ক্রিকেটের কেন্দ্রবিন্দু বলা হয় সাদা পোষাকের টেস্ট ক্রিকেটকে। যেখানে আপনি নিজেকে একজন ক্রিকেটার হিসেবে পরিশালিত করার সুযোগ পাবেন আর দর্শক হিসেবে ক্রিকেটের আসল তৃপ্ততা খুঁজে পাওয়া যায়। যেখানে মিলবে ক্রিকেটের সত্যিকারের আত্মতৃপ্তি। আপনি আপনার সময় বাঁচাতে টি-টোয়েন্টি আর ওয়ানডে ক্রিকেটে মগ্ন? তাহলে প্রকৃত ক্রিকেটের আত্মতৃপ্তিটা আপনার জন্য নয়। আপনি যদি সাদা পোষাকের ক্রিকেটের প্রেমে না পড়তে পারেন তাহলে আপনার এই ক্রিকেট প্রেম ব্যর্থ। সারাজীবন আপনি রংহীন হয়ে থাকবেন। ক্রিকেটের আসল সৌন্দর্য্যটাই যে সাদা পোষাকের ক্রিকেটে নিহিত। যেখানে পরতে পরতে লুকিয়ে আছে ক্রিকেটের রূপকথা। ক্রিকেট যদি একটি উপন্যাস হয় তাহলে নিঃসন্দেহে টেস্ট সেই উপন্যাসের মূল চরিত্র যা না থাকলে আপনার এ উপন্যাস মলিন আর বিবর্ণ। চারিদিকে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের খেলার আনাগোনা বেড়ে গেলেও এখন আলোকোজ্জ্বল হয়ে আছে আলফ্রেড শ, চার্লস ব্যানারম্যানদের হাত ধরে শুরু হওয়া টেস্ট ক্রিকেট।
দিন, মাস, বছর যুগ কিংবা শতাব্দী পেরিয়ে টেস্ট ক্রিকেট ১৪৩ বছরে পদার্পণ করলো। সাদা পোষাকের ক্রিকেটের ১৪৩ বছরে এসে একটু পিছন ফিরে তাকানো যাক। স্বীকৃতভাবে ১৮৭৭ সালে টেস্ট ক্রিকেটের উৎপত্তিটা হলেও ক্রিকেটের পথচলাটা আরও বহু বছর আগের। ধারণা করা হয় ইংল্যান্ডের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের যা বর্তমানে কেন্ট ও সাসেক্স জুড়ে ১৫৯৭ সালের ১৭ জানুয়ারি অর্থাৎ স্যাকসন বা নরম্যানের সময়ে ওয়েল্ডে শিশুদের হাত ধরে ক্রিকেটের পথচলা শুরু হয়। ১৫৯৭ সাল নিয়েও বিপত্তি আছে কেউ কেউ ধারণা করে ১০ মার্চ,১৩০০ সালে ফ্লেডার্সে ক্রিকেটের উপত্তি হয়। ১৩০০ সালের দিকে ক্রিকেটকে বলা হতো ক্রেগ বলে তারপর ১৫৯৭ সালের দিকে ক্রেগ থেকে নামকরণ করা হয় ক্রেক নামে। ক্রেক প্রাচীণ ইংরেজি শব্দ যার অর্থ মজা।
ধারণা করা হয়, বহুবছর খেলাটি বাচ্চাদের মাঝেই সীমাবদ্ধ ছিল কিন্তু ক্রমান্বয়ে তা বড়দের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে। ভেড়ার চরণভূমিতে প্রথম ক্রিকেট খেলতে দেখা যায়। সে সময় বল হিসেবে ব্যবহার করা হত ভেড়ার পশম কিংবা পাথর ও কাঠের গলদা, ব্যাট হিসেবে ব্যবহার করা হত লাঠি কিংবা খামারের সরঞ্জাম আর স্ট্যাম্প হিসেবে বড় পাথর, গাছ কিংবা গেট। কাজে না গিয়ে ক্রিকেট খেলতে যাওয়ায় একবার দুইজনের নামে মামলা হয়েছিল। মূলত সেখান থেকে বাচ্চাদের খেলাটা বড়দের হাতে উঠে। ডাচরা এসে ক্রিকেটকে ক্রেকেট বলতে শুরু করে তবে পরবতর্তীতে ইংলিশরা তা ক্রিকেটে রুপান্তর করে।
টেস্ট ক্রিকেটের সবচেয়ে প্রাচীন দল হিসেবে পরিচিত ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। যাদের হাত ধরে সর্বপ্রথম স্বীকৃত টেস্ট ক্রিকেট চালু হয়। ১৮৭৭ সালের ১৫ মার্চ প্রথমবারের মত টেস্ট খেলতে নামে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। ১৮৭৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ম্যাচটিতে দুই দলের ১১ জন করে মোট ২২ খেলোয়াড়ের অভিষেক ধরা হয়েছিল। মেলবোর্নে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক ডেভ গ্রেগরি। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া ১৬৯.৩ ওভারে (তখন প্রতি ৪ বলকে ১ ওভার ধরা হত) ২৪৫ রান তুলে অলআউট হয়। জবাবে, নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৩৬.১ ওভারে ইংলিশরা তোলে ১৯৬ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ৬৮ ওভারে মাত্র ১০৪ রানে অলআউট হয়। ইংলিশদের সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ১৫৪ রান। ইংলিশরা অবশ্য ৬৬.১ ওভারে মাত্র ১০৮ রানে গুটিয়ে যায়। টেস্ট ইতিহাসের প্রথম ম্যাচটিতে ৪৫ রানের জয় তুলে নেয় অস্টেলিয়া।
ইতিহাসের প্রথম টেস্টের অস্ট্রেলিয়া দল, ১৫ মার্চ, ১৮৭৭
প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার চার্লস ব্যানারম্যান ২৮৫ মিনিট ক্রিজে থেকে ১৮ চারে খেলেছিলেন ইনিংস সর্বোচ্চ ১৬৫ রানের অনবদ্য এক ইনিংস। । রিটায়ার্ট হার্ট হয়ে যাওয়ার কারণে তিনি অপরাজিত ছিলেন । আরেক ওপেনার থম্পসন ১ রানে করে সাজঘরে ফেরেন। এছাড়া, টম হোরান ১২, দলপতি ডেভ গ্রেগরি ১, ব্রানসবি কুপার ১৫, উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান বেকহাম ১৭, টম গ্যারেট অপরাজিত ১৮ রান করেছিলেন। ইংল্যান্ডের আলফ্রেড শ তিনটি, জেমস সাউদারটন তিনটি, অ্যালেন হিল একটি ও লিলিহোয়াইট একটি করে উইকেট শিকার করেন।
বাঁ থেকে- আলফ্রেড শ, আলেন হিল ও চার্লস ব্যানারম্যান
প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ইংল্যান্ডের ওপেনার হ্যারি জ্যাপ ২ চারের সাহায্যে ২৪১ বলে করেন ইনিংস সর্বোচ্চ ৬৩ রান। তিন নম্বরে নামা হ্যারি চার্লউড করেছিলেন ৩৬ রান। লিলিহোয়াইট ১০ রান আর শেষ দিকে অ্যালেন হিল ৩৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার মিডউইন্টার ৫টি, গ্যারেট দুটি উইকেট পান। একটি করে উইকেট নেন জন হজ এবং টম কেনডাল।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ফিরে যান প্রথম ইনিংসে শতক করা অজি ওপেনার ব্যানারম্যান (৪) আর থম্পসন বিদায় নেন ৭ রানে। এছাড়া টম হোরান ২০, মিডউইন্টার ১৭, ডেভ গ্রেগরি ৩, নেড গ্রেগরি ১১, কেনডাল ১৭* রান করেন। ইংলিশদের হয়ে আলফ্রেড শ ৫টি, জর্জ উলেট তিনটি, অ্যালেন হিল একটি আর লিলিহোয়াইট একটি করে উইকেট পান। ১৫৪ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে ইংল্যান্ড থেমে যায় ১০৮ রানের মাথায়। হ্যারি চার্লউড ১৩, উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান জন সেলবি ৩৮ আর উলেট ২৪ রান করেন। আর কেউ দুই অঙ্কের দেখা পাননি। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে কেনডাল ৭টি, হজ দুটি এবং মিডউইন্টার একটি করে উইকেট লাভ করেন। আর তাতেই অস্ট্রেলিয়া ৪৫ রানে ম্যাচটি জিতে নেয়।
ইতিহাসের প্রথম টেস্টের ইংল্যান্ড দল, ১৫ মার্চ, ১৮৭৭
টেস্ট ক্রিকেটে ১৮৭৭ সালের ১৫ মার্চ অভিষেক হয় অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের। দুই দল নিয়ে টেস্ট ক্রিকেট শুরু হলেও সময়ের বিবর্তনে এখন টেস্ট খেলুড়ে দেশের সংখ্যা ১২ টি। অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের পর ১৮৮৯ সালে টেস্ট খেলুড়ে দেশের মর্যাদা পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ (১৯২৮), নিউজিল্যান্ড (১৯৩০), ভারত (১৯৩২), পাকিস্তান (১৯৫২), শ্রীলঙ্কা (১৯৮২), জিম্বাবুয়ে (১৯৯২), বাংলাদেশ (২০০০) ও সর্বশেষ সংযোজন আফগানিস্তান ও স্কটল্যান্ড (২০১৮)।
টেস্ট ক্রিকেটের সূচনালগ্ন থেকে এখন অবদি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে ২৩৮৭ টি যেখানে সর্বোচ্চ ১০২২ টি ম্যাচ খেলেছে ইংল্যান্ড। সর্বোচ্চ ১০২২ টি ম্যাচ খেলে ৩৭১ ম্যাচে জয় লাভ করেছে ইংল্যান্ড আর ড্র করেছে ৩৪৭ ম্যাচ । ইংল্যান্ড বেশি ম্যাচ খেললেও জয়ের হিসেবে ইংলিশদের থেকে এগিয়ে অজিরা। অজিরা ৮৩০ ম্যাচ খেলে ৩৯৩ জয়ের বিপরীতে হেরেছে ২২৪ ম্যাচে আর ড্র করেছে ২১১ টি ম্যাচে। এছাড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ (১৭৪), দক্ষিণ আফ্রিকা (১৬৫), ভারত ( ১৫৭), পকািস্তান (১৩৮), নিউজিল্যান্ড (১০১), শ্রীলঙ্কা (৯২), বাংলাদেশ (১৪), জিম্বাবুয়ে (১২) ও আফগানিস্তান ২টি ম্যাচে জয় লাভ করে। এখন অবদি জয়হীন রয়েছে স্কটল্যান্ড।
টেস্ট ক্রিকেটের যা কিছু প্রথম:
> ইতিহাসের প্রথম বল ডেলিভারি করেন ইংল্যান্ডের আলফ্রেড শ।
> টেস্ট ইতিহাসের প্রথম বলটি মুখোমুখি হয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার চার্লস ব্যানারম্যান।
> টেস্টের ইতিহাসের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান চার্লস ব্যানারম্যান
> প্রথম রিটায়ার্ট হার্ট হওয়া ক্রিকেটার চার্লস ব্যানারম্যান
> টেস্ট ইতিহাসের প্রথম উইকেট নেন ইংল্যান্ডের বোলার অ্যালেন হিল।
> টেস্ট ইতিহাসে প্রথম ক্যাচ নেন অ্যালেন হিল।
> টেস্ট ক্রিকেট প্রথম ৫ উইকেট শিকার করেন অস্ট্রেলিয়ার মিডউইন্টার।
> টেস্ট ইতিহাসের প্রথম উইকেটরক্ষক হিসেবে স্ট্যাম্পিং করেন অস্ট্রেলিয়ার বেকহ্যাম
> প্রথম বদলি খেলোয়াড় নেউইং (ব্যানারম্যান আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় তার জায়গায় বদলি খেলোয়াড় হিসেবে টেস্টে > > প্রথমবার ফিল্ডিংয়ে নামেন নেউইং)
> টেস্ট ইতিহাসে প্রথম হ্যাটট্রিক করেন অস্ট্রেলিয়ার ফ্রেড সোফোর্থ।
> প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিয়ান অস্ট্রেলিয়ার বিলি মুডরোচ
> প্রথম ত্রিপল সেঞ্চুরিয়ান স্যার ডন ব্র্যাডম্যান
> প্রথম চারশ' রান ব্রায়ান লারা
টেস্ট ক্রিকেটের কিছু তথ্য ও রেকর্ড:
> টেস্ট ক্রিকেট ইনিংস ব্যবধানে সবচেয়ে বড় জয় ইংল্যান্ডের। ১৯৩৮ সালে অস্ট্রেলিয়াকে ইনিংস ও ৫৭৯ রানে হারায় ইংল্যান্ড।
> রানের হিসেবে বড় জয়টাও ইংল্যান্ডের দখলে। ১৯২৮ সালে অস্ট্রেলিয়াকে ৬৭৫ রানে হারায় ইংলিশরা।
> স্কোর সমান হয়ে এখন অবদি টেস্ট ম্যাচ ড্র হয়েছে দুইটি। ১৯৬০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-অস্ট্রেলিয়া ও ১৯৮৬ সালে ভারত-অস্ট্রেলিয়া
> উইকেটের হিসেবে সবচেয়ে কম ১ উইকেটে জয় লাভ করেছে ১৪ টি দল। ১৯০২ সালে সর্বপ্রথম অস্ট্রেলিয়াকে ১ উইকেটে হারায় ইংলিশরা।
> রানের বিচারে সবচেয়ে কম রানে অর্থাৎ ১ রানে জয় লাভ করেছে কেবল মাত্র ১ টি ম্যাচ। ১৯৯২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও অস্ট্রেলিয়ার মাঝে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যেখানে অস্ট্রেলিয়াকে ১ রানে হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
> ফলো-অনে পড়ে জয় লাভ করেছে এমন ম্যাচের রেকর্ড আছে ৩ টি। যেখানে সর্বপ্রথম ১৯৯৪ সালে ফলো-অনে পড়েও অস্ট্রেলিয়াকে ১০ রানে হারায় ইংল্যান্ড। ১৯৮১ সালে ১৮ রানে অজিদের হারায় ইংলিশরা। আর সর্বশেষ ২০০০ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফলো-অনে পড়েও ১৭১ রানে জয় পায় ভারত।
> একটানা সবচেয়ে বেশি টেস্ট জয়ের রেকর্ড অস্ট্রেলিয়ার দখলে। ১৯৯৯ সালের ১৪ অক্টোবর থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০০১ সাল পর্যন্ত খেলা ১৬ টেস্টের ১৬টিতেই জয় লাভ করে।
> এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড শ্রীলঙ্কার দখলে। ১৯৯৭ সালে ভারতের বিপক্ষে ৬ উইকেটে ৯৫২ রানে ইনিংস ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা।
> সবচেয়ে কম রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ড কিউইদের দখলে। ১৯৫৫ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ২৬ রানে অলআউট হয় কিউইরা।
> টেস্ট ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বেশি রান শচীন টেন্ডুলকারের। ৩২৯ ইনিংস থেকে করেছেন ১৫৯২১ রান। আর ১৩৩৭৮ রান নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রিকি পন্টিং।
> সর্বোচ্চ ব্যাটিং গড়ের মালিক স্যার ডন ব্র্যাডম্যান। ক্যারিয়ার শেষ করেছেন ৯৯.৯৪ গড় নিয়ে। বর্তমান সময়ে টেস্টে সবচেয়ে বেশি গড় মার্নাস ল্যাবুশানের(৬৩.৪৩)।
> টেস্টে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস খেলেছেন ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি ব্রায়ান লারা। ২০০৩ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করেন অপরাজিত ৪০০ রান।
> এক টেস্টে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক ইংল্যান্ডের গ্রাহাম গোচ। ১৯৯০ সালে ভারতের বিপক্ষে এক টেস্টে করেন ৪৫৬ রান।
> এক সিরিজে সবচেয়ে বেশি রান করেন স্যার ডন ব্র্যাডম্যান। ১৯৩০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪ টেস্টের ৭ ইনিংসে করেছিলেন ৯৭৪ রান।
> এক বছরে (২০০৬) সবচেয়ে বেশি ১৭৮৮ রান করেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ ইউসুফ
অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান ব্রায়ান লারার (৪০০*)।
> এক ওভারে সবচেয়ে বেশি ২৮ রান নিয়েছেন ব্রায়ান লারা, জর্জ বেইলি ও কেশব মহারাজ।
> এক ওভারে সবচেয়ে বেশি রান দিয়েছেন রবিন পিটারসন, জেমস অ্যান্ডারসন ও জো রুট।
> টেস্টে সর্বোচ্চ ৫১ সেঞ্চুরির মালিক শচীন টেন্ডুলকার
> দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিক ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম (৫৪ বল)
> সবচেয়ে বেশি ডাবল সেঞ্চুরির মালিক ডন ব্র্যাডম্যান (১২ টি)
> দ্রুততম ডাবল সেঞ্চুরিয়ান নাথান অ্যাসলে (১৫৩ বলে)
> সবচেয়ে বেশি ত্রিপল সেঞ্চুরি (২টি) আছে ৪ ব্যাটসম্যানের। স্যার ডন ব্র্যাডম্যান, বীরেন্দর শেবাগ, ক্রিস গেইল ও ব্রায়ান লারা।
> সবচেয়ে বেশি হাফসেঞ্চুরির মালিক শচীন টেন্ডুলকার (১১৯ টি)
> দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি করেন মিজবাহ-উল-হক (২১ বলে)
> সবচেয়ে বেশি চার হাঁকিয়েছেন শচীন টেন্ডুলকার (২০৫৮+)
> সবচেয়ে বেশি ছক্কান হাঁকান ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম (১০৭ টি)
> টেস্টে সবচেয়ে বেশি উইকেটের মালিক মু্ত্তিয়া মুরালিধরন (৮০০টি)
> ক্যারিয়ারে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি ৫ উইকেট নিয়েছেন মুত্তিয়া মুরালিধরন (৬৭ বার)
> এক সিরিজে সবচেয়ে বেশি ৪৯ উইকেট নিয়েছেন সিডনি বার্নস (৪ টেস্ট),১৯১৩, বিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা
> বেস্ট বোলিং ফিগার জিম ল্যাকারের (১০/৫৩)
> এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ১৯ উইকেট নিয়েছেন জিম ল্যাকার। (১৯/৯০), ১৯৫৬, বিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া
> ফিল্ডিং হিসেবে সবচেয়ে বেশি ক্যাচ নিয়েছেন রাহুল দ্রাবিড় (২১০ টি)
> উইকেটরক্ষক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ডিসমিসাল মার্ক বাউচারের ( ৫৫৫ টি)
> এক টেস্টে ১০ উইকেট ও সেঞ্চুরি করেছেন এমন ক্রিকেটারের সংখ্যা তিনজন। ইয়ান বোথাম, ইমরান খান ও সাকিব আল হাসান।
> সবচেয়ে বেশি ২০০ টেস্ট খেলেছেন শচীন টেন্ডুলকার।
> অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ৫৩ টেস্ট জিতেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার গ্রায়েম স্মিথ।
> সবচেয়ে বেশি রানের পার্টনারশীপ কুমার সাঙ্গাকারা ও মাহেলা জয়বর্ধানের। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৬২৪ রান, বিপক্ষ ভারত।