উদীয়মান তারকা রশীদ খানের বোলিং তোপে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়েকে ১৭ রানে পরাজিত করে দুই ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে আফগানিস্তান।
শারজাহতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস জয়ী জিম্বাবুয়ে আফগানিস্তানকে প্রথমে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায়। আগের ম্যাচের মতই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নবীই ছিলেন আফগানিস্তানের সর্বোচ্চ স্কোরার। ২৬ বলে তার সংগৃহীত সর্বোচ্চ ৪৫ রানে ভর করে আফগানিস্তান নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৫৮ রানের লড়াকু ইনিংস গড়ে তুলে।
যদিও আফগানিস্তানের শেষের দিকে ৬ উইকেটের পতন হয়েছে মাত্র ১৮ রানে। জবাবে জিম্বাবুয়ের ইনিংস মুজিব উর রহমান ও রশীদের বোলিং তোপে ৫ উইকেটে ১৪১ রানেই গুটিয়ে যায়।
প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও ম্যাচ সেরা নবীর ৪০ রানের কল্যাণে আফগানিস্তান ৫ উইকেটে জয়ী হয়েছিল। আফগানিস্তান অনুর্ধ্ব-১৯ দলের ১৬ বছর বয়সী স্পিনার মুজিব উর রহমান যিনি মুজিব জারদান নামেও পরিচিত দ্রুত দুই উইকেট তুলে নিলে জিম্বাবুয়ের জয়ের সম্ভাবনা কমে আসে।
ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নামা জারদান ২১ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। সদ্য সমাপ্ত অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের সেমিফাইনালে খেলার পিছনে জারদানের ভূমিকা ছিল সর্বাগ্রে। অন্যদিকে ১৯ বছর বয়সী লেগ স্পিনার রশীদ ২৩ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। গত মাসেই ভারতীয় প্রিমিয়ার লিগের নিলামে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ রশীদকে ১.৪১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে দলে ভিড়িয়েছে।
আফগান অধিনায়ক আসগার স্টানিকজাই তার ট্রাম্প কার্ড হিসেবে বিবেচিত রশীদকে ১৩তম ওভার পর্যন্ত ব্যবহার করেননি। আক্রমণে এসেই রশীদ ১৬ বলে ৪০ রান করা অল-রাউন্ডার সিকান্দার রাজাকে এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে ফেলে জিম্বাবুয়ের আশা ভেঙে দেন। জিম্বাবুয়ের শেষ ভরসা রায়ান বার্লকেও রশীদ ৩০ রানে সাজঘরে ফিরিয়েছেন।
টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে মুখোমুখি হবে দুই দল। জুনে ব্যাঙ্গালুরুতে ভারতের বিপক্ষে ইতিহাসের প্রথম টেস্ট খেলতে নামছে আফগানিস্তান। এ কারণে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই সিরিজকে বেশ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে আফগানরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
আফগানিস্তান : ৯ উইকেটে ১৫৮, ২০ ওভার (নবী ৪৫: টেন্ডাই চাতারা ৩-২০)
জিম্বাবুয়ে : ৫ উইকেটে ১৪১, ২০ ওভার (সিকান্দার রাজা ৪০, জারদান ২-২১, রশীদ ২-২৩)
ফল : আফগানিস্তান ১৭ রানে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : মোহাম্মদ নবী (আফগানিস্তান)।