সবুজের নগরী সিলেট। সেখানেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু বিপিএল টুর্নামেন্টের চতুর্থ পর্ব। ঢাকা-চট্টগ্রাম-ঢাকা শেষে শুরু হয়েছে সিলেট পর্ব। ২০১৭-১৮ এবং ২০১৮-১৯ মৌসুমের পর এবার তৃতীয়বারের মতো সিলেটের মাটিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিপিএল। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিনদিনের পর্বে মোট ৬টি ম্যাচে অনুষ্ঠিত হবে।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ‘গ্রিন গ্যালারি’ নামে পরিচিত গ্যালারি রয়েছে, যেটি পুরোটাই সবুজ ঘাসে ভরা। সেখানে কোন বসার চেয়ার নেই। দক্ষিণ আফ্রিকা-নিউজিল্যান্ডের মত সবুজ ঘাসের ওপর বসে ব্যাট-বলের লড়াই উপভোগ করেন ক্রিকেটপ্রেমিরা।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এখন পর্যন্ত ১টি করে টেস্ট ও ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে টি-২০ হয়েছে ৮টি। সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ ছিল ২০১৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর। বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-২০ ম্যাচ সেটি। এরপর অবশ্য সিলেটে বিপিএলের ষষ্ঠ আসরের আটটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া ২০১৭-১৮তে বিপিএলের প্রথম মৌসুমে দলীয় সর্বোচ্চ রান হয়েছিল ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ২০৫। রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে যা করেছিল সিলেট সিক্সার্স। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ঢাকা ডায়নামাইটসের। খুলনা টাইটান্সের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ২০২ রান করে ঢাকা।
গতবার সিলেটের মাঠে দলীয় সর্বোচ্চ রান করেছিল চট্টগ্রাম ভাইকিংস। খুলনা টাইটান্সের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২১৪ রান করে চট্টগ্রাম। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর রংপুর রাইডার্সের। সিলেট সিক্সার্সের ১৯৪ রানের জবাবে ১৯ দশমিক ৩ ওভারে ৬ উইকেটে ১৯৫ রান করেছিল রংপুর।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সর্বোচ্চ দলীয় রান করেছে শ্রীলঙ্কা। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২১০ রান করে শ্রীলঙ্কা। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান নেদারল্যান্ডসের টম কুপার। ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে অপরাজিত ৭২ রান করেন কুপার। এ ভেন্যুতে সবচেয়ে বেশি রান কুপারেরও। ৩ ইনিংসে ১৫১ রান করেন তিনি। বল হাতে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেদারল্যান্ডসের আসান মালিকের। ৩ ইনিংসে ৬ উইকেট নেন ডান-হাতি পেসার।
২০১৪ সালে মার্চে প্রথম আন্তর্জাতিক টি-২০ হয় সিলেটে। চার বছর পর, অর্থাৎ ২০১৮ সালের নভেম্বরে প্রথম টেস্ট অনুষ্ঠিত হয় এই ভেন্যুতে। সিলেটের অভিষেকটা সুখকর করতে পারেনি বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের কাছে দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টটি ১৫১ রানের বড় ব্যবধানে হারে টাইগাররা।
টেস্ট অভিষেকের পর একমাস পর ওয়ানডেতে পথচলা শুরু হয় সিলেটের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ছিল সেটি। ৮ উইকেটে ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ। আর সিরিজটি ২-১ ব্যবধানে জিতে মাশরাফি বিন মর্তুজার নেতৃত্বাধীন দলটি।