ত্রিদেশীয় টি-২০ সিরিজে গ্রুপ পর্বের শেষ ও ফাইনালের ড্রেস রিহার্সেলে আফগানস্তানকে ১৩৮ রানে আটকে দিয়েছে বাংলাদেশ।
শনিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ম্যাচে টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ফলে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৩৮ রান করতে সক্ষম হয় শক্তিশালী আফগানিস্তান।
ব্যাট হাতে উড়ন্ত সূচনা করেন আফগানিস্তানের দুই ওপেনার রহমনউল্লাহ গুরবাজ ও হযরতউল্লাহ জাজাই। শুক্রবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৯ দশমিক ৩ ওভারে ৮৩ রান যোগ করেছিলেন তারা। আজও ৯ দশমিক ৩ ওভার একত্রে ব্যাট করেন গুরবাজ ও জাজাই। এবার যোগ করেন ৭৫ রান।
৬টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৫ বলে ৪৭ রান করা জাজাইকে তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন সাত নম্বরে বোলিং আক্রমণে আসা ডান-হাতি অফ-স্পিনার আফিফ হোসেন। মোস্তাফিজুর রহমানের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন জাজাই। অবশ্য ইনিংসের ১১তম বলেই মাহমুদউল্লাহ গুরবাজের ক্যাচ মিস না করলে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারত এ জুটি।
নিজের প্রথম ও ইনিংসের দশম ওভারের তৃতীয় বলে জাজাইকে থামিয়েছন আফিফ। ওই ওভারের পঞ্চম বলে আবারও উইকেট শিকার করে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় সাফল্য এনে দেন আফিফ। তিন নম্বরে নামা সাবেক অধিনায়ক আসগর আফগান ২ বলে শূন্য রান করে নাজমুল হোসেন শান্তকে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন।
দলীয় ৭৫ রানে জাজাই-আসগর ফিরে যাওয়ার পরই নিয়মিত বিরতি দিয়ে উইকেট হারাতে থাকে আফগানিস্তান। বাংলাদেশের বোলাররা চেপে ধরেন আফগানিস্তানের ব্যাটসম্যানদের। তাই ৭৫ থেকে ১১৪ রানে পৌছাতেই ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে আফগানরা।
তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন উইকেটে সেট হয়ে যাওয়া আরেক ওপেনার গুরবাজ। ২টি করে চার-ছক্কায় ২৭ বলে ২৯ রান করেন তিনি শিকার হন মোস্তাফিজের। এরপর আরেক সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী লেগ বিফোর ফাঁদে পড়েন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ৬ বলে ৪ রান করেন তিনি।
বোলারদের উইকেট শিকারের মাঝে ফিল্ডাররাও চমক দেখান। ছয় নম্বরে নামা গত বিশ্বকাপের অধিনায়ক গুলবাদিন নাইবকে রান আউটের ফাঁদে ফেলেন মাহমুদউল্লাহ। নাইব করেন ১ রান। দলীয় স্কোর শতরান থেকে ৪ রান দূরে থাকতে নাইব ফিরেন পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে।
আর দলীয় ১০৯ রানে নাজিবুল্লাহ জাদরানকে বিদায় দিয়ে আফগানিস্তানের শেষ স্বীকৃত ব্যাটসম্যানকে বিদায় দিয়ে আফগানিস্তানকে ছোট স্কোরে আটকে রাখার পথ তৈরি করেন বাংলাদেশের মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। আফিফকে ছক্কা হাঁকানো জাদরান ১৬ বলে ১৪ রান করেন।
পরের ওভারে নিজের প্রথম উইকেট নিয়ে আফগানিস্তানের টেল-এন্ডারে আঘাত হানেন শফিউল। ৩ রান করে আউট হন আট নম্বরে নামা করিম জানাত। দলীয় ১১৪ রানে জানাতের বিদায়ের পর ইনিংসের শেষ ১৯ বলে অবিচ্ছিন্ন ২৪ রান যোগ করে আফগানিস্তানকে ৭ উইকেটে ১৩৮ রানের মামুলি পুঁজি এনে দেন শফিকুল্লাহ ও অধিনায়ক রশিদ খান।
শফিকুল্লাহ ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৭ বলে অপরাজিত ২৩ ও রশিদ ১৩ বলে অপরাজিত ১১ রান করেন। বাংলাদেশের সফল বোলার ছিলেন আফিফ। ৩ ওভারে ৯ রানে ২ উইকেট নেন। এছাড়া সাইফউদ্দিন-শফিউল-সাকিব-মোস্তাফিজুর ১টি করে উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
আফগানিস্তান : ১৩৮/৭, ২০ ওভার (জাজাই ৪৭, গুরবাজ ২৯, শফিকুল্লাহ ২৩*, আফিফ ২/৯)।