রেকর্ড মানেই নতুন কিছু। সব সময় বলা হয়ে থাকে, রেকর্ড তৈরি হয় ভাঙার জন্যই। আর এতেই রেকর্ড বইয়ে পুরাতন তথ্যে আসে একের পর এক পরিবর্তন। বড় টুর্নামেন্টে রেকর্ডের এই পালা-বদল একটু বেশিই হয়। এরই ধারাবাহিকতায় কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলেও রেকর্ড বইয়ে আসতে পারে নানা পরিবর্তন।
এশিয়ার দ্বিতীয় এবং মধ্যপ্রাচ্যের প্রথম দেশ হিসেবে বিশ্বকাপ ফুটবল আয়োজন করবে কাতার। এছাড়াও চিরায়িত নিয়ম ভেঙে গ্রীষ্মকালের বদলে শীতকালে আয়োজিত হতে যাচ্ছে বিশ্বকাপ। এই রেকর্ডগুলোতো সবারই জানা। এছাড়াও আরও অসংখ্য রেকর্ড আছে যা কিনা কাতার বিশ্বকাপে নতুন করে লেখা হতে পারে। তা নিয়ে স্পোর্টসমেইল২৪.কমের আজকের এই আয়োজন।
১২৩
যখন থেকে বিশ্বকাপে কার্ডের প্রচলন করা হয়েছে সে সময় থেকে বিশ্বকাপে সবচেয়ে ১২৩টি হলুদ কার্ড দেখেছে আর্জেন্টিনার ফুটবলাররা। তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল হলুদ কার্ড দেখায় শীর্ষ তালিকাতে না থাকলেও লাল কার্ডের তালিকায় আছে শীর্ষে। এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ১১ লাল কার্ড দেখেছে ব্রাজিল।
এছাড়াও আর মাত্র দুইটি লাল কার্ড দেখলে দুই অঙ্কের ঘর ছুয়ে ফেলবে ল্যাটিন আমেরিকার আরেক দেশ উরুগুয়ে।
১০৯
বিশ্বকাপ ফুটবলে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছে কোন দল? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গেলে কেউ হয়তো ব্রাজিল আর কেউ জার্মানির নাম বলবেন। তবে সঠিক উত্তর হলো দুই দেশই সমান সংখ্যক ১০৯ ম্যাচ খেলেছে। ব্রাজিলের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনা আছে বেশি পিছিয়ে। আলবিসেলেস্তারা বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ৮৪ ম্যাচ খেলেছে।
নক আউট পর্বে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ডের দখলদার ব্রাজিল। তারা খেলেছে ৭৩ ম্যাচ। দ্বিতীয় স্থানে জার্মানি খেলেছে ৬৭ ম্যাচ। তৃতীয় স্থানে থাকা ইতালির ম্যাচ সংখ্যা ৪৬। টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ না খেলা ইতালির এই রেকর্ড ভাঙার দ্বারপ্রান্তে আছে আর্জেন্টিনা।
২৭
বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ হারের রেকর্ড কাদের দখলে? এটা কোনো এশিয়া দলের নয়। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ৫৭ ম্যাচ খেলে ২৭ টিতেই হেরেছে মেক্সিকো। আর তারাই বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ হারার রেকর্ড নিজেদের করে রেখেছে। শুধু তাই নয়, আর মাত্র দুইটি গোল হজম করলে বিশ্বকাপে তৃতীয় দেশ হিসেবে শততম গোল হজমের রেকর্ড করবে মেক্সিকো। প্রথম দুইটি দল জার্মানি (১২৫) এবং ব্রাজিল (১০৫)।
২০
বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত মাত্র ১১ জন ফুটবলার ২০ বা তার চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলতে পেরেছেন। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হওয়ার দ্বারপ্রান্তে আছেন বর্তমানের সেরা দুই তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো আর লিওনেল মেসি। বিশ্বকাপে আর একটি ম্যাচ খেললেই ২০ ম্যাচের মাইলফলক স্পর্শ করবেন আর্জেন্টাইন তারকা। আর পর্তুগিজ তারকাকে খেলতে হবে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের সবগুলো ম্যাচ। আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ২১ ম্যাচ খেলেছেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। আর বিশ্বকাপ ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড লোথার ম্যাথিউসের দখলে। আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলতে পারলে আর সব ম্যাচে লিওনেল মেসি থাকলে লোথার ম্যাথিউসের পাশে বসবেন তিনি।
১০
বিশ্বকাপে যতগুল দল সুযোগ পেয়েছে, এর মধ্যে কোচ হিসেবে সবচেয়ে বেশি সমৃদ্ধ ফরাসি কোচ দিদিয়ের দেশমের রেকর্ড। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১২ ম্যাচে দলকে কোচিং করিয়েছেন তিনি। আর একটি মাত্র ম্যাচ জিতলে তিনি হবে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ জেতানো কোচ। তিনি বসবেন হেলমুট সিচন, লুইস ফিলিপে স্কোলারি, মারিও জাগলো, জোয়াকিম লো, কার্লোচ আলবার্তো পেরেইরা এবং অস্কার তাবারেজের পাশে। দুই ম্যাচ জিতলে তিনিই হবেন বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ম্যাচজয়ী কোচ।
৪
টানা চার বিশ্বকাপে গোল করার রেকর্ড আছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। কাতার বিশ্বকাপে একবার বল জালে জড়াতে পারলেই এককভাবে টানা পাঁচ বিশ্বকাপে গোল করার রেকর্ড গড়বেন তিনি।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর