তারকা হয়েও বিশ্বকাপ মঞ্চে গোল পাননি যারা

পার্থ প্রতীম রায় পার্থ প্রতীম রায় প্রকাশিত: ০৮:১২ পিএম, ১৯ এপ্রিল ২০২২
তারকা হয়েও বিশ্বকাপ মঞ্চে গোল পাননি যারা

ক্লাব ফুটবলে দারুণ পারফর্ম করে জাতীয় দলের জার্সিতে ভালো খেলতে না পারার অপবাদ ফুটবলারদের জীবনে নতুন কিছু নয়। বিশ্ব মঞ্চে সমর্থকদের হতাশ করা তারকা ফুটবলারদের জন্য স্বাভাবিক ঘটনাই বটে। বিশ্বকাপ জিততে না পারা কিংবা খেলতে না পারার ব্যর্থতা অনেক তারকার ক্ষেত্রেই ঘটেছে। কিছু ফুটবলার তো এক কাঠি আগানো। সেইসব ফুটবলারদের বিশ্বকাপ জিততে পারার সামর্থ্য থাকা স্বত্বেও কিছু ফুটবলার তো বিশ্বমঞ্চে করতে পারেননি একটি গোলও।

ক্লাব ফুটবলে কিংবদন্তি ফুটবলারদের গোল পাওয়ার ঘটনা নিয়মিত। এমনকি জাতীয় দলের জার্সিতেও তারা নিয়মিতই গোলের দেখা পান। তবে এই তারকা ফুটবলাররা অনেক সময়ই বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে খেলার চাপ নিতে পারেন না। এর ফলে বিশ্ব মঞ্চে সমর্থকরা অধীর আগ্রহ নিয়ে থাকলেও তাদের গোল উৎসবের দেখা মিলে নি। এমন কয়েকজন ফুটবলারকে নিয়েই স্পোর্টসমেইল২৪.কমের এই আয়োজন।  

জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ (সুইডেন)

sportsmail24

বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম সেরা তারকা জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ। ২০০১ সালে ফেরো আইল্যান্ডের বিপক্ষে জাতীয় দলে অভিষেক হয়। অভিষেকের এক বছর পর ২০০২ সালে আজারবাইজানের বিপক্ষে প্রথম আন্তর্জাতিক গোল করেন তিনি।

২০০১ সালে অভিষেকের পর দীর্ঘ ২১ বছর জাতীয় দলের জার্সিতে খেলে ১১৮ ম্যাচে তার পা থেকে এসেছে ৬২ গোল। সুইডেনের ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ডও তার দখলে। তবে এর একটি গোলও তিনি করতে পারেননি বিশ্বকাপের মঞ্চে। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে  ১৯ বার গোল করেছেন তিনি। কাতার বিশ্বকাপে খেলবে না তার দেশ সুইডেন। তাই তিনি কখনও বিশ্বকাপ মঞ্চে গোল করতে পারবেন এই আশাও নিরাশা।

রবার্ট লেভানডোভস্কি (পোল্যান্ড)

sportsmail24

প্রতি মৌসুমে বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে একের পর এক গোল করে বিশ্ব মিডিয়ার নজর কাড়েন রবার্ট লেভানডোভস্কি। জাতীয় দলের জার্সিতেও প্রায় প্রতি ম্যাচেই দেখা মিলে তার গোল উৎসব। তবে বিশ্বকাপের মঞ্চে এখনও গোলের খাতা খুলতে পারেননি এই পোলিশ তারকা।

২০০৮ সালে সেপ্টেম্বরে জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক রবার্ট লেভানডোভস্কির। অভিষেকের ১১ বছরের মাথায় জাতীয় দলের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড নিজের করে নেন এই ফুটবলার। জাতীয় দলের এখন পর্যন্ত ১২৯ ম্যাচে ৭৫ গোল করেছেন তিনি।

বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত তিন ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন রবার্ট লেভানডোভস্কি। এই সময়ে তার গোল সংখ্যা শূন্য।

লুইস ফিগো (পর্তুগাল)

sportsmail24

পর্তুগালের স্বর্ণালী প্রজন্মের শুরুটা লুইস ফিগোর হাত ধরেই। ক্লাব ক্যারিয়ারে বার্সেলোনা-রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলেছেন তিনি। তার সময়ে পর্তুগাল একটি বিশ্বকাপ জয়ের আক্ষেপে পুড়েছে বলে মনে করেন অনেক ফুটবল বোদ্ধা।

জাতীয় দলের হয়ে ১২৭ ম্যাচে ৩২ গোল করেছিলেন লুইস ফিগো। ক্যারিয়ারে ১০ বার বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন তিনি। তবে একটিবারও প্রতিপক্ষে জালে বল পাঠাতে পারেননি তিনি। তবে একবার গোল করতে সহায়তা করেছিলেন এই পর্তুগিজ তারকা।

ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ড (ইংল্যান্ড)

sportsmail24

বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্রিয়েটিভ মিডফিল্ডার হিসেবে বিবেচিত হন ইংলিশ তারকা ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ড। ক্লাব ক্যারিয়ারে বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছে চেলসির ডেরায়। ক্লাবের হয়ে বড় বড় টুর্নামেন্টে অসংখ্য গোল করলেও জাতীয় দলের হয়ে বিশ্বকাপে গোল সংখ্যা শূন্য।

১৯৯৯ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের। জাতীয় দলের হয়ে খেলেছিলেন ১০৬ ম্যাচ। এই সময়ে জাতীয় দলের করেছিলেন ২৯ গোল। ২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে জার্মানির বিপক্ষে একটি গোল করেছিলেন ল্যাম্পার্ড। তবে অফসাইডের কারণে গোলটি বাতিল করে দেন রেফারি। এই ঘটনাকে বিশ্বকাপের ইতিহাসের অন্যতম বড় স্ক্যান্ডাল হিসেবে বিবেচেনা করা হয়। গোলটি বাতিল করা না হলে হয়তো তার নামের পাশে যুক্ত থাকতো একটি বিশ্বকাপ গোল।

স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর



শেয়ার করুন :


আরও পড়ুন

কাতার বিশ্বকাপে ‘হুমকির মুখে’ যেসব রেকর্ড

কাতার বিশ্বকাপে ‘হুমকির মুখে’ যেসব রেকর্ড

ফুটবলের বিশ্ব মঞ্চে খেলেননি যেসব তারারা

ফুটবলের বিশ্ব মঞ্চে খেলেননি যেসব তারারা

কাতার বিশ্বকাপে পদচিহ্ন পড়বে না যেসব তারকা ফুটবলারদের

কাতার বিশ্বকাপে পদচিহ্ন পড়বে না যেসব তারকা ফুটবলারদের

ফার্নান্দো তোরেস : পথ হারানো এক বিশ্বসেরা

ফার্নান্দো তোরেস : পথ হারানো এক বিশ্বসেরা