শচীন টেন্ডুলকারকে বর্ণনা করার জন্য কোন শব্দ বা লাইন যুক্তিযুক্ত হবে? হবে কি! দুই যুগের বেশি সময় ধরে ক্রিকেট প্রেমীদের ব্যাট হাতে অজস্রবার মোহিত করেছেন। সাড়ে পাঁচ ফুট উচ্চতার মানুষটা সেই ১৯৮৯ সাল থেকে ক্রিকেটের একনিষ্ট পূজারী! বাবা ছিলেন অধ্যাপক। কাকার বাড়িতে থেকে পড়ালেখার ব্যাগের সাথে আরে কাঁধে ঝুলতো ক্রিকেট কিটের ব্যাগটিও। যে মানুষটা ব্যাট হাতে নামলেও বিপরীত দলের সমর্থকরাও সব ভুলে উপভোগ করা শুরু করতো মানুষটাকে।
মাত্র ১৬ বছর বয়সে ১৯৮৯ সালে ভারতের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি পাকিস্তানের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আবির্ভাব লিটল মাস্টারের। বয়ঃসন্ধিকালে থাকা এক যুবকের সামনে সময়ের ধ্বংসাত্মক বোলিং জুটি ওয়াসিম আকরাম ও ওয়াকার ইউনুস। অভিষেক টেস্ট সিরিজে স্মরনীয় কিছু করতে পারেননি শচীন। তবে নিজেকে চেনানোর জন্য ক্রিকেট ইশ্বর বেছে নিয়েছিলেন ইংলিশদের ডেরাকে। এই উপমহাদেশের ক্রিকেটে একটা চিরায়ত বাণী কোন ব্যাটারকে সেরা হতে হলে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ভালো খেলতে হবে।
লিটল মাস্টার ইংল্যান্ডকে বেছে নিয়েছিলেন তার প্রথম আন্তর্জাতিক শতকের জন্য। এক শতকেই ইংলিশ সংবাদমাধ্যমে ওয়ান্ডার বয় তকমাও পেয়ে যান দ্রুতই। এরপর অসংখ্য ম্যাচ খেলেছেন ২৪ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে। শতকের শতক করে জন্ম দিয়েছেন অবিশ্বাস্য ক্রিকেটীয় রেকর্ডের। তবে মিডল অর্ডার ব্যাটার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করা শচীন প্রথম ওপেন করার সুযোগ পেয়েছিলেন নিয়মিত ওপেনারের ইনজুরিতে। সেই প্রথম ওপেন করতে নেমে বিধ্বংসী ইনিংস খেললেন সেটা পরবর্তীতে চলতেই থাকলো।
দুই যুগের বর্ণাট্য ক্যারিয়ারে শচীন ব্যাট হাতে প্রতিপক্ষকে শাসন করেছেন সহস্রবার। ৩৪,৩৫৭ আন্তর্জাতিক রানের মালিক লিটল মাস্টার আন্তর্জাতিক আঙিনায় গড়েছেন ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে লম্বা ক্যারিয়ার। ৭৮২ ইনিংস ব্যাট হাতে নেমে ১০০ বার পেরিয়েছেন তিন অংকের যাদুকরী ফিগার। এই অজস্র ইনিংস থেকে শীর্ষ দশ ইনিংস বের করাটা পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিনতম কাজের একটি। আজ সেই কঠিনতম কাজের চেষ্টা করেছে স্পোর্টসমেইল২৪.কম।
২৪১* (বিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, সিডনি, ২০০৪)
কাভার ড্রাইভ! শচীনের অন্যতম প্রিয় শট এবং ক্রিকেট প্রেমীদের জন্য শচীনের কাভার ড্রাইভের চেয়ে সুন্দর জিনিস বোধহয় কমই আছে। আর এই কাভার ড্রাইভই শচীনকে একবার চরম দুঃসময় উপহার দিচ্ছিল। ২০০৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে বারবার অফ স্টাম্পের বাইরের বল কাভার ড্রাইভ করতে গিয়ে স্লিপে ধরা পড়ছিলেন লিটল মাস্টার।
সিরিজের ৪র্থ টেস্টে এসে অফ স্টাম্পের বল খেলাই ছেড়ে দেন তিনি। এই বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে তখন পর্যন্ত নিজের ছায়া হয়েই ছিলেন তিনি। তাকে ঘিরে অজি বোলারদের ‘অফস্টাম্প’ ফাঁদ এবার সচেতন ভাবেই এড়িয়ে যান শচীন। অফ স্টাপের বল অফ সাইডে না খেলেই ডাবল সেঞ্চুরি হাকান ক্রিকেট ঈশ্বর। তার এই ডাবল সেঞ্চুরীতে প্রথম ইনিংসে ৭০৫ রানের পাহাড়সম সংগ্রহ পায় সফরকারী ভারত।
৯৮ (বিপক্ষ পাকিস্তান, সেঞ্চুরিয়ন, ২০০৩)
কখনো কখনো সেঞ্চুরি নয় এমন ইনিংসও ঐতিহাসিক হয়ে উঠে। শচীনের পাকিস্তানের বিপক্ষে এই ৯৮ রানের ইনিংস কোন সেঞ্চুরির চেয়ে কোন অংশেই কম নয়। ভারত-পাকিস্তান লড়াই ক্রিকেট ইতিহাসে বরাবরই হাই-ভোল্টেজ। তখন দুই দলে একাধিক তারকা থাকায় লড়াইয়ের মাত্রাটাও ছিল আলাদা।
২০০৩ বিশ্বকাপের পাকিস্তান দলে তখনকার অন্যতম বিশ্বসেরা ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনুস,শোয়েব আখতারদের নিয়ে গড়া বোলিং লাইন।
এটি ছিলো বিশ্বকাপের লড়াই। এখানে মূলত লড়াই হয়েছিলো শচীন, শেবাগ, সৌরভ, দ্রাবিড়দের নিয়ে গড়া ব্যাটিং অর্ডারের সাথে ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনুস এবং শোয়েব আখতারদের নিয়ে গড়া বোলিং আক্রমণের। সুপার সিক্সে উঠার জন্য এই ম্যাচে জয়ের কোনো বিকল্প ছিলো না ভারতের সামনে। পাকিস্তানি কিংবদন্তী ওপেনার সাঈদ আনোয়ারের সেঞ্চুরিতে ২৭৩ রানের বড় সংগ্রহ পায় পাকিস্তান। ওপেনিংয়ে নেমে প্রতিপক্ষের উপর শুরু হয় শচীন ঝড়। মাত্র ৭৫ বলে ৯৮ রানের এক তান্ডবলীলা চলে পাকিস্তানের বোলারদের উপর। সেঞ্চুরি না পেলেও তার এই ঝড়েই ভারত সহজেই পেরিয়ে যায় পাকিস্তান বাঁধা। ঐতিহাসিক এই ইনিংস নিয়ে ক্রিকেটে এখনো আলোচনা চলমান।
১১৯* (বিপক্ষ ইংল্যান্ড; ওল্ড ট্রাফোর্ড,১৯৯০)
এই ইনিংস ছিল শচীনের নিজেকে চেনানোর ইনিংস। এর আগের সিরিজেই পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে কিছুই করতে না পারা শচীন ইংলিশদের মাটিতেই করেন নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি করেন। একশ সেঞ্চুরির পথচলা এই ওল্ড ট্রাফোর্ডের সেঞ্চুরি দিয়েই শুরু হয়েছিল। লোয়ার মিডল অর্ডারে তখন ব্যাট করতেন দলের অন্যতম তরুণ ক্রিকেটার শচীন। এদিন যখন ব্যাটে নেমেছিলেন দল বেশ বিপদেই ছিল। এরপর ছয় নম্বরে নেমে বোলারদের নিয়ে তার ১১৯ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসের সৌজন্যে ভারত ঐ ম্যাচে ড্র করেছিল। যদিও পরের ম্যাচেও ড্র করে ০-১ ব্যবধানে সিরিজ খুইয়েছিল ভারত।
১৫৫* (বিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, চেন্নাই, ১৯৯৮)
১৯৯৮ সালের ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজে দলীয় আলোচনার চেয়ে বড় হয়ে উঠেছিল ব্যক্তিগত লড়াইয়ের আলোচনা বড় হয়ে উঠেছিল। আলোচনায় ছিলেন সময়ের সেরা দুই ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার ও শেন ওয়ার্ন। ক্যারিয়ারের সেরা সময় কাটানো দুই ক্রিকেটারই ছিলেন লাইমলাইটে।
সিরিজ শুরুর আগে থেকেই শচীন-ওয়ার্ন লড়াই ছিল ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম আলোচ্য বিষয়। প্রথমবারের ভারতে খেলতে ওয়ার্ন স্পিন উইকেটে কতটা ভয়াবহ এটা নিয়েও কৌতূহল ছিল চারদিকে। ঘটনাক্রমে ওয়ার্নের বলেই ১ম ইনিংসে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছিলেন শচীন। তবে ২য় ইনিংসেই নিজের ক্রিকেটীয় প্রতিভা দেখান লিটল মাস্টার। ওয়ার্নের বিপক্ষেও বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন তিনি। তার ১৫৫ রানের অপরাজিত ইনিংসে ভর করে জয় পায় ভারত। পাশাপাশি ২-১ ব্যবধানে সিরিজও জিতে নিয়েছিল ভারত। সিরিজ শেষে ওয়ার্নও স্বীকার করেন শচীনের বিপক্ষে বল করাটা কতটা কষ্টসাধ্য। এরপর ক্যারিয়ার চলমান সময়ে এবং শেষে অসংখ্যবার শচীনের সামনে বোলিং করার সময় নিজের অসহায় অভিজ্ঞতার কথা স্বীকার করেছেন ক্রিকেটের সর্বকালের অন্যতম সেরা এই লেগ স্পিনার।
১১৪ (বিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, পার্থ, ১৯৯২)
দল হিসেবে ১৯৯২ অস্ট্রেলিয়া সফর ছিল ভারতের জন্য ভুলের যাওয়ার মত একটি সফর। পাঁচ ম্যাচ টেস্ট সিরিজে ইতিমধ্যে চার ম্যাচ হেরে ধবল ধোলাইয়ের দ্বারপ্রান্তে ভারত। যদিও সিরিজের সিডনি টেস্টে একটি শতক পেয়েছিলেন। তবুও দলকে ভালো অবস্থানে নিতে পারেননি শচীন। সিরিজের ২য় সেঞ্চুরিটি এমন সময়ে পান যখন ভারত লড়ছিল ধবল ধোলাই এড়াতে।
পঞ্চম টেস্টও ছিল অজিদের নিয়ন্ত্রনে। মনে হচ্ছিল ভারতের ধবল ধোলাই হওয়াটা ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। সেই সময়ে পার্থের ওয়াকা স্টেডিয়ামের বাউন্সি উইকেটে শচীন করেন ম্যাচ বাচানো ১১৪। ওয়াকার উইকেটে ম্যাকডরম্যাট, মার্ভ হিউজ ও মাইক হুইটনিকে সামলিয়ে করা এই ম্যাচ বাচানো সেঞ্চুরি নিশ্চিত ভাবেই শচীনের অন্যতম সেরা ইনিংসের তালিকায় থাকবে।
১৩৬ (বিপক্ষ পাকিস্তান, চেন্নাই, ১৯৯৯)
ভারত-পাকিস্তান সিরিজ মানেই উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হওয়া। ১৯৯৯ সালে ভারতের মাটিতে হওয়া এই সিরিজিটাও ছিল উত্তেজনায় ঠাসা। প্রথম ইনিংসে ১২ রানে পিছিয়ে পড়া ভারতের সামনে এই টেস্ট জয়ের জন্য লক্ষ্য ছিল ২৭১ রানের।
এক পর্যায়ে ৮২ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে স্বাগতিকরা। এরপর উইকেটে আসেন শচীন টেন্ডূলকার। তখনকার দিনে শচীন পাকিস্তানের জন্য এক ভয়াবহ ত্রাস ছিলেন। দলের বিপর্যয়ে উইকেটে এসে একপাশে দাঁড়িয়ে থেকে ভারতকে লড়াইয়ে টিকিয়ে রাখেন।
উইকেটরক্ষক নয়ন মাঙ্গিয়া ছাড়া আর কাউকেই সেদিন পাশে পাননি শচীন। রীতিমতো একা লড়ে ১৩৬ রানের ঐতিহাসিক ইনিংসে সেদিন পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতকে জিতিয়েছিলেন এই লিটল মাস্টার।
২০০* (বিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা, গোয়ালিওর, ২০১০)
দুই যুগের বেশি সময়ের ক্যারিয়ারের অসংখ্য রেকর্ড গড়েছেন শচীন টেন্ডুলকার। অসংখ্যবার প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে গড়েছেন অনন্য সব কীর্তি। তবে ২০১০ সালে ভারতের মাটিতে শচীন যেটা করেছিলেন সেটা হয়তো ওই সময়ে কেউ স্বপ্নেও দেখতো না।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে সেদিন ম্যাচ ছিল গোয়ালিওরের ক্যাপ্টেন রুপ সিং স্টেডিয়ামে শচীনের ৪৪২তম ওয়ানডে ম্যাচ ছিল এটি। সিরিজের ২য় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ভারত। ইনিংসের শেষ ওভার অর্থাৎ ৫০তম ওভারের ৩য় বল। বল হাতে ছুটলেন দক্ষিণ আফ্রিকান বোলার শার্ল ল্যাঙ্গারভেল্ট। পুরো ক্রিকেট বিশ্ব উৎকণ্ঠা নিয়ে তখন অপেক্ষায়, অপেক্ষায় নতুন আরও একটি রেকর্ডের। ল্যাঙ্গারভেল্ট বল করলেন আর শচীন পয়েন্ট অঞ্চলে ঠেলে দিয়ে নিলেন এক রান! আর এতেই পুরো বিশ্ব মেতে উঠলো আরো একবার শচীন বন্দনায়। হয়ে গেলো ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম দ্বিশতক।
তখনকার দিনে ওয়ানডেতে ১৫০ রানের ইনিংসকেই অনেক বড় ইনিংস হিসেবে ধরা হত, সেখানে মাত্র ১৪৭ বলেই সেঞ্চুরী করে ফেলেন শচীন। এটাই ছিল তার ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস।
১২০ (বিপক্ষ ইংল্যান্ড, ব্যাঙ্গালুরু,২০১১)
নিজের ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ। দুই যুগের বেশি ক্যারিয়ারে অসংখ্য ব্যক্তিগত রেকর্ড গড়লেও কখনোই ঐ সোনালী ট্রফিটাকে ছুয়ে দেখার সৌভাগ্য হয়নি শচীনের। একটা বিশ্বকাপ জয়ের আকুলতা শচীন বারবারই প্রকাশ করেছেন। কে জানতো ক্রিকেট দেবতা শেষ বিশ্বকাপেই শচীনে নামে লিখে রেখেছিলেন বিশ্বকাপ জয়।
২৮ বছর পর জেতা বিশ্বকাপে আসরে শুরু থেকেই দুর্দান্ত ছিলেন শচীন। গ্রুপ পর্বে ইংলিশদের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে স্কোরবোর্ডে ৩৩৮ রান করে ভারত। ১২০ রানের এক ঝ্বলমলে ইনিংস খেলেন শচীন। ৫টি ছয় ও ১০ চারের সাহায্যে এই ইনিংস খেলেন তিনি। পুরোটা সময়ে এতটা স্বাচ্ছন্দে ব্যাটিং করেছেন কখনোই মনে হয়নি শচীনকে আউট করা সম্ভব। যদিও শেষ পর্যন্ত ইংলিশ অধিনায়ক স্ট্রাউসের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে নাটকীয়ভাবে ম্যাচ ড্র করে ইংল্যান্ড।
১৩৪ (বিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, শারজাহ, ১৯৯৮)
শারজাহতে ব্যাট হাতে অনেকবারই ইতিহাস গড়েছেন শচীন টেন্ডুলকার। তখনকার দিনে অস্ট্রেলিয়া দলটাই সবার জন্য ত্রাস হয়ে উঠেছিল। অজিদের বিপক্ষে কেউই আত্মবিশ্বাস পেতো না ভালো করার। এই সিরিজটি ছিল অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও নিউজিল্যান্ডের ত্রিদেশীয় সিরিজ। টুর্নামেন্টের ফাইনালে মুখোমুখি অস্ট্রেলিয়া ও ভারত। শিরোপা জিততে ভারতের সামনে লক্ষ্য ছিল ২৭৩ রানের।
তখনকার দিনে এই সংগ্রহ ছিল বড়। সাথে শক্তিশালী অজি বোলিং লাইন আপ। প্রায় অনেকেই তখন অস্ট্রেলিয়াকেই চ্যাম্পিয়ন ধরে ফেলেছিল। কিন্তু নিজের জন্মদিনে শচীন হয়ত পণ করেছিলে অজি বধ করেই স্মরনীয় করবেন। ১৩১ বলে ১৩৪ রানের এক ঐতিহাসিক ইনিংসে অজিদের হতভম্ব করে ভারতকে জয় এনে দিয়েছিলেন এই লিটল মাস্টার।
এই ম্যাচে ২৭৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামে ভারত। এই সময়ে ২৭৩ রানের লক্ষ্য ছিলো বিশাল লক্ষ্য। ফাইনালের দিন ছিলো শচীন টেন্ডুলকারের জন্মদিন। এই দিনে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের সাথে মিলে নিজেকে অন্যতম সেরা উপহার দেন তিনি।
১১৭* (বিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, সিডনি, ২০০৮)
সিবি সিরিজ তখন দারুণ জনপ্রিয় ছিল ক্রিকেট মহলে। এই সিরিজের ভারতের প্রথম ফাইনাল জয়ে ব্যাট হাতে দারুণ ভূমিকা রেখেছিলেন শচীন টেন্ডুলকার।
তিন লেগের ফাইনালের প্রথম দুইটাতেই শচীন ব্যাট হাতে ছিলেন অনবদ্য। অজিদের দেওয়া ২৪০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ব্যাট হাতে সাবলীল শচীন ১১৭ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন লিটল মাস্টার। রবিন উথাপ্পা, তরুণ রোহিত শর্মাদের নিয়ে অজিদের ২৪০ রান পার করে ভারতে প্রথম ফাইনাল জিতিয়ে দেন তিনি। ২য় ফাইনালেও ৯১ রানের আরেকটি অসাধারণ ইনিংস খেলেছিলেন এই লিটল মাস্টার।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর