান নিয়ে অপর প্রান্তে থাক বেনাউডকে স্ট্রাইক ফেরত দেন।
২য় বল– বেনাউড একটি বুনো হুক শট খেলেন, কিন্তু বল ব্যাটের কানা ছুঁয়ে উইকেট কিপার গ্যারি আলেকজান্ডারের গ্লাভসে জমা পড়ে।
৩য় বল– নতুন ব্যাটসম্যান ইয়ান ম্যাকিফ বলটি মিড অফে ঠেলে পাঠান কিন্তু কোন রান হয় না।
৪র্থ বল– ম্যাকিফ ম্যাচের বিরলতম একটি ওয়াইড বলে বাই রান নেওয়ার জন্যে দৌড় দেন, কিন্তু বোলিং প্রান্তে পৌঁছানোর আগেই উইকেট কিপার আলেকজান্ডারের থ্রোতে রান আউট হয়ে যান। তখনো ৪ বল থেকে প্রয়োজন ৪ রান।
৫ম বল– বাউন্সারটি কোন মতে গ্রাউটের ব্যাটে আঘাত হেনে স্কয়ার লেগ অঞ্চলে ঊড়ে যায়। বোলার নিজের ফলোথ্রুতে ক্যাচের জন্যে ছুটে যান, ফিল্ডার রোহান কানহাইও ক্যাচ নেয়ার জন্যে অপেক্ষা করছিলেন। এই দু জনের ভয়ানক এক মিক্স আপে ক্যাচ মিচ হয়ে বল পড়ে যায় মাটিতে আর ব্যাটসম্যানরাও এর মধ্যে দ্রুত একটি রান নিয়ে ফেলেন।
৬ষ্ঠ বল– প্রকান্ডভাবে ব্যাট চালান ম্যাকিফ এবং বল মিড উইকেটে সীমানার কাছাকাছি পৌঁছে যায়। যখন ফিল্ডার কানরাড হান্ট বলটি সীমানা আগ থেকে তুলে ফেরত পাঠান তখন ব্যাটসম্যানরা সাফল্যের সাথে নিজেদের মধ্যে দুই বার জায়গা পরিবর্তন করে তৃতীয়বারের জন্য দৌড়ে ছুটছেন। কিন্তু ফিল্ডারের থ্রো টি ছিল নিখুঁত এবং পরিষ্কার, ব্যাটসম্যান গ্রাউট ক্রিজে পৌঁছানোর আগেই কিপার আলেকজান্ডার বল ঘরে স্ট্যাম্প থেকে বেল আলাদা করে ফেলেন। এদিকে তখন স্কোর ছিল সমান এবং অস্ট্রেলিয়ানদের দরকার শেষ উইকেটে শেষ ২ বল থেকে ১ রান।
৭ম বল– নতুন ব্যাটসম্যান লিন্ডসে ক্লাইন বলটি কোন মতে স্কোয়ার লেগ অঞ্চলে ঠেলে দিয়েই জয় সূচক রানের জন্যে দৌড় লাগান। ফিল্ডার জ্যো সলোমন যখন বলটি তুলে থ্রো করবেন বলে ভাবছেন তখন তাঁর সামনে নিশানা করার জন্যে একটি মাত্র স্ট্যাম্পই ছিল। আর তাঁর সেই নিখুঁত থ্রো তে জয়সূচক রান পুর্ণ করার কয়েক ইঞ্চি আগেই ভেঙে যায় ম্যাকিফের স্টাম্প।
অস্ট্রেলিয়া দল ২৩২ রানে অল-আউট হয়। এরফলে টেস্ট ক্রিকেট প্রবর্তনের ৮৪ বছর পর প্রথম টাই খেলা হিসেবে শেষ হয়।
দ্বিতীয় টেস্ট, ১৯৮৬
তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টে টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন অজি অধিনায়ক অ্যালান বোর্ডার। ডিন জোন্সের ২১০ রানের অনবদ্য ইনিংসের ওপর ভর করে তৃতীয় দিন সকালে ৭ উইকেট ৫৭৪ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে অস্ট্রেলিয়া। প্রচণ্ড উত্তাপের কারণে ইনিংস শেষ করার পরপরই ডিন জোন্সকে হাসপাতালে প্রেরণ করতে হয়েছিল। অস্ট্রেলীয় কোচ বব সিম্পসন ইনিংসটিকে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে তার দেখা সেরা ইনিংসরূপে অভিহিত করেন। এছাড়া ডেভিড বুন ১২২ ও অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক অ্যালান বর্ডার ১০৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় দিনেই ২৭০ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বসে ভারত। ভারতীয় অধিনায়ক কপিল দেবের ১১৯ রানের ইনিংসের উপর ভর করে ৩৯৩ রানে অলআউট হয় ভারত। অজিদের হয়ে ১০৩ রানে ৫ উইকেট নেন গ্রেগ ম্যাথিউজ। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭০ রানেই ইনিংস ঘোষণা করে অস্ট্রেলিয়া।
জয়ের জন্য ৩৪৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল ভারত। ২ উইকেট হারিয়ে ২০৪ রান তোলে ভারত। তবে সুনীল গাভাস্কার ৯০ রান করে আউট হলে খেই হারিয়ে বসে ভারত। শেষ পর্যন্ত দিনের শেষ ওভারে ভারতের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৪ রাব আর হাতে ছিল ১ উইকেট।
অফস্পিনার গ্রেগ ম্যাথিউসের শেষ ওভার শুরুর আগে ভারতের অবস্থান ছিল ৩৪৪/৯। স্ট্রাইকিং প্রান্তে ছিলেন রবি শাস্ত্রী আর তাঁর সঙ্গি হিসেবে অপর প্রান্তে ছিলেন শেষ ব্যাটসম্যান মনিন্দর সিংহ। আর একটা কথা স্মরণ করিয়ে দেই, আইসিসি কিন্তু ততদিনে ৬ বলের ওভারের নিয়ম স্থায়ীভাবে চালু করে ফেলেছিল। তাই শেষ ৬ বল থেকে ভারতের জয়ের জন্যে প্রয়োজন ছিল ৪ রান।
সেই অসাধারণ শেষ ওভাররের দৃশ্যগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো :
১ম বল– রবি শাস্ত্রী রক্ষনাত্নক ভঙ্গিতে বলটি ঠেকিয়ে দেন। সমীকরণও একই রয়ে গেল।
২য় বল– শাস্ত্রী বলটি স্কয়ার লেগ অঞ্চলে ঠেলে দেন এবং ফিল্ডারের সামান্য হাত ফসকে যাওয়ার কারনে একটি ডাবল নিয়ে ফেলেন। তখন আর ২ রান দরকার শেষ ৪ বল থেকে।
৩য় বল– শাস্ত্রী বলটি ফাকা মিড-অন অঞ্চলে ঠেলে দিয়ে সিঙ্গেল নিয়ে দুই দলের স্কোর বরাবর করে ফেলেন।
৪র্থ বল- শেষ ব্যাটসম্যান মনিন্দর সিং কোন রকমে বলটি ঠেকিয়ে দেন, যদিও বলটি প্রায় শর্ট-লেগ ফিল্ডারের হাতে ক্যাচই হয়ে যাচ্ছিল। তখনো শেষ ২ বল থেকে প্রয়োজন ১ রান।
৫ম বল- মনিন্দর সিংহকে যে কোন মূল্যেই অসাধারণ জয়ের জন্য একটি মাত্র রান করতেই হতো। কিন্তু তিনি সেটা করতে ব্যর্থ হন। বলটি তাঁর পেছনের পায়ের প্যাডে আঘাত হানে এবং অজিদের জোড়ালো আবেদনে সাড়া দিয়ে আম্পায়াররা আঙুল তুলতে দেন।
চেন্নাইয়ে ১৯৮৬ সালের ওই টেস্টটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে আরও অনেক কারণে। ওই টেস্টেই অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসে ডিন জোন্সের ডাবল সেঞ্চুরিটাকে এখনো টেস্ট ইতিহাসের অন্যতম সাহসী ইনিংস বলে মানা হয়। প্রচণ্ড গরম ও আর্দ্রতার মধ্যে করা যে সেঞ্চুরি তাঁর ক্যারিয়ারেরও মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। সেঞ্চুরি করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যালান বোর্ডার, ওপেনার ডেভিড বুন ও ভারতীয় অধিনায়ক কপিল দেবও। ম্যাচের ভাগ্য বদলে দেওয়া ম্যাথুজ পেয়েছিলেন ২৪৯ রানে ১০ উইকেট। ক্যারিয়ারে ওই একবারই টেস্টে ১০ উইকেট পেয়েছিলেন ম্যাথিউজ।
চেন্নাই টেস্ট অনেকেরই ক্যারিয়ার গড়ে দিয়েছিল। আবার দুর্ভাগ্যজনকভাবে ওই ম্যাচ দিয়েই শেষ হয়ে গিয়েছিল একজনের টেস্ট ক্যারিয়ার। না, খেলোয়াড় নন তিনি। ওই যে ইতিহাসে নাম লেখানো মুহূর্তের জন্ম দেওয়া ভি বিক্রমরাজু! চেন্নাই টেস্টের পরে আর কোনো দিন টেস্টে আম্পায়ার হিসেবে দাঁড়ানোর সুযোগই পাননি! ওটাই ছিল তাঁর মাত্র দ্বিতীয় টেস্ট।
রান সংখ্যা সমান হওয়ায় ড্র:
প্রথম টেস্ট, ১৯৯৬
১৯৯৬ সালে জিম্বাবুয়ে ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার সিরিজের প্রথম টেস্টে দুই দলের রান সমান হওয়ায় ম্যাচটি ড্র হয়। জয়ের জন্য ২০৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৬ উইকেটে ২০৪ রান তুলে ইংল্যান্ড। দিনের শেষ ওভারের শেষ বলে ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৩ রান। নিক নাইট দুই রান নেওয়ার পর তৃতীয় রান নিতে গেলে রানআউটের শিকার হন আর তাতেই ম্যাচটি ড্র হয়।
দ্বিতীয় টেস্ট, ২০১১
২০১১ সালে ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্টে ভারতের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২৪৩ রান। তবে ভারত ৯ উইকেট হারিয়ে ২৪২ রান তুলতে সক্ষম হয়। ইনিংসের শেষ বলে ভারতের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২ রান। রবীচন্দ্রন অশ্বিন ১ রান নেওয়ার পর দ্বিতীয় রানের জন্য দৌঁড় দিলে রান আউটের শিকার হন। টেস্ট ক্রিকেটে ইতিহাসে দ্বিতীয় বারের মত রান সমান হওয়ায় ম্যাচ ড্র হয়।