বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা যখন ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছিল তখন একাই জয়ের আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন তরুণ টাইগার ক্রিকেটার নাঈম শেখ। তবে বাংলাদেশ দলের সিরিজ জয়ের স্বপ্ন শেষ করে দিয়েছে ভারতীয় বোলার দীপক চাহার। বল হাতে হ্যাটট্টিকসহ মাত্র ৭ রান খরচ করে তুলে নিয়েছে ৬টি উইকেট।
সিরিজের শেষ টি-২০ ম্যাচে জয়ের জন্য ১৭৫ রানের টার্গেট পায় বাংলাদেশ। জবাবে ১২ রানেই ২ উইকেট হারায় টাইগাররা। এরপর তরুণ মোহাম্মদ নাইম ও মোহাম্মদ মিঠুন ৬১ বলে ৯৮ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে পৌছে দেন ১১০ রানে।
ম্যাচের তৃতীয় ওভারের চতুর্থ বলে লিটনকে শিকার করেন চাহার। ৮ বলে ৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন লিটন। এরপর ক্রিজে আসা সৌম্যকে শূন্য রানে বিদায় করে চাহার। পরপর দু’বলে দুই উইকেট তুলে নিয়ে শুরুতেই বাংলাদেশকে চাপে ফেলে দেন চাহার।
এরপর ১৩তম ওভারে আক্রমণে এসে শেষ ডেলিভারিতে মিঠুনকে বিদায় দেন চাহার। ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৯ বলে ২৭ রান করেন মিঠুন।চাহারের আঘাতের পর-পর ২ ওভারে ৩ উইকেট নেন দুবে। তার শিকার হন মুশফিকুর রহিম-আফিফ হোসেন ও নাঈম।
এছাড়া বাংলাদেশের শেষ ভরসা অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহকেও প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান ভারতের স্পিনার যুজবেন্দ্রা চাহাল। ১০ বলে ৮ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। এরপর আবারও বল হাতে ম্যাজিক দেখান চাহার।
১৮তম ওভারের শেষ বলে শফিউলকে ও শেষ ওভারের প্রথম দু’বলে যথাক্রমে মোস্তাফিজুর-আমিনুলকে শিকার করে হ্যাটট্টিক পূর্ণ করেন ভারতের চাহার। শুধু হ্যাটট্রিক নয়, এর ফলে বিশ্ব রেকর্ড গড়ে ফেলেন চাহার।
টি-২০ ক্রিকেটে ভারতের প্রথম ও বিশ্বের ১২তম হ্যাটট্টিক বোলার এখন দ্বীপক চাহার। বাংলাদেশের বিপক্ষে তিনি ৩ দশমিক ২ বলে ৭ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন। এর ফলে টি-২০ ক্রিকেটে সেরা বোলিং ফিগারের সবার ওপরে চলে এসেছেন চাহার।
টি-২০ ক্রিকেটে সেরা বোলিং ফিগার
১. দীপক চাহার (ভারত) : ৩.২-০-৭-৬; প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ
২. অজান্থা মেন্ডিস (শ্রীলঙ্কা) : ৪-২-৮-৬; প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে
৩. অজান্থা মেন্ডিস (শ্রীলঙ্কা) : ৪-১-১৬-৬; প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া
৪. ইয়ুজভেন্দ্র চাহাল (ভারত) : ৪-০-২৫-৬; প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড
৫. রঙ্গনা হেরাথ (শ্রীলঙ্কা) : ৩.৩-২-৩-৫; প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড।