এবারের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের আসর আয়োজন করতে যাচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এর আগে ক্রিকেটের অনেক মহাযজ্ঞের আয়োজন করলেও প্রথমবারের মতো যুব বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্বে পেয়েছে সমুদ্রবেষ্ঠিত দেশটি। চার গ্রুপে ভাগ হয়ে মোট ১৬টি দল এ আসরে অংশগ্রহণ করবে।
গ্রুপগুলোতে পুরনো দল যেমন আছে, তেমনি নব দিগন্তে পা দেয়া দলও আত্মপ্রকাশ করেছে। প্রতিটা গ্রুপের দলগুলোর উপর আলোকপাত করতেই এই আয়োজন। আজ থাকছে গ্রুপ ‘সি’-র চার দল আফগানিস্তান, পাকিস্তান,পাপুয়া নিউগিনি এবং জিম্বাবুয়ে।
আফগানিস্তান
ক্রিকেট বিশ্বে এশিয়ার দেশগুলো থেকে উঠে আসা আফগানিস্তানকে নব্য শক্তি বলা হয়। যদিও যুব বিশ্বকাপে আফগানদের পদচারণা বেশ আগে থেকেই। এই আসরে তাদের সাফল্যও বেশ ভালো। সর্বশেষ চার আসরের তিনটিতেই শেষ আটে খেলেছে তারা। যুব বিশ্বকাপে আফগানদের সেরা সাফল্য বলতে ২০১৮ সালের আসরে সেমিফাইনালে খেলা। যদিও অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল তখন। ২০১০ সালের পর এবারের আসর নিয়ে সপ্তমবারের মতো অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে আফগানিস্তান। এবারের আসরে আফগানদের নেতৃত্ব দিবেন সুলেমান সাফি। অধিনায়কের তুরুপের তাস হতে পারেন আগের আসরে খেলা স্পিনার নূর আহমেদ। যিনি বিগব্যাশ এবং পিসিএলের মতো আসরে নিজেকে প্রমাণ করেছেন।
পাকিস্তান
যুব বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ফাইনাল খেলা দলের নাম পাকিস্তান। তারা মোট ফাইনাল খেলেছে পাঁচবার। সবার উপরে আছে ভারত। ২০০৪ এবং ২০০৬ সালে টানা দুই আসরের যুব বিশ্বকাপের শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছে পাকিস্তান। সেই দলে ছিলেন সরফরাজ আহমেদ, ওয়াহাব রিয়াজ ও ইমাদ ওয়াসিমের মতো ক্রিকেটাররা। পাকিস্তানের বর্তমান দলের সেরা তারকা শাহিন আফ্রিদিও যুব বিশ্বকাপের আবিষ্কার। এবারের আসর মিলিয়ে ১৪তম বারের মতো অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে তারা। এবার দলকে নেতৃত্ব দিবেন অলরাউন্ডার কাসিম আকরাম।
পাপুয়া নিউ গিনি
ক্রিকেটে উদীয়মান শক্তি পাপুয়া নিউগিনি। যদিও এর আগেও আটবার তারা যুব বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছে। এবারের আসর নিয়ে নবমবারের মতো মাঠে নামতে যাচ্ছে নিউ গিনি। যুব বিশ্বকাপের ইতিহাসে কখনো তারা প্রথম পর্ব পার হতে পারেনি। তবে তিনটি জয় ঠিকই ঝুলিতে জমা করেছে। এর দুইটি আবার এবারের আসরের একই গ্রুপের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী আফগানিস্তান এবং জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। পাপুয়া নিউ গিনিকে এবার নেতৃত্ব দিবেন অলরাউন্ডার বর্ণবাস মাহা।
জিম্বাবুয়ে
জিম্বাবুয়েকে নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। যুব বিশ্বকাপে এ নিয়ে ১৩তম বারের মতো পা দিলো তারা। সর্বশেষ চার আসরে তারা দশম এবং একাদশ অবস্থানে থেকেই আসর শেষ করেছে। জিম্বাবুয়েরর সেরা সাফল্য বলতে ২০১৬ সালের আসরে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে নবম স্থান অর্জন করা। যদিও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ২ রানে হেরে যাওয়ায় কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা হয়নি ওয়েসলি মাধেব্রের দলের। প্রতি আসরেই তারা তিন জয় কিংবা তিন পরাজয় নিয়ে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয়ার এক অনন্য রেকর্ড গড়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে এবারের আসরে দলকে নেতৃত্ব দিবেন এমানুয়েল বাওয়া। কোচ হিসাবে থাকছেন জিম্বাবুয়ের সবেক স্পিনার প্রসপার উতসেয়া।
স্পোর্টসমেইল২৪/এএইচবি/পিপিআর
[আমরা এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ইনস্টল করুন আমাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপস ]