নিজ মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে পাকিস্তান দলে জায়গা পেয়েছেন অলরাউন্ডার মোহাম্মদ হাফিজ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের আগে বাংলাদেশ সিরিজকেই অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অডিশন হিসেবে দেখছেন অভিজ্ঞ এ অলরাউন্ডার।
সংক্ষিপ্ত ভার্সনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১৮ সালে সর্বশেষ খেলা হাফিজ বাংলাদেশের বিপক্ষে শুক্রবার লাহারে শুরু হওয়া তিন টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে পুনরায় ডাক পেয়েছেন। কিউই সিরিজে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। তবে টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ের শীর্ষে থাকা পাকিস্তান নির্বাচকরা গত বছর হাফিজকে বিবেচনা করেননি। গত এক বছর ৯টির মধ্যে ৮টিতে পরাজিত হয় পাকিস্তান।
হাফিজ বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত পরিকল্পনা হচ্ছে ফিটনেস ও পারফরমেন্সের ভিত্তিতে আমি পাকিস্তানের হয়ে খেলব। আমি আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিতে চাই।’
অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। পুনরায় ডাক পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী ছিলেন ৩৯ বছর বয়সী হাফিজ এবং তার দলের তরুণ তুর্কিদের সাহায্য করতে পারবেন বলেও বিশ্বাস করেন তিনি।
বলেন, ‘সত্যি বলতে দলে জায়গা পাওয়াটা বিস্ময়ের কিছু নয়, কেননা আমি দলের জন্য সব সময়ই প্রস্তুত। দলে সিনিয়রদের তুলনায় এখন অনেক বেশি তরুণ খেলোয়াড় রয়েছে। সুতরাং তাদের সঙ্গে অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করাটা আমাদের জন্য দারুণ ব্যাপার হবে।’
এদিকে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের কারণে বাংলাদেশের বিপক্ষে কেবলমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবেই খেলতে হবে হাফিজকে। গত আগস্টে ইংল্যান্ড সফরে তার অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন উঠার পর গত সপ্তাহে তার বোলিং নিষিদ্ধ করা হয়। পাকিস্তানের হয়ে ৮৯ ম্যাচে ৫৪ উইকেট শিকার করা এ অফ স্পিনার বোলিং করাটা মিস করবেন বলেও জানান।
হাফিজ বলেন, ‘আমি পুনরায় পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত এবং এ জন্য অপেক্ষা করছি। আশা করছি খুব শিগগিরই এটা হবে।’
২০০৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হওয়ার পর পাকিস্তানের হয়ে ৫৫ টেস্ট ও ২১৮টি ওয়ানডে ম্যাচও খেলেছেন হাফিজ।