এবারের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের আসর আয়োজন করতে যাচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এর আগে ক্রিকেটের অনেক মহাযজ্ঞের আয়োজন করলেও প্রথমবারের মতো যুব বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্বে পেয়েছে সমুদ্রবেষ্ঠিত দেশটি। চার গ্রুপে ভাগ হয়ে মোট ১৬টি দল এ আসরে অংশগ্রহণ করবে।
গ্রুপগুলোতে পুরনো দল যেমন আছে, তেমনি নব দিগন্তে পা দেয়া দলও আত্মপ্রকাশ করেছে। প্রতিটা গ্রুপের দলগুলোর উপর আলোকপাত করতেই এই আয়োজন। আজ থাকছে গ্রুপ ‘এ’ থেকে চার দল বাংলাদেশ, কানাডা, ইংল্যান্ড এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।
বাংলাদেশ
যুব বিশ্বকাপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন সর্বশেষ শিরোপাধারী দল বাংলাদেশ। ২০২০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে আয়োজিত আসরে শক্তিশালী ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নের মুকুট পড়ে বাংলাদেশের যুবারা। এ আসরে মোট ১২ বার অংশগ্রহণ করেছে বাংলাদেশ। এবারের আসর নিয়ে সংখ্যাটা দাঁড়াবে ১৩ তে। আসরে বাংলাদেশ শিরোপা জিততে পেরেছে কেবল একবারই, ২০২০ সালে। এর আগের আসরগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ অর্জন ছিল তৃতীয়। ঘরের মাঠে ২০১৬ সালে মেহেদী হাসান মিরাজের নেতৃত্বে তৃতীয় হয়েছিলো যুব টাইগাররা। এবারের আসরে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিবেন বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল ইসলাম।
কানাডা
ক্রিকেটে খুব পরিচিত না হলেও অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে তারা মোট ৭ বার অংশগ্রহণ করেছে কানাডা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে এবারের আসর নিয়ে যা দাঁড়াবে আটে। যুব আসরে কানাডার সেরা সাফল্য ছিলো ২০১০ যুব বিশ্বকাপে ১১তম স্থান অর্জন করা। তারা অতীতে কখনো প্রথম পর্ব অতিক্রম করতে পারেনি। এবারের আসরে কানাডাকে নেতৃত্ব দিবেন মিহির প্যাটেল। দক্ষিণ আফ্রিকায় এর আগের আসরেও ছিলেন তিনি।
ইংল্যান্ড
ক্রিকেটের জনক ইংল্যান্ড যুব বিশ্ব আসরের সবচেয়ে পুরোনো দল। এবারের আসর মিলিয়ে ১৮তম বারের মতো অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে তারা। এই আসরে ইংলিশদের সর্বশেষ শিরোপা ছিলো ২৪ বছর আগে। এরপর ২০১৪ সালে সেমিফাইনাল খেলাটাই এ যাবতকালে তাদের দ্বিতীয় সেরা অর্জন। দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বশেষ আসরে তারা প্রথম রাউন্ড থেকেই বাদ পড়ে গিয়েছিলো। এবারের আসরে ইংল্যান্ডকে নেতৃত্ব দিবেন হ্যাম্পাশায়ারের অধিনায়ক টম প্রিস্ট। দলে চমক বলতে ক্যারিবীয় বংশোদ্ভূত স্পিনার জ্যাকব বেথেল। আরও আছেন ২০২১ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে সাসেক্সের হয়ে তিন ফরম্যাটে খেলা আর্চি লেনহাম।
সংযুক্ত আরব আমিরাত
গ্রুপ ‘এ’ তে সবচেয়ে নবীন দল সংযুক্ত আরব আমিরাত। এবারের আসর মিলিয়ে তৃতীয় বারের মতো যুব বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে তারা। ২০১৪ সালের আসরের আয়োজক দেশ ছিলো তারা। সর্বশেষ আসরে দক্ষিন আফ্রিকার মাটিতে তারা ১৩তম অবস্থানে ছিলো। তাই বলা যায়, এবারের আসরে টিকে থাকতে বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। এবার আরব আমিরাতকে নেতৃত্ব দিবেন আলিশান শারাফু। যিনি দুই বছর আগে থেকেই দলের সাথে আছেন। এই দলের বোনাস পয়েন্ট হতে পারেন ১৭ বছর বয়সী ওপেনার কাই স্মিথ। যিনি মাত্র ১৫ বছর বয়সে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে গত আসরে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
স্পোর্টসমেইল২৪/এএইচবি/পিপিআর
[আমরা এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ইনস্টল করুন আমাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপস ]