দাপটের সাথে প্রথম ম্যাচ জিতে সিরিজ জয়ের স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। তবে ৪৩ বলে ৮৫ রানের বিধ্বংসী খেলে ৮ উইকেটের জয়ে ভারতকে সমতায় ফিরিয়েছেন রোহিত। দলের এমন হারের জন্য ব্যাটসম্যানদের দুষলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বলেন, উইকেট খুবই ভালো ছিল। তবে আমাদের ২৫-৩০ রান কম ছিল।
মুশফিকুর রহিমের ব্যাটিং তাণ্ডবে দিল্লিতে সিরিজের প্রথম ৭ উইকেটে জিতেছিল বাংলাদেশ। তবে রাজকোটে দ্বিতীয় ম্যাচ হেরে সিরিজে সমতায় দাঁড়িয়ে টাইগাররা। তাই সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-২০ অঘোষিত ফাইনাল।
শেষ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে নাগপুরে। ঐ ম্যাচকে নিয়ে টাইগারদের টি-২০ অধিনায়ক মাহমুদুউল্লাহ বলেন, নাগপুরে যাব, সেখানকার কন্ডিশন সম্পর্কে আগে আমাদের বুঝতে হবে। এছাড়া আমাদের আরও বেশি মাত্রায় ইতিবাচক থাকতে হবে।
বৃহস্পতিবার রাজকোটের সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে দারুন সূচনা করেছিল বাংলাদেশ। দুই ওপেনার লিটন দাস ও মোহাম্মদ নাইম ৪৪ বলে ৬০ রানের জুটি গড়েন। তাতে বড় স্কোর ভিত পায় টাইগাররা। কিন্তু লিটনের ২৯, নাইমের ৩৬ ও তিন নম্বরে নামা সৌম্য সরকারের ৩০ রানের পর পথ হারায় বাংলাদেশ।
মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যানরা দলের হাল ধরতে ব্যর্থ হন। আগের ম্যাচের হিরো মুশফিকুর রহিম মাত্র ৪ রান করে বিদায় নেন। এছাড়া আফিফ হোসেন ৬, মোসাদ্দেক হোসেন ৭ ও আমিনুল ৫ রান করে। তবে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ বড় ইনিংস খেলার চেষ্টা করেছিলেন।
টাইগার অধিনায়কের ২১ বলে ৩০ রানের সুবাদে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৩ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। ২ উইকেটে ৯৭ রান সংগ্রহের পরও ভারতের মত দলের সামনে ১৫৪ রানের টার্গেট শক্তপোক্ত নয়। আর সেটি প্রমাণ করেছেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত।
ব্যাট হাতে একাই বাংলাদেশকে ধসিয়ে দিয়েছেন রোহিত। শিখর ধাওয়ানকে নিয়ে ১১৮ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন তিনি। তাই তো ম্যাচ থেকে ২৫-৩০ রানের আক্ষেপ ঝড়ে মাহমুদউল্লাহর কণ্ঠে।
মাহমুুদউল্লাহ বলেন, এ উইকেটে আমাদের অন্তত ১৭৫ রান করা উচিত ছিল। রোহিত-শিখর দুর্দান্ত শুরু করে। আর সেখানেই ম্যাচ জয়ের কাজ সেড়ে ফেলে ভারত। তাই রোহিত-ধাওয়ানকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। স্কোর ডিফেন্ড করার একটা সুযোগ আমাদের পাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু আমরা তা করতে পারিনি।
গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট হারানোয় ম্যাচ থেকে ছিটকে যান বলে জানান মাহমুদউল্লাহ। বলেন, গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আমরা উইকেট হারিয়েছি। যা আমাদের পিছিয়ে দিয়েছে। এ ম্যাচে আমরা যেসব ভুল করেছি দল হিসেবে সেগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে। কিছু জায়গায় উন্নতি করতে হবে। বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে।
মাহমুদউল্লাহ বলেন, আমি পরের দিকের ব্যাটসম্যানদের বিশেষ করে আফিফ যেভাবে খেলে থাকে সেভাবেই চেষ্টা করেছিল। হয়তো আজকে ভালো করতে পারেনি। আমারও কিছুটা দোষ ছিল। আমিও ১৯তম ওভারে আউট হয়ে গেছি। আমি যদি শেষ সময় পর্যন্ত থাকতাম হয়তো আর কিছু রান করতে পারতাম।
বাংলাদেশের ইনিংসে ১৬টি চারের সাথে ছক্কা ছিল মাত্র একটি। তবে ইনিংসে ডট বল ছিল ৩৮টি। তবে ডট বলের হিসাবকে বড় কোন সমস্যা নয় বলে জানান মাহমুদউল্লাহ।
তিনি বলেন, আমার মনে হয়, একটি টি-২০ ম্যাচে যদি ৪০টির ওপরে ডট বল থাকে তাহলে আপনার ম্যাচ জেতার সুযোগ কম থাকে। সেখানে আমরা ৩৮টি ডট বল খেলেছি। হয়তো ঠিক আছে, তবে আরও উন্নতি করতে হবে।