আইসিসির এফটিপি অনুযায়ী অক্টোবর-নভেম্বরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের কথা রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার। তবে প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের কারণে বিলম্বিত হতে পারে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন।
নির্ধারিত সূচির পরিবর্তে আসর পিছিয়ে গেলে দেশ সেরা খেলোয়াড় সাকিব আল হাসানের সার্ভিস পাবে বাংলাদেশ। যা বাংলাদেশের জন্য স্বস্তির। আর তাই তো বিলম্বিত বিশ্বকাপ বাংলাদেশের জন্য আশীর্বাদ হিসেবে দেখছেন জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু।
চলতি বছরের অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহে বিশ্বকাপ শুরুর কথা রয়েছে। প্রথম রাউন্ডে হবে বাছাই পর্বের খেলা। সেখান থেকে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে সরাসরি অংশ নেয়া আটটি দলের সাথে বাছাই পর্ব পেরোনো দল।
বাছাই পর্বের বি গ্রুপে রয়েছে বাংলাদেশ। সেখানে তাদের লড়তে হবে, নামিবিয়া-নেদারল্যান্ডস ও স্কটল্যান্ডের সাথে। অক্টোবরের ১৯, ২১ ও ২৩ তারিখ ওই তিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। ‘এ’ গ্রুপে খেলবে শ্রীলংকার প্রতিপক্ষ আয়ারল্যন্ড, ওমান ও পাপুয়া নিউগিনি।
সাকিব আল হাসানের নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে ২৯ অক্টোবর। যদি নির্ধারিত সূচিতে বিশ্বকাপ শুরু হয়, তবে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবেন না তিনি। টুর্নামেন্ট চলাকালীন সাকিবের নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেও, আসরের মাঝপথে সাকিবকে খেলার অনুমতি দিবে না আইসিসি।
তাই এ অবস্থায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ যদি পিছিয়ে যায় বা সৃচিতে পরিবর্তন ঘটে, তবেই বাংলাদেশের হয়ে খেলার সুযোগ পাবেন সাকিব। তাই টুর্নামেন্ট পিছিয়ে গেলে বাংলাদেশ খুশি বলে স্বীকার করেন জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু।
তিনি বলেন, ‘যদি সাকিবকে পাওয়া যায়, তবে আমরা উপকৃত হবো। যদি সাকিব বাংলাদেশের হয়ে খেলতে পারে, তবে আমাদের ভালো সুযোগ থাকবে।’
একই সাথে, টুর্নামেন্ট পিছিয়ে গেলে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য দল তৈরিতে ভালো সময় পাওয়া যাবে বলে জানান প্রধান নির্বাচক। তিনি বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে ক্রিকেট নিয়ে চিন্তা করা কঠিন। যদি টুর্নামেন্ট পিছিয়ে যায়, তবে আমাদের দল তৈরির জন্য পর্যাপ্ত সময় পাবো। কারণ আমরা দল নিয়ে অনেক বেশি পরীক্ষা করতে পারবো।’
করোনাভাইরাসের এই কঠিন অবস্থায় ক্রিকেট নিয়ে ভাবতে চান না নান্নু। তিনি বলেন, ‘এই পরিস্থিতি কেটে যাওয়ার পর আমি ক্রিকেট ফিরিয়ে আনার পক্ষে। খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। যদি সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যায়, এরপর তাদের প্রস্তুত করতে কিছু সময় দিতে হবে। আমরা তাদের ফিটনেস, স্বাস্থ্যগত অবস্থা ও অন্যান্য বিষয়গুলো দেখতে চাই। কারণ তারা মাঠে ক্রিকেট খেলবে।’
বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত তিনটি সিরিজ স্থগিত করেছে। দ্বিতীয় দফার পাকিস্তান সফর, আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ড সফর এবং দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়া সফরটি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরুর পর ব্যস্ত সূচি কাটাবে বাংলাদেশ। এফটিপি প্রস্তুত হবে, সেখানে স্থগিত সিরিজগুলো প্রাধান্য পাবে। তাই এসব বিষয় বিবেচনা করে পর্যাপ্ত খেলোয়াড় রাখার পক্ষে নান্নু।
তিনি বলেন, ‘মহামারী শেষ হওয়ার পর ব্যস্ত সূচির জন্য আমাদের তৈরি রাখতে হবে। তাই ফিটনেস জরুরি। একই সাথে, আমাদের অনেক খেলোয়াড় প্রস্তুত রাখতে হবে কারণ তাদের টানা ক্রিকেট খেলতে হবে।’
[sportsmail24.com এর ওয়েবসাইট এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও ব্রাউজ করে পড়তে পারবেন। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস থেকেও খেলাধুলার সকল নিউজ পড়তে পারবেন। ইনস্ট্রল করুন স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস ]