নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে প্রথম দেখায় চমক দেখিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। নিউজিল্যান্ডের মেয়েদের ৯১ রানে অলআউড করে দিয়ে বিশ্বকাপে জয়ে আশা দেখেছিল বাংলাদেশ। তবে সেটি আর হয়নি, উল্টো ১৭ রানে হেরে গেছে। এ হারে গ্রুপ পর্ব থেকে বাংলাদেশের বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে।
নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ১৩তম ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড। ব্যাট হাতে প্রথম সারির ব্যাটম্যানরা ভালো শুরু করেও বড় ইনিংস গড়তে পারেননি। প্রথম চার ব্যাটসম্যান ছাড়া সালমা রিতু রোমানাদের বোলিং তোপে আর কেউ দাঁড়াতেই পারেননি।
রিতু মনি, সালমা খাতুন ও রুমানা আহমেদের বোলিং তোপে ১৮.২ ওভারে ৯১ রানে গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। তাদের মধ্যে ওপেনার র্যাচেল প্রিস্ট সর্বোচ্চ ২৫ রান করেন। এছাড়া বাংলাদেশের পক্ষে রিতু মনি ৪টা, সালমা খাতুন ৩টা এবং রোমানা আহমেদ ২টি উইকেট তুলে নেন। বাকি একজন রান আউটে কাটা পড়েন।
২০ ওভারে ম্যাচে সবচেয়ে কম রানের রেকর্ড গড়েছিল আয়ারল্যান্ড। ডাবলিনে আয়ারল্যান্ডের ৪ উইকেটে ৯২ রানের ওই রেকর্ডটি প্রায় ৮ বছর ছিল।
৯২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। প্রথম উইকেট হারানোর মাত্র ২ রান পর (দলীয় ১৯ রান) দ্বিতীয় উইকেট হারায়। তবে ১৯ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে দলের হাল ধরেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। তবে দলীয় ৩১ রানে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন নিগার সুলতানা। দলেন এ বড় ধাক্কা আসার পর রান আউটে কাটা পড়েন ফারজানা।
দলীয় ৪০ রানের মধ্যে রিতু মনি ও রুমানাও বিদায় নেন। একদিকে উইকেট হারানো অন্যদিকে রান রেটে হার বৃদ্ধি। বাড়তে থাকে চাপ। সেই চাপে একে একে বিদায় নেন ফাহিমা, সোবহানা, জাহানারা ও সালমা। তাদের কেউ দুই অঙ্কে যেতে পারেননি। ৮ উইকেট পড়ার পর আবার মাঠে ফিরেন আহত নিগার সুলতানা।
৫৯ রানে নবম উইকেট পড়ার পরও হাল ছাড়েননি নিগার। তবে শেষ ওভারে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন হয় ২৫ রান। যা বাংলাদেশের জন্য অসম্ভবই ছিল। এমন টার্গেটে তবুও ব্যাট চালিয়েছেন শেরপুরের মেয়ে নিগার সুলতানা। শেষ ওভারের পঞ্চম বলে নিগার (২১) আউট হলে ৭৪ রানেই থেমে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।
চলমান নারী বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের এটি টানা তৃতীয় হার। এ হারে মূলত গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে পড়লো বাংলাদেশের মেয়েরা। এর আগে দুই ম্যাচে ভারত ও স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরেছিল সালমা খাতুনরা।