টেস্টে সিরিজের পর দুই ম্যাচ সিরিজের টি-টোয়েন্টিতেও হারলো বাংলাদেশ। সিলেট স্টেডিয়ামে নিজেদের অভিষেকে শ্রীলঙ্কার কাছে ৭৫ রানে হেরে গেছে মামমুদুল্লাহরা। সিরিজে ২-০ ব্যবধানে জিতে নিলো শ্রীলঙ্কা। আর এ জয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের পর বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজও নিজেদের করে নিল সফররত শ্রীলঙ্কা।
রোববার টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। তবে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ বোলারদের উপর চড়াও হয় লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা। দুই ওপেনার পাওয়ার প্লের প্রথম ৬ ওভারেই তুলে নেন ৬৩ রান।
লঙ্কান ওপেনার গুনাতিলকা ফিরে যাওয়ার আগে ৯৮ রানের জুটি উপহার দেয়। গুনাতিলকা-মেন্ডিসের ৬৬ বলে ৯৮ রানের জুটির পর দ্বিতীয় উইকেটে ২৮ বলে ৫১ রানের জুটি গড়েন মেন্ডিস ও থিসারা পেরেরা।
এছাড়া শেষ ৪ ওভারে আবু জায়েদ, মোস্তাফিজ ও সাইফউদ্দিনের বলকে বেধড়ক শাসন করেন শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানরা। শেষ ২৪ বলে শ্রীলঙ্কা তুলে নেয় ৫২ রান। দাশুন শানাকার ১১ বলে ৩০ রানের ‘টর্নেডো’ ব্যাটিংয়ে ভর করে শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেটে ২১০ রানে থামে শ্রীলঙ্কা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে বেশ চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। ১৮ দশমিক ৪ ওভারে ১৩৫ রানে গুটিয়ে যায় টাইগার শিবির। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তাও আবার ভুলের রান আউটে কাটা পড়েন তিনি।
এছাড়া ওপেনার তামিম ইকবাল ২৯ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ২০ রান করেন। শ্রীলঙ্কার পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন মাদুশানাকা ও গুনাথিলাকা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা : ২০ ওভারে ২১০/৪ (গুনাথিলাকা ৪২, মেন্ডিস ৭০, থিসারা ৩১, থারাঙ্গা ২৫, শানাকা ৩১*; জায়েদ ১/৪৫, মোস্তাফিজ ১/৩৯, সাইফ ১/৪৬, সৌম্য ১/২৫)
বাংলাদেশ : ১৮.৪ ওভারে ১৩৫ (তামিম ২৯, মাহমুদউল্লাহ ৪১, সাইফ ২০, মেহেদি ১১, মোস্তাফিজ ৮; মাদুশাঙ্কা ২/২৩, দনঞ্জয়া ১/২০, শানাকা ১/৫, গুনাথিলাকা ২/৩)
ফল : শ্রীলঙ্কা ৭৫ রানে জয়ী
সিরিজ : ২-০তে জয়ী শ্রীলঙ্কা।