মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রতি বছরের মত এবারও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ। দেশের সাবেক খেলোয়াড়দের নিয়ে শহীদ জুয়েল একাদশ ও শহীদ মুশতাক একাদশের মধ্যকার এ ম্যাচে সাবেক বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ রফিকের ব্যাটিং নৈপুণ্যে মুশতাক একাদশ ৭ উইকেটে হারিয়েছে জুয়েল একাদশকে। ব্যাট হাতে ৩৯ বলে ৮১ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন রফিক।
মুক্তিযুদ্ধের দুই বীর শহীদ আব্দুল হালিম চৌধুরী জুয়েল ও শহীদ মুশতাক আহমেদের স্মরণে ১৯৭২ সাল থেকে প্রতি বছর এই প্রীতি ম্যাচ আয়োজন করে আসছে বিসিবি।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট হাতে নেমে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৬২ রান করে শহীদ জুয়েল একাদশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন এহসানুল হক সেজান। এছাড়া সজল চৌধুরি ৪৬, শাহরিয়ার হোসেন ৩২, মিনহাজুল আবেদিন নান্নু ১৬ ও নাইমুর রহমান দূর্জয় ৫ রান করেন। শহীদ মুশতাকের পক্ষে বল হাতে ২টি উইকেট নেন শফিউদ্দিন আহমেদ।
জয়ের জন্য ১৬৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ জিতে নেয় শহীদ মুশতাক একাদশ। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১১৮ রান যোগ করেন রফিক ও মেহরাব হোসেন অপি। ৮টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৩৯ বলে ৮১ রান করে আউট হন রফিক। ৪৭ বলে ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন অপি। এছাড়া হারুনুর রশিদ ১২, জাভেদ ওমর ৬ ও জাহাঙ্গীর শাহ অপরাজিত ২ রান করেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন রফিক।
শহীদ জুয়েল ছিলেন আজাদ বয়েজ ক্লাবের ওপেনিং ব্যাটসম্যান। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে শহীদ হন তিনি। অপরদিকে ক্রীড়া সংগঠক শহীদ মুশতাক ছিলেন আজাদ বয়েজ ক্লাবের অন্যতম প্রধান সংগঠক। ২৫ মার্চের কালোরাতে ক্লাবের কাছেই তাকে হত্যা করা হয়।
শহীদ মুশতাক দল
মেহরাব রহাসেন অপি, জাহাঙ্গীর আলম, হারুনুর রশিদ লিটন, আনোয়ার হোসেন (উইকেটরক্ষক), তারেক আজিজ খান, মুশফিকুর রহমান বাবু, মোর্শেদ আলি খান, মোহাম্মদ রফিক, আনোয়ার হোসেন মনির, শফিউদ্দিন আহমেদ বাবু, ফারুক আহমেদ, জাভেদ ওমর বেলিম, মোহাম্মদ আলি ও খালেদ মাসুদ পাইলট।
শহীদ জুয়েল দল
নাইমুর রহমান দুর্জয়, হাবিবুল বাশার সুমন, মাহমুদুল হাসান রানা, আকরাম খান, মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুত, এনামুল হক মনি, সজল চৌধুরী, খালেদ মাহমুদ সুজন, নাসির আহমেদ নাসু, এহসানুল হক সেজান, নিয়ামুর রশিদ রাহুল, মোহাম্মদ সেলিম (উইকেটরক্ষক) ও হাসিবুল হোসেন শান্ত।