চারদিকে বাজছে কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলের আগমনী সুর।। বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে দলগুলোকে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে আটটি গ্রুপে। সেখানে ‘এফ’ গ্রুপে পড়েছে আফ্রিকান দেশ মরক্কো। এর আগে পাঁচটি আসরে অংশগ্রহণ করলেও একবারই শেষ ষোলোতে পৌছাতে পেরেছিল তারা। ১৯৮৬ সালে মেক্সিকো বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড, পোল্যান্ড ও পর্তুগালের গ্রুপ থেকে নিজেদের ইতিহাসের সেরা সাফল্য অর্জন করে ‘অ্যাটলাস লায়ন্স’ খ্যাত মরক্কানরা।
কাতার বিশ্বকাপে বেশ কঠিন গ্রুপে পড়েছে অ্যাটলাস লায়ন্সরা। তাদের গ্রুপের বাকি তিন দল বেলজিয়াম, কানাডা ও ক্রোয়েশিয়া। তবে মরক্কান সমর্থকদের বিশ্বাস, ’৮৬ বিশ্বকাপের মতো এবারও ভালো কিছু হবে। তাদের বিশ্বাসের পেছনে রয়েছে একদল তরুণ। আমাদের চোখে এবার ধরা দিবেন তাদের পাঁচজন। কাতার বিশ্বকাপে মরক্কোর ‘আশার আলো’ পাঁচ তারকা।
আজেদিন ওনাহি (অ্যাঙ্গার্স)
কাতার বিশ্বকাপে মরক্কোবাসীর আশার আলো আজেদিন গুনাহি। মরক্কোকে বিশ্বকাপে তুলতে বাছাই পর্বে কঙ্গোর বিরুদ্ধে তার পারফর্ম্যান্স আজীবন মনে রাখবে মরক্কানরা। আজেদিন বর্তমানে খেলছেন ফরাসি ক্লাব অ্যাঙ্গার্সের হয়ে। কাতার বিশ্বকাপে মাঝমাঠে প্রতিপক্ষের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারেন এই মিডফিল্ডার। দূর থেকে আচমকা নেয়া তার বুলেট গতির শট ভালোই পরীক্ষায় ফেলে দিবে যেকোনো গোলররক্ষকে।
আবদেসামাদ ইজ্জালজৌলি (বার্সেলোনা ‘বি’)
মরকোর খেলোয়াড়দের মধ্যে যার দিকে আলোটা বেশি পড়বে, তিনি হলেন আবদেসামাদ ইজ্জালজৌলি। স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনায় খেলা ২০ বছর বয়সী এই তরুণের দিকেও আশা নিয়ে তাকিয়ে থাকবে অ্যাটলাস লায়ন্স সমর্থকরা। যদিও এখনো জাতীয় দলের হয়ে আত্মপ্রকাশ করেনি আবদেসামাদ।
তবে বিশ্বকাপেই দেখা যেতে পারে তাকে। দুই উইং ধরে সমানভাবে ছুটতে পারেন তিনি। দুর্দান্ত গতি আর ড্রিবলিংয়ে মাঠ মাতানো আবদেসামাদই বিশ্বকাপে হয়ে উঠতে পারেন মরক্কোর তুরুপের তাস।
ছাদি রিয়াদ (বার্সেলোনা ‘এ’)
বার্সেলোনার দলের হয়ে খেলা ছাদি রিয়াদকে ধরা হয় ইউরোপের সবচেয়ে প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ ডিফেন্ডারদের একজন। শারীরিক সক্ষমতা এবং ক্রমাগত উন্নতি দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। কাতার বিশ্বকাপে মরক্কোর রক্ষণভাগের অতন্দ্র প্রহরী হতে পারেন বার্সেলোনার এই তরুণ।
রিয়াদ বর্তমানে জাতীয় দলের জুনিয়র বিভাগে খেলেছেন। সিনিয়র দলে সুযোগের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন তিনি।
ইমরান লুজা (ওয়াটফোর্ড)
কাতার বিশ্বকাপে মরক্কোর মাঝমাঠের সবচেয়ে ভরসার নাম হয়ে উঠতে পারেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ওয়াটফোর্ডে খেলা ইমরান লুজা। ইতোমধ্যে মরক্কোর একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি।
লুজা মাঠে আক্রমণাত্মক এবং রক্ষণাত্মক দুই ভূমিকাতেই সমান পারদর্শী। আসন্ন বিশ্বকাপে তিনি অ্যাটলাস লায়ন্সের জন্য গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় না হলে এটি একটি বড় চমক হবেন। জাকারিয়া আবুখলাল (আলকমার)
কাতার বিশ্বকাপে মরক্কোর আক্রমণভাগের ভরসা হতে পারেন ডাচ ক্লাব আলকমারের ২২ বছর বয়সী তারকা ফরোয়ার্ড জাকারিয়া আবুখলাল। প্রতিভাবান এই তরুণ গোল বানিয়ে দেয়া এবং করাতে সমান পারদর্শী।
এখন কেবল জাতীয় দলের হয়ে বিশ্বকাপে নিজেকে প্রমাণের পালা। কাতার বিশ্বকাপেই নিজেকে মেলে ধরার বড় সুযোগ জাকারিয়ার সামনে। তার দিকে আশার আলো নিয়ে চেয়ে আছে মরক্কানরাও।
স্পোর্টসমেইল২৪/এএইচবি