অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফের স্লেজিংয়ের শিকার হওয়ার পর তার ওপর ক্ষেপে গিয়েছিলেন যুবরাজ সিংহ। আর সেই রাগেরই বহিঃপ্রকাশ হিসেবে স্টুয়ার্ট ব্রডকে পর পর ছয় বলে ছয় ছক্কা মারেন তিনি। এমন অবাক করা তথ্য দিলেন স্বয়ং যুবরাজই।
২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিধ্বংসী মেজাজে দেখা গিয়েছিল যুবিকে। কিংসমিডে ভারতীয় ইনিংসের ১৯তম ওভারে ব্রডের ওভারে ছয় ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন এই বাঁ-হাতি। ১২ বলে তুলে নিয়েছিলেন হাফ-সেঞ্চুরি। যা এখনও এই ফরম্যাটে দ্রুততম পঞ্চাশের রেকর্ড। শেষ পর্যন্ত ১৬ বলে ৫৮ রান করে থামেন তিনি। যাতে ছিল তিনটি চার ও সাতটি ছয়। চার উইকেটে ভারত তোলে ২১৮ রান। সেই ম্যাচে ১৮ রানে জয় লাভ করে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির দল।
যুবির সে দিনের বিধ্বংসী মেজাজের পিছনে রহস্য কী ছিল? ফাঁস করলেন স্বয়ং তিনিই। তিনি বলেন, “সত্যি বলতে আমার মাথায় ওত ছয় মারার ভাবনা ছিল না। কিন্তু ফ্লিনটফের সঙ্গে তর্কাতর্কি আমায় রাগিয়ে দিয়েছিল। তার আগের ওভারে ফ্লিনটফকে দুটো ভাল বলে বাউন্ডারি মেরেছিলাম, যা ওর পছন্দ হয়নি। সেই ওভারের পর যখন অন্য প্রান্তে হেঁটে যাচ্ছি তখন ও কিছু কথা বলে। যা আমি ঠিক বলতে পারব না। তবে আমার শটগুলো নিয়ে খোঁচা দিল।
আমি তখন পাল্টা মন্তব্য করলাম। তর্কাতর্কি শুরু হল। ফ্লিনটফ বলল, তোমার গলা কেটে নেব। আমি বললাম, হাতের ব্যাট দেখতে পাচ্ছো তো? জানো, এই ব্যাট দিয়ে তোমায় কোথায় মারব? আম্পায়াররা এগিয়ে এসে থামালেন আমাদের। তবে আমি খুব উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলাম। ঠিক করেছিলাম, প্রতিটি বলই পাঠাব বাইরে। সৌভাগ্যের হল, দিনটা আমারই ছিল।”
স্টুয়ার্ট ব্রডের ওভারের প্রথম বল ডিপ মিড উইকেটে ছয় মেরেছিলেন তিনি। পরেরটা উড়ে যায় ব্যাকওয়ার্ড স্কোয়ার লেগে, তৃতীয়টা ওয়াইড লং-অফে। চতুর্থ বল ছিল ফুলটস, যা যায় পয়েন্টের দিকে। পঞ্চম বলে ছয় মারেন স্কোয়ার লেগে। আর ষষ্ঠ বল যায় ওয়াইড লং-অন বাউন্ডারিতে। যা এখন দেখলে নিজেই শিউরে উঠেন।
তিনি বলেন, “এখন যখন আমি ছয়গুলো দেখি তখন ভাবি কী করে প্রথম ছয় মেরেছিলাম। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ছয় ছিল ভাল শটে। কিন্তু চতুর্থটা ছিল পয়েন্টে।"
[sportsmail24.com এর ওয়েবসাইট এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও ব্রাউজ করে পড়তে পারবেন। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস থেকেও সকল নিউজ পড়তে পারবেন। ইনস্ট্রল করুন স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস ]