বিষয়

নারী বিশ্বকাপের ‘পাঁচ তারকা’

আরিফুল হক বিজয় আরিফুল হক বিজয় প্রকাশিত: ০৩:৫৯ পিএম, ০২ মার্চ ২০২২
নারী বিশ্বকাপের ‘পাঁচ তারকা’

করোনার কারণে এক বছরের বিরতি দিয়ে আবারও মাঠ গড়াতে যাচ্ছে নারীদের ক্রিকেটের মহাযজ্ঞ ‘নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২২’। তাসমান সাগরপাড়ে ব্যাটে-বলে ঝড় তুলবে প্রমিলার দল। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে আলাদা করেই রাখতে হয়। যাদের ব্যাটের দ্যুতি কিংবা বলের কারিশমায় আলোকিত হয়ে উঠবে বিশ্বমঞ্চের সবুজ গালিচা। আমরা আজ তেমন পাঁচজনের দিকেই আলোকপাত করবো।

অ্যালিস পেরি (অস্ট্রেলিয়া)
প্রমিলা ক্রিকেটে দর্শকদের কাছে অ্যালিস পেরি নামটা খুব বেশিই পরিচিত। নারীদের ক্রিকেটে ইতিমধ্যেই গ্রেটদের কাতারে পৌছে গেছেন এই অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার। নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার ট্রাম্পকার্ড ৩১ বছর বয়সী অভিজ্ঞ এই তারকা অলরাউন্ডার।

২০০৭ সালে অভিষেক হওয়ার পর অজিদের হয়ে খেলেছেন পাচটি টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়নশিপ এবং একটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ। অর্জনের ঝুলিটাও বেশ ভারী। তিনবার জিতেছেন নারীদের বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার। তাই এবারের আসরে পেরির অভিজ্ঞতা স্বপ্ন দেখাচ্ছে অজিদের।

অ্যামেলিয়া কার (নিউজিল্যান্ড)
এবারের আসরে দর্শকের নজরে থাকা আরেকজন স্বাগতিক দেশ নিউজিল্যান্ডের ব্যাটার অ্যামেলিয়া কার। মাত্র ১৬ বছর বয়সেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পা রেখেছিলেন অ্যামেলিয়া। অভিষেকের পর থেকেই ব্যাট হাতে রানের ফোয়ারা ছুটিয়ে যাচ্ছেন এই প্রমিলা ক্রিকেটার।

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে তার করা ২৩২ রান এখনো হয়ে আছে নারী ক্রিকেটে সর্বোচ্চ স্কোর। ভারতের বিপক্ষে সিরিজে অবিশ্বাস্য ১১৭ দশমিক ৭ গড়ে করেছিলেন ৩৫৩ রান। নারী বিশ্বকাপের এবারের আসরে কিউইদের ব্যাটিং ভারটা থাকবে অ্যামেলিয়ার কাঁধেই। সঙ্গে দর্শকেরও কৌতুহলী চোখও।

বিসমাহ মারুফ (পাকিস্তান)
নারীদের বিশ্বকাপের এবারের আসরে সবচেয়ে বড় চমকের নাম বিসমাহ মারুফ। সংসার জীবন সামলেও যে ব্যাট-বল হাতে মাঠে ফেরা যায় তার অন্যতম উদাহরণ পাকিস্তানের এই প্রমিলা ক্রিকেটার। বিসমাহ শুধু খেলবেনই না , এবারের আসরে পাকিস্তানের অধিনায়কের ব্যাটনটাও তার হাতেই।

দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তান নারী দলকে সার্ভিস দিয়ে আসছেন বিসমাহ। পাকিস্তানের জার্সি গায়ে অভিষেকের পর থেকে এ পর্যন্ত ১০৮টি ওয়ানডে খেলছেন ৩০ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার। এবারের আসরটা বিসমাহর জন্য চ্যালেঞ্জিং। বিসমাহ সেই চ্যালেঞ্জ কতটা উতরে যান, সেটা দেখতে তার দিকে নজর রাখবেন দর্শকরাও।

শেফালি ভার্মা (ভারত)
শেফালি ভার্মাকে ধরা হয় ভারতের নারী ক্রিকেটে সবচেয়ে প্রতিভাবান ব্যাটার। খেলার ধরণে কোনো ভয়, দ্বিধা কিংবা সংশয় নেই। পরিপূর্ণ ক্ল্যাসিক ব্যাটার বলতে যা বুঝায় সবটাই আছে তার মধ্যে। যে কারণে সাবেক ভারতীয় ওপেনার বিরেন্দর শেবাগ শেফালিকে উপাধী দিয়েছিলেন ‘রক স্টার’।

ওপেনিংয়ে একপ্রান্তে শেফালির থাকাটা অনেকটাই নির্ভার করে দেয় অন্যপ্রান্তের ব্যাটারকে। ভারতকে এক হাতে অনেক ম্যাচ বের করে দিয়েছেন ১৮ বছরের এই তরুণী। এর মধ্যে চোখে লেগে থাকবে ২০২১ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ড্র করা টেস্টে ৯৬ এবং ৬৩ রানের ইনিংস দুটি।

নিউজিল্যান্ডে এবারের আসরে শেফালির দিকে আলাদাভাবেই নজর রাখবেন দর্শকরা। ভারতের অধিনায়ক মিতালি রাজ যেমন বিশ্বাস করেন, স্মৃতি মান্ধানার সাথে জুটি বেঁধে এবারের আসরে ভারতের ব্যাটিং ভরসা হয়ে উঠবেন শেফালি। দেখা যাক মিতালি রাজের কথা কতটা রাখতে পারেন দুর্দান্ত শেফালি।

শবনিম ইসমাইল (দক্ষিণ আফ্রিকা)
একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে র‍্যাংকিংয়ে দ্বিতীয় স্থানে থেকেই নিউজিল্যান্ডের মাটিতে পা রেখেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। নিউজিল্যান্ড আসার আগে পাঁচটি ওয়ানডে সিরিজের সব কয়টি জিতে এসেছিল প্রোটিয়া নারী দল। এই পাঁচটি সিরিজে চোখে লেগে থাকার মতো দুর্দান্ত বোলিং করেছেন শবনিম ইসমাইল।

শবনিমকে সবাই ডাকে ‘দ্য ডেমন’। নারীদের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ গতির জন্যেই তার এই নাম। ঘন্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিতে বল ছুঁড়তে পারেন শবনিম। সাবেক প্রোটিয়া গতিতারকা ডেল স্টেইন তার আদর্শ। সবনিম জানান, নেটে তাকে খেলতে গিয়ে অসুবিধায় পড়েন সতীর্থরাও!

সতীর্থরাই যখন শবনিমকে খেলতে অসুবিধায় পড়েন তখন প্রতিপক্ষের কি অবস্থা হতে পারে? এই প্রশ্নের উত্তর মিলবে মহামঞ্চের মিলনমেলায়। সেটা দেখার জন্য হলেও তার দিকে চোখ থাকবে সবার।

স্পোর্টসমেইল২৪/এএইচবি

[আমরা এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ইনস্টল করুন আমাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপস ]



শেয়ার করুন :


আরও পড়ুন

রমেশ কুমার : আইপিএলে টেনিস বলের ‘নারিন’

রমেশ কুমার : আইপিএলে টেনিস বলের ‘নারিন’

তারুণ্যের হাত ধরে বিশে বিশ্বজয়ের গল্প

তারুণ্যের হাত ধরে বিশে বিশ্বজয়ের গল্প

বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট : গল্পটা লাল-সবুজের জয়িতাদের

বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট : গল্পটা লাল-সবুজের জয়িতাদের

আশরাফুল : সুবাস ছড়িয়েও ঝরে পড়া ‘আশার ফুল’

আশরাফুল : সুবাস ছড়িয়েও ঝরে পড়া ‘আশার ফুল’