ত্রিদেশীয় টি-২০ সিরিজের তৃতীয় ও নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) শক্তিশালী আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। শনিবার নিজেদের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ২৮ রানে হারিয়ে শক্তির জানান দিয়েছে সম্প্রতি টেস্ট সিরিজের বাংলাদেশকে হারানো আফগানিস্তান।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩ উইকেটের জয় পেয়েছে সাকিব বাহিনী। ফলে আত্মবিশ্বাস নিয়েই আফগানদের বিপক্ষে খেলতে নামবে টাইগাররা।
বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর শ্রীলঙ্কার মাটিতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয় বাংলাদেশ। হারের মধ্যে ঘুরপাক খেতে থাকা বাংলাদেশ বড় ফরম্যাটে গিয়ে বড় ধরনের ধাক্কা খায়। দেশের মাটিতে আফগানিস্তানের কাছে একমাত্র টেস্টে ২২৪ রানের বড় ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ।
আফগানিস্তানের কাছে এমন হার বড়ই লজ্জার বাংলাদেশের। তারপরও অতীতকে পিছনে ফেলে ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরু করে টাইগাররা। প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। কিন্তু এখানেও এলোমেলো দেখালো সাকিবের দলকে।
১৮ ওভারে জিম্বাবুয়ের ছুড়ে দেওয়া ১৪৫ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৬০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ হারের পথ দেখে ফেলে বাংলাদেশ। চিন্তায় তখন মশগুল বাংলাদেশের ড্রেসিং রুম। তবে ৮ নম্বরে ব্যাট হাতে নেমে ম্যাচের চিত্রপট পরির্বতন করে ফেলেন বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান আফিফ হোসেন।
সাধারণত মিডল-অর্ডারেই ব্যাট করে থাকা আফিফ ৮ নম্বরে নেমেও লড়াকু ব্যাটিং উপহার দেন। টি-২০ মেজাজে দ্রুত রান তুলে জিম্বাবুয়ের বোলারদের আত্মবিশ্বাসে চিড় ধড়িয়ে দেন তিনি। তাই ২৪ বলেই হাফ- সেঞ্চুরির স্বাদ নেন দ্বিতীয় টি-২০ খেলতে নামা আফিফ।
২৬ বলে ৫২ রানের ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলেন এ বাঁ-হাতি ব্যাটস্যান। তাকে দারুণভাবে সঙ্গ দেন আরেক টাইগার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। আর তাতেই ৩ উইকেটে জয় পায় বাংলাদেশ।
হারের মধ্যে ঘুরপাক খেতে থাকা বাংলাদেশ দুর্দান্ত জয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের বলেন, ‘এ জয় থেকে আমরা আত্মবিশ্বাস ফিরে পেলাম। কঠিন সময়ের মাঝে এমন জয় স্বস্তির বটে। আশা করি, জয়ের ধারাবাহিকতা পরের ম্যাচে কঠিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে অব্যাহত থাকবে।’
তবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-২০তে বাংলাদেশের পারফরমেন্স খুব বেশি ভালো নয়। চারবারের দেখায় তিনবারই হার টাইগারদের। গেল বছর জুনে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজে আফগানদের কাছে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল বাংলাদেশ।
এদিকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের আগে বাংলাদেশের স্কোয়াডে বাঁহাতি পেসার আবু হায়দার রনিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ফলে পূর্বঘোষিত ১৩ জনের দল এখন ১৪ জনে দাঁড়িয়েছে।